পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] AAAAAA SAAAAA AAAA AAAAMSAAAAAA S AAAAA AAAA SAAA AAASAAA SAS A SAS SSAS SSAS -- ه۶ متر می ۹ م. تمامیر مایع বশে মুসলমানদেরই অমুকরণ করিয়াছে ( Paid them back in their own doin) । ইহাই হিন্দুদের অপরাধ লঘুতর করিবার যথেষ্ট ও উপযুক্ত কারণ। সম্পাদক-মহাশয় প্রসঙ্গের প্রারম্ভে নিক্তির দ্বার পক্ষদ্বয়ের দোষ ওজন করিবেন না বলিয়াও তাঁহাই করিয়াছেন ও উৎপীড়িত হিন্দুর প্রতি অবিচার করিয়াছেন । যদি এই অল্প নিন্দার দ্বারা দুৰ্ব্বত্তের একটু উৎসাহ পায়, তবে বিস্মিত হইবার কারণ থাকিবে না । শ্রীকুমুদচন্দ্র চক্রবর্তী সম্পাদকের মন্তব্য কলিকাতার দাঙ্গাহাঙ্গণম-সম্বন্ধে আমি যাহ। লিথিয়ছিলাম, তাহার দুইট প্রতিবাদ আসিয়াছে। একটি মুসলমানের, অপরটি হিন্দুর লিখিত । ইহা হইতে অনুমান হয়, সকল মুসলমান ও সকল হিন্দু আমার সহিত একমত নহেন। তাহ ন হইবারই কথা, এবং সেরূপ ঐকমত্যের আশা আমি করি ন! । মুসলমান লেখক-মহাশয় বলেন, যে, আর্য্য-সমাজীর যখন মসজিদের সম্মুখ দিয়া বাদ্যসহকারে যাইতেছিল, তখন ভিতরে নামাজ চলিতেছিল । দাঙ্গীর উৎপত্তি-সম্বন্ধে সকল কাগজে প্রকাশিত বৃত্তান্ত পড়িতে পারি নাই, কোন কোন কাগজের বৃত্তান্তই পড়িয়ছিলাম, এবং . একজন বিৰস্ত লোকের নিকটও এ-বিষয়ে কোন বেসরকারী অনুসন্ধানের ফলও শুনিয়াছিলাম। তাহাতে আমার এখনও এই ধারণা আছে যে, আর্য্যসমাজীদের মিছিল যখন মসজিদের সম্মুখে উপস্থিত হয়, তাহীর পূৰ্ব্বেই নামাজ শেষ হইয়৷ গিয়াছিল। কোন কোন কাগজে অমর ইহাও পড়িয়াছি যে, তায্যসমাজীদের সঙ্গে কোন ব্যাণ্ড, ছিল না, তাহারা ভজন গান করিয়৷ যাইতেছিল। ইহা সত্য কি ন৷ বলিতে পারি না। অনেক কাগজে প্রকাশিত বৃত্তান্তে ইহ দেথিয়ছি যে, মুসলমানগণ আপত্তি করিবামাত্র আর্য্যসমাজীর সঙ্গীত বন্ধ করে, এবং উভয় পক্ষে কথাবাৰ্ত্ত চলিতে থাকে। কিয়ৎক্ষণ পরে মিছিলের নেতাদের মীমাংস বা আদেশের অপেক্ষা না করিয়া একজন হঠাৎ পুনৰ্ব্বার সঙ্গীত আরম্ভ করে । তাহাতে মুসলমান পক্ষ হইতে মিছিলের উপর আক্রমণ আরম্ভ হয় এবং মিছিলের লোকের প্রত্যক্রমণ করে । আমার পঠিত ও শ্রুত বৃত্তান্ত এইরূপ । আমি দাঙ্গার উৎপত্তির বৃত্তস্ত যেরূপ পড়িয়ছি ও শুনিয়াছি তদনুসারে মন্তব্য প্রকাশ করিরছিলাম। তাহাতেও আমার ভ্রম হওয়া আশ্চর্য্যের বিষয় নহে । কিন্তু আমার পঠিত ও শ্রুত বৃত্তান্ত যদি ঠিক্‌ না হয়, এবং লেখক মহাশয়ের বৃত্তান্তই ঠিক্‌ হয়, তাহ হইলেও আমার কিছু বক্তব্য আছে । আমি নিজে যে-আদর্শে বিশ্বাস করি ও যাহ। কোন কোন স্থলে কার্য্যে পরিণত হইয়াছে জানি, তদনুসারেই আমার বক্তব্য বলিব। আমার ধারণা, ঈশ্বরের আরাধনা মানুষকে সাত্ত্বিকভাবাপন্ন, শাস্ত ও ক্ষমাশীল করে । এই জন্ত মুসলমানদের নামাজের সময় এবং অস্তান্ত ধৰ্মসম্প্রদায়ের পুজা-উপাসনাদির সময় কেহ গোলমাল করিলেও শান্তভাবে তাহাদিগকে বুঝান ও ক্ষম করা উচিত, মারামারি করা উচিত নহে । আমি কলিকাতাস্থ সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের উপাসন-মন্দিরের ভিতরে বসিয়া অনেক বার প্রত্যক্ষ করিয়াছি যে, বাহিরে কীৰ্ত্তনের দল যাইতেছে এবং মন্দিরের সন্মুখে রাস্তায় উৎসাহের সহিত খোল, করতীয় ও শিঙ্গ বাজাইয়৷ কীৰ্ত্তন চলিতেছে, কিম্ব মহরমের ঢাক বাজিতেছে ও লাঠিখেল প্রভৃতি চলিতেছে ; কিন্তু মন্দিরের আলোচনা-সম্পাদকের মন্তব্য C AAASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAS SSAS SSAAAASA SSASAS SS SAAAASAASAASAASAA AAAS SAAAAAA SAAAAAMSMAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAASAAAAS AAAA S AAAAA AAAA AAAASAAAA AAASA SAAAAAeeeSeMMS ভিতরে উপাসনায় নিরত আচাৰ্য্য ও উপাসকগণ তাহাতে কোন প্রকারে উত্তেজিত হন নাই বা মারামারি করেন নাই, কিয়ৎক্ষণ উপাসনা বন্ধ রাখিয়া বাহিরের জনত চলিয়৷ গেলে আবার উপাসনায় প্রবৃত্ত হইয়াছেন। কোন-কোন স্থানে নগর-কীৰ্ত্তনাদির সময় কীৰ্ত্তনকারীদের দলের লোকদিগকে প্রহরাদি করা সত্ত্বেও তাহার। উণ্টিয় প্রহার করে নাই, এরূপ দৃষ্টান্তও আমি অবগত আছি । আপত্তি হইতে পারে, যে, উক্ত কীৰ্ত্তনকারীদের দল ভীরু বলিয়৷ এইরূপ করিয়াছিল। কিন্তু বাংলাদেশে সাহসী ও শক্তিমান লোকদেরও ধর্শ্বের জন্ত শারীরিক ও অন্তবিধ নিৰ্য্যাতন সহ করা নুতন নহে। যখন নবদ্বীপর কাজা শ্রীচৈতন্তদেবকে নগর সংকীৰ্ত্তন বন্ধ করিতে হুকুম করেন, তখন চৈতন্তদেব সে নিষেধ না শুনিয়| নগর সংকীৰ্ত্তন করিতে করিতে কাজীর বাড়ী পর্য্যস্ত গিয়া উপস্থিত হন । ইহাতে বুঝ। যাইতেছে, যে, রাজশক্তির প্রতিনিধির অন্যায় আদেশ অগ্রাহ করিবার মত সাহস ও শক্তি তাহার ছিল। কিন্তু এই সাহসী পুরুষ ক্ষমাশীল এবং সত্ত্বগুণসম্পন্ন ছিলেন। জগাই মাধাইয়ের দল তাহকে কলসীর কান দিয়া আঘাত করিয়া রক্তপাত করাতেও তিনি প্রতিশোধ না লইয়। তাহাদিগকে ক্ষমা করিয়াছিলেন এবং প্রেম দিয়াছিলেন । আধুনিক সময়ে পঞ্জাবের অকালীর সাহস এবং শক্তি সত্বেও প্রতিহিংসাপরায়ণ হন নাই । গুরু-ক-বাগের পথে যে অকালীর বার বায় অহিংসভাবে নিষ্ঠর প্রহার সহ করিয়াছিলেন, তাহীদের বীরত্ব-সম্বন্ধে কাহারও সন্দেহ নাই । যাহ হউক, যাহার যাহ আদর্শ, সে তদনুসারেই মত প্রকাশ করিবে । দুর্বল ও কাপুরুষের ক্ষম ও শাস্তভাব প্রকৃত ক্ষম ও শাস্তভাব নহে, তাহ। আমি জানি। কেহ কোন ধৰ্ম্মমন্দির বা অন্য কোন গৃহ নষ্ট করিবার চেষ্টা করিলে তাহাতে বাধা দেওয়া ও আক্রমণ ব্যর্থ কর। আমার আদর্শের বিপরীত নহে । উপরে যাহ। লিখিয়াছি, তাহ হইতে বুঝ। যাইবে, যে, আমার আদর্শ .অনুসারে ধর্মের নামে আক্রমণ প্রত্যাক্রমণ “খাপ্প। মেজাজে’রই কাজ । মসজিদের সম্মুখস্থ রাস্ত দিয়া গান-বাজনার মিছিল-সম্বন্ধে আপত্তি আমি অধিকাংশ স্থলে আধুনিক বলিয়। এখনও বিশ্বাস করি । এবিষয়ে লেখক মহাশয়ের জ্ঞানের সহিত আমার জ্ঞানের মিল নাই । মুসলমান নামাজকারাদিগকে আমি গুও বলি নাই, মনেও করি না । কলিকাতায় হিন্দু ও মুসলমান গুও অনেক আছে। কোন-কোন অঞ্চলে, যেমন বড়বাজারের কাছাকাছি, তাহদের সংখ্যা বেশী। কোন একট। গোলমাল হইলেই তাহার অবিলম্বে লুট-তরাজ দ্বার লাভবান হইবার চেষ্টা করে। এইরূপ লোকের যাহাতে ভয় পায়, সেইজন্ত স্বসজ্জিত ও সশস্ত্র পুলিশ বেশী করিয়া রাখা উচিত ছিল, বলিয়াছিলাম । ইহাও আমি গোপন রাখিতে চাই না, যে, আমার মতে অনেক মুসলমান ও অনেক হিন্দু পেশাদার গুণ্ড ন হইলেও উত্তেজনার সময় গুগুমি করিয়া থাকে । এইরূপ প্রকৃতির লোক কোন সম্প্রদায়ে হাজারকরী কয় জন আছে, তাহ। ঠিক্‌ করিয়া বল অসম্ভব। লেপক বলেন, হিন্দু কাগজে মুসলমানদের প্রতি স্ববিচার সাম্প্রদায়িক বিষয়ে খুব কম সময়েই হয়। সব সময়ে হয় না, ইহা ঠিকৃ। কিন্তু আমি যতটা জানি, মুসলমানদের কাগজে সাম্প্রদায়িক বিষয়ে হিন্দুদের প্রতি সুবিচার আরও কম সময়ে হয় । এবিষয়ে উভর পক্ষের একমত হইবার আপাততঃ সম্ভাবন নাই । আমি জানি, প্রবাসীর মুসলমান পাঠকপাঠক আছেন, এবং আমি হিন্দুবংশোদ্ভব ও হিন্দু। কিন্তু অধিকাংশ হিন্দু এবং অনেক ব্রাহ্ম আমাকে হিন্দু মনে করেন না, ইহাও ঠিক । কিন্তু