'শাকস্মিক ১ম সংখ্যা ] বিশালাক্ষী। আরও আশ্চর্য্য, ইষ্ঠার না ধ্যানে, না বিগ্রন্থে তন্ত্রোক্ত বিশালাক্ষীর মিল আছে ! যদিও প্রত্যঙ্গ ধ্যানে ইষ্ঠীকে বিশালাক্ষী বলা হইতেছে এবং লোকে ও বিশালাক্ষী বলে, ইনি যে কোন দেবী তাহ অদ্যাপি অজ্ঞাত। ৬ পূজনীয় শ্ৰীষ্টরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয়ের পাণ্ডিত্যেব প্রসাদে আমরা জানিয়াছি,বাসলী ও বিশালাক্ষী দুষ্ট পৃথক দেবত ; উভয়েই নিত্যার আবরণ-দেবতা পটেন,কিন্তু, মৃতিতে ভিন্ন, নবা ধানেও ভিন্ন। অতএব নান্নরের বিশালাক্ষী, না বাসলী না বিশালাক্ষী । ইঙ্গর নিত্যপূজার যে-ধ্যান করা হয়, তাহ না সংস্কৃত না বাঙ্গালা । নীলরতনবার মনে রিয়াছেন, এই অদ্ভুৎ ফষ্টি মূর্খ পূজারীর কীৰ্বি । কিশ্ব পূজারীর সাধ্য কি, ধ্যান পরিবতন করেন, এক প্যানের ভাষা অশদ্ধ বি গ্রহের স্থানে অন্য বিগ্ৰহ বসান । oইতে পারে, কিন্তু, রাম স্থানে খাম ইষ্টতে পারে না। পাসলার তন্ত্রোক্ত ধানে বা-স-লী এই নামই আছে, বাশুলী মাঠ, বিশালাক্ষী নাই । বাসলী ও বাশুলী, দুইটি নামের SBS S BBBS S BBBS BB BB BBS পলিয়, লোকমুখে ঘটিতে পারে, কিন্তু, ‘স’ স্থানে ‘শ’ শ্ৰীকৃষ্ণ-কীৰ্ত্তনে চণ্ডীদাস সবক্রি ব-স-লী চত হইতে •া শুঠতে পারে । s৬টি পদে বাসলার নাম করিয়ছেন, ৫ এপি ব|-শু-লী নাচ, বি-শ-ল-ক্ষী নাই । বঝি, শ্ৰীকৃষ্ণ-কীৰ্ত্তনের গায়ক বা লিপিকর বা উভয়েই প-স-লী জানিতেন অন্য নাম জানিতেন না । ব|-স-লী দেবী বজেশ্বরী হউন আর যিনিষ্ট হউন, তিনি বাসলী, এই প্রক নামেষ্ট পরিচিত ছিলেন । থাকিস্ত না । “ধৰ্ম্মপূজাবিধানে”ও এই নাম থাকিত না । অতএব দেখিতেছি, নান্নরের বিশালাক্ষী বা বাশুলী চণ্ডীদাসের বাসলী নহেন। নীলরতন-বাবু লিখিয়াছেন,— "এখন আর বিশালাক্ষীর মন্দির গ্রামের মাঠে নাই । এখন তাহার মন্দিরের চতুষ্পীশ্বে লোকের বসতি হইয়াছে। গ্রামটা দেবী-মন্দিরের পশ্চিমে ছিল, ক্রমে পূৰ্ব্বধারে সরিয়া আসিয়ছে, ইছার প্রমাণ পাওয় গিয়াছে। বিশালাক্ষীর মন্দির প্রাচীন নছে, আধুনিক ধরণের সামান্য একতলা ইষ্টকালয় মাত্র। মন্দিরের সম্মুখে প্রবেশ-দ্বারে কয়েকটি শিব মন্দির আছে ; সেগুলিও খুব প্রাচীন বলিয়া মনে হয় না। তবে দেবীব মচেং ধানে এই নাম ছাতনায় চণ্ডীদাস
- কেহ কেহ নাকি বলিয়াছেন, বাগীশ্বরী। কিন্তু তন্ত্রোক্ত
বাগীশ্বরী যে আমাদের জানা সরস্বতী । 尊 ‘VI বাড়ীর সন্মুখে প্রকাও মৃত্তিকান্তপ আছে। আমার মনে হয় যে, এ স্ত পটিই বিশালাক্ষী দেবীর প্রাচীন মন্দিরের ভগ্নাবশেষ ।” এখানে দেখা ধাইতেছে, মন্দির নূতন, গ্রামটিও বসতিতে নূতন। যদি বলি, এখানে পূবকালে বসিল । ছিলেন, এখন নাই ; বাসলীর মন্দির ছিল, এখন নাই ; মাঠ ছিল এখন নাই ; তাহ হইলে পূব কাল নে ছিল, তাহার প্রমাণ দিতে হইবে । সে প্রমাণের অভাবে ভগ্ন স্তপ দেখাইয়া নানুর ও বাসলীর একত্রাবস্থিতি সিদ্ধ হইবে ন। বাসলী গ্রামদেবী ছিলেন ; সাঙ্গন-মহাশয় ঠিক ধরিয়াছেন গ্রামদেবীর পূজা সহসা বন্ধ হয় না। নায়ুরে এমন কি দুর্ঘটনা হইয়াছিল যে বিগহ অস্তর্চিত হইয়াছেন ? নামুরে এক সমাধি-মন্দির আছে, সেটা নাকি চণ্ডীদাসের সমাধি-মন্দির। এই মন্দির সম্বন্ধে নীলরতন-বাব কিছুক্ত লেখেন নাই । ইষ্ঠার বয়ঃক্রম জানিলে দেবী-মন্দিরের সঠিত তুলনা কর। ঘাইত। হয়ত फूझे-कँ এক সময়ের, কোন ও আধুনিক চণ্ডীদাস-ভক্তের কীতি । গ্রামের এই নামটিও নাকি প্রাচীন নয় । ইহার পূব নাম সাকালীপুর বা সাকুলীপুর । সরকারী মাপচিত্রে এই নাম আছে। সম্প্রতি এই নাম পরিবতন করিয়৷ নানুর রাখা হইয়াছে । আমি নায়ুর যাই নাই, দেখি নাই। শনিয়াছি নাদুর এক পাড়ার নাম ছিল, কিন্তু, এই নাম ও নান্নর যে এক, তাহার প্রমাণ চাই । যদি পরিবতনের কথাট সত্য হয়, তাহা হইলে প্রশ্ন আরও দুরহ হইয় উঠে। বাধলী নাই, নায়ুরও থাকে না। যোগচিহ্ন না থাকিলে চণ্ডীদাসকেও পাই না । অবশ্ব কিম্বদন্তী আছে, এবং কিম্বদন্ঠী হাসিম উড়াইবার বস্ত নয়। তথাপি জানি কিম্বদষ্ট মৃতন গডিয়া উঠিতে পারে, দুই এক পুরস্ব গ - হইতে না ইত্বে ভক্তের নিকট সত্যে পরিণত ই:ে - 8, পারে । বীবভূমে ইতিহাস-অতুসন্ধান-সমিতি ইয়াছে । আশা করি, সে-সমিতি উল্লিখিত তর্কের মীমাংসা করিয়া “অখিল ভূবনে অনুপাম রস-শেখরের” কবি সু-স্ফূfর দেশ নির্ণয় করিবেন। কিন্তু যদি কিম্বদন্তীমাত্র মূল হয়, তাঙ্গ হইলে বাঁকুড়া জেলার ছাতনার ঐতিহ্য মানিব না কেন? এখানে বহুকালের কিম্বদন্তী ব্যতীত স্বয়ং বাসলী আছেন, চণ্ডীদাসের
