পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] কাব্যকথা AV9 భొ 飞 গৃহীর দেখা যাইতেছে অর্থাৎ গহার এত গভীর যে ওপিঠে আকাশ দেখা যাইতেছে, তাহা ন হইলে উহ নীল দেখাইত না, আলোক পড়িয় শুভ্ৰ হইয়। যাইত । ] v. —ইহাও যে নবনবোল্লেখশালিনী প্রতিভার নিদর্শন, তাহা স্বীকার না করিয়া উপায় নাই । রস ও ধ্বনিবাদ অনুসারে, কবিকৰ্ম্মের ওকানও বিচারযোগ্য বৈশিষ্ট্য খুজিয়া পাওয়া যায় না । ধ্বনিকার ও আনন্দবৰ্দ্ধনের মতে—কবির একমাত্র চেষ্ট কেমন করিয়া রচনার দ্বার রসোদ্রেক হয় । বারবার এই কথাই বলা হইয়াছে যে, শব্দ ও অর্থের যোজনায় কেবলমাত্র রস-ধ্বনিই লক্ষ্য ইওয়া উচিত—এমন কি আখ্যান-বস্তু ও অলঙ্কার গৌণ উপাদান মাত্র । অর্থ{ং কাব্যবস্থ ও যে কৃতিত্বটুকু ছিল, তাই। ঐ রসের অধীনে আরও নির্বিশেষ হইয়া উঠিল । কবি নিপুণ পদরচনার ব্যপদেশে সেই ‘লোকওর’, ‘লোকাতিক্রান্তগোচর আনন্দ-বিধান হষ্টবে, অলঙ্কারের মধ্যে ও تاسی যদি করিতে পারেন তবেই তা হার কুতিত্ব—কাব্যে তাহার ভাব বা আপ্যান বস্তুর কোনও স্বতন্ত্র মূল্য নাই । আসিল কথা, পদরচনা সালঙ্কার ও নিদোষ হইসেই, বক্রোক্তি বা ব্যঞ্ছনামুলক চারুহের সৃষ্টি হয়, এবং তাহা রসরূপে উদ্ভাসিত হইয়। সহৃদয় পাঠকের মনে, এক অপূৰ্ব্ব উপায়ে, অনুরূপ রসের অভিব্যক্তি ঘটায় । এই রস “পরিত্যক্ত বিশেযঃ”—অর্থাং কাব্যবস্থ তপন নামধামহীন রত্যাদি স্থায়ী ভাব সাধারণীকৃত হইয়া, অর্থাৎ, বস্তু বা ব্যক্তি বিশেষসংশ্লিষ্ট না হইয়া, একটি অলৌকিক আনন্দ আস্বাদনে হইয়া একটি সাধারণ ভাববস্তুতে পরিণত 3項 I পরিণত হয়। এই রসব্যঞ্জনার উপযোগী পদ-নিৰ্ম্মাণই কবিকৰ্ম্ম । কাব্যের এই অভিপ্রায় মনে রাপিয়া, শব্দ অর্থ লইয়। কবি ইহারই কসরং করিবেন। কিন্তু কাব্যবিচারে এই রসব্যঞ্জনার দার্শনিক ব্যাখ্য। করিলেই আধুনিক কাব্য জিজ্ঞাসা নিবৃত্ত হয় না। রস ও রসের অভিব্যক্তি সম্বন্ধে অলঙ্কার-শাস্ত্রের গবেষণ। ঠিক কাব্যবিচার নয় ; উহ। নিখিল কলাশিল্পের বা সৌন্দর্য্যবিজ্ঞানের অন্তর্গত তাই কাব্যকে আশ্রয় করিয়াও উহা কাব্যকলার মূল সমস্যার সমাধান করে না। কাব্যবিচারে, কেবল বিশিষ্ট পদরচনা নয়—সেই পদরচনার অন্তরালে কবির মনোগত যে ভাব-কল্পন!—যে কাব্যবস্তুর প্রেরণা রহিয়াছে, তাহার বৈশিষ্ট্য ও কৃতিত্ব কবিকল্পনার প্রধান গৌরব । কবি যদি রাম ও সীতাকে লইয়া কাব্যরচনা করেন তবে তাঙ্গার উদ্দেশ্য কোনও স্থায়ীভাবকে বিভীবাদি দ্বার রসরূপে পরিণত করাই নয় সেই সকল উপকরণ পরিণামে পরিত্যক্ত-বিশেষ ইহার রসমাত্র তইয়া দাড়াইবে-অতএব রামসীতার কল্পনার মধ্যে কবিকল্পনার কোনও কৃতিত্ব থাকিবার প্রয়োজন নাই, থাকিবে কেবল রসপুষ্টির জন্য কতকগুলি নিদিষ্ট ছাচের পুতুল-নাচ—একথা উৎকৃষ্ট সংস্কৃত কাব্যগুলির সম্বন্ধে কতটা খাটে, বলা কঠিন । কবিকৰ্ম্ম প্রতক্ষ্য ভাবে বিশিষ্টপদরচনা পরিণামে তাঙ্গার ফল রস-ব্যঞ্জনাও বটে ; তথাপি কাব্যবস্তুই কবিকল্পনার প্রধান উপজীব্য, সেই বস্তুরচনাতেই কল্পনার যত কিছু কত্তিত্বের পরিচয় আছে,—কবিদ্যষ্টির মৌলিকতা ও এইখানে । সংস্কৃত অলঙ্কারশাস্থের মতে কাব্য ধেন রেখা ও বণবিন্যাসমূলক পরিকল্পনার মত একটি কারুকৰ্ম্ম ( artistic design ) I Etzig ígyfricệotzzi gaz একটি বিচ্ছিত্তি (strikingness ) ফুটিয় উঠিবে, যাহাতে ‘লোকোত্তর’ আনন্দ লাভ হয় । অথবা নিসর্গশোভ দেখিয় খপন আনন্দ হয়, তখন যেমন সেই শোভার অন্তরালে কোনও বিশিষ্ট ভবিকল্পনার বা অভিপ্রায়ের সন্ধান করিতে হয় না, তেমনি কাব্যস্থষ্টির মূলে কবির ভাব-প্রেরণার মূল্য নিরূপণের প্রয়োজন নাই। কাব্যনির্ণয়, ইহা বিজ্ঞানের সমস্ত । আমরা কাব্যের ‘র’’ নামক “ আত্মা’র সন্ধানের ভার তত্ত্ববাদীদিগের উপর দিয়ু, কাব্যকে কবির ভাব-বিগ্ৰহরূপে ধারণা করিয়া, সেই বিগ্রহ-নিৰ্ম্মাণুে, কবিপ্রতিভার শক্তি বা কৌশলের মূল্য বুঝিতে চাই । রসই ধে “সকলপ্রয়োজন মেীলীভূতং”—একথা কোনও রসিক ব্যক্তিই অস্বীকার কfরবেন না, কিন্তু এই রসকে । কাব্যবিচারে একান্ত করিয়া তুলিলে, কাব্যকথা ঘে কেমন নিৰ্ব্বিশেষ তত্ত্ববিচারে পরিণত হয়, এবং কবিকল্পনার প্রসার ধে কত সঙ্কীর্ণ হইয়া পড়ে তাহাই দেখাইবার জন্য এত কথার অবতারণা করিলাম, নতুবা বটে, এবং এই যে সাধারণ Aesthetics বা সৌন্দর্য্য