পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এর সংখ্যা । দেশ-বিদেশের কথা ტა% . ব্যাপারে নীরব ; সেইজন্ত আসাম সৰ্বকার আসামের নির্বাচন বিধি এইভাবে পরিবর্তন করিয়াছেন যে, আসাম কাউন্সিল যদি এক মাসের নোটাশ দিয়া এই মৰ্ম্মে কোন প্রস্তাব গ্রহণ করেন যে, আসামের মহিলাদিগকে বা মহিলাদের কোন শ্রেণীবিশেষকে কাউন্সিল নিৰ্ব্বাচনে দাড়াইবার অধিকার দেওয়া হউক তাহ হইলে আসাম সরকার সেই ভাবে নিয়ম জারি করিবেন । আমরা আশা করি, আসাম কাউন্সিলের ও ভারতের অন্যান্য কাউন্সিলের সদস্তগ৭ নারীদের স্থায্য দাবীর সমর্থন করিবেন । ংলায় শিক্ষা— বাঙ্গলাব ডিরেক্টর অব পাবলিক ইনষ্ট্রাকৃশন ১৯২৪ ও ২৫ সালের যে-রিপোর্ট বাহির করিয়াছেন, তাহ পাঠে জানা যায়—সমগ্র বঙ্গে অনুমোদিত ও অননুমোদিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৯২৪ সালে ছিল ৫৬০ •১, ১৯২৫ সালে হইয়াছে ৫৭১৭৩ ; সুতরাং এক বৎসরে ১১৭২টি বৃদ্ধি পাইয়াছে। ১৯২৫ সালে পুরুদিগের বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৩৪১৫, স্ত্রীলোকের ১৩৭৫৮ ; কিন্তু ১৯২৪ সালে পুরুষদিগের বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ৪২৭৬১ এবং স্ত্রীলোকের ছিল ১৩২৪০ । ১৯২৫ সালে সমগ্র বাঙ্গলায় ছাত্র-সংথ্যা ২১৫০৯৪২ : ১৯২৪ সালে ছিল, ১৭৫৭-৬২ । অনুমোদিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ১৯২৪ সালে ৫৪৬৪৯ : ১৯২৫ সালে ৫৫৮৯০ । ১৯২৪ সালে অননুমোদিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ১৩৫২ , ১৯২৫ সালে হইয়াছে ১২৮৩ ৷ ১৯২৫ সালে সারা বঙ্গলায় পুরুষ ছাত্রের সংখ্যা ১৭৭০৪৭২, ছাত্রীর সংখ্যা ১৮০৫৭• । ১৯২৪ সালে পুরুষ ছাত্রের সংখ্য ছিল, ১৬৯২৬৮৮ ; ছাত্রীব সংখ্যা ৩৬৪৩৭৪ । শিক্ষার ব্যয় ১৮২৪ সালে সাধারণ শিক্ষার ব্যয় হইয়াছিল ৩৪৪৪৮৩৭৭ টাকা ; ১৯২৫ সালে হইয়াছে ৩৫৬৪৫৯৩৯ টাকা। ১৯২৫ সালের ব্যয়ের টাকার মধ্যে প্রাদেশিক রাজস্ব হইতে ১৩৩৮২৯৬২ টাকা সাহায্য পাওয়৷ গিয়াছে। জেলাবোর্ড ও মিউনিসিপ্যাল বোর্ড হইতে সাহায্য পাওয়৷ গিয়াছে যথাক্রমে ১৫৪৫৮-৫ টাকা ও ৩•৫৯৮৮ টাকা। ছাত্রদের বেতনস্বরূপ পাওয়া গিয়াছিল ১৪৬৩৭১২৬ টাকা এবং বে-সরকারী দান ৫৭৭৫-৫৮ টাকা। ১৯২৪ সালের ব্যয়ের টাকার মধ্যে প্রাদেশিক ধাজস্ব জেলাবোর্ড ও মিউনিসিপ্যাল বোর্ড হইতে যথাক্রমে সাহায্য পাওয়া গিয়াছিল ১৩• ১৯৪৮৬ টাকা, ১৪৮৯২৩৪ টাকা ও ৩৩-৩৫৪ টাকা । ১৯২৪ সালে ছাত্রদের নিকট হইতে বেতন পাওয়া গিয়াছিল,— ১৪৭১৬৩৬৪ টাকা এবং বে-সরকারী দীন পাওয়া গিয়াছিল,— ৫৬•২৮৬৯ টাকা । ১৯২৫ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পোষ্ট গ্রাজুয়েট বিভাগের জার্টস্ ও সায়েগ] ক্লাসে যখাক্রমে ছাত্র ছিল ৯৯৪ জন, ২০৪ জন। ১৯২৪ সালে ছিল ১৯৫১ ও ১৯৯ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কমার্শ ক্লাসে ১৬৮ জন ছাত্র ছিল । ১৯২৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস্ ও সায়েন্স ক্লাসে ছাত্র ছিল ৭ই জক (তন্মধ্যে ২২ জন রিসার্চ স্কলার ) । ১৯২৪ সালে ছাত্রসংখ্যা ছিল ৭৬১ । ইহা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের কমার্শ ক্লাে ছাত্রসংখ্যা ছিল ৬১ ৷ 哆 বাংলায় রাজবন্দীদের সাহায্য ভাণ্ডার— . বলীয় স্বরাজ্য দলের সম্পাদক ১১৫নং বৌবাজার ট্রট, কলিকাতা হইতে জানাইতেছেন–নিখিল ভারতীয় রাজনৈতিক বন্দী সাহায্য

  • ۹ ساعت به طول

সমিতির সম্পাদকের অনুরোধ-মত যে সমস্ত রাজনৈতিক বন্দীর আত্মীয়স্বজন আর্থিক সাহায্য চান তাহাদিগকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি জানাইতে অনুরোধ করা যাইতেছে-(১) বন্দীব নাম,(২) গবর্ণমেণ্ট পরিবারের জন্ত কত সাহায্য দিয়া থাকেন, (৩) বন্দীর পরিবারে কতজন লেক আছে, (৪) গবর্ণমেণ্ট সাহায্য না দিয়া থাকিলে পরিবারের অধিক সাহায্যের প্রয়োজন আছে কি না । বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় সম্মিলনী--- গত মাসে কৃষ্ণনগরে বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় সম্মিলনীর বার্ষিক অধিবেশন হইয়া গিয়াছে। বাংলার জেল কংগ্রেস কমিটিসমূহ কর্তৃক মেদিনীপুরের বিখ্যাত কংগ্রেস-কৰ্ম্মী ত্রীযুক্ত বীরেন্দ্রনাথ শাসমল সভাপতি নিৰ্ব্বাচিত হন। নদীঘার লীযুক্ত বসন্তকুমার লাহিড়া অভ্যর্থন সমিতির সভাপতি হইয়াছিলেন। সম্মিলনীর প্রথম অধিবেশনের দিন সভাপতি মহাশয় তাহার অভিভাষণে কয়েকটি আপত্তিজনক মস্তব্য করায়—সভস্থ অধিকাংশ প্রতিনিধি উহার মন্তব্যগুলি প্রত্যাহার করিতে অনুরোধ করেন। শ্ৰীযুক্ত শাসমল তাহা করিতে অস্বীকার করিয়া সম্ভ পবিত্যাগ করিয়৷ চলিয়া যান। তৎপরে সভায় কিছু গোলযোগ হয়, কিন্তু অবশেষে শ্ৰীযুক্ত যোগেশচন্দ্র চৌধুরীর সভাপতিত্বে নিম্নলিখিত প্রস্তব-সমূহ গৃহীত হয়।— ১ । বাঙ্গলার সর্বশ্রেষ্ঠ জননীযক রাষ্ট্রগুরু দেশবন্ধ চিত্তরঞ্জন দাশ দেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে আত্মবলিদান করিয় গত ১৬ই জুন দেহত্যাগ কবিয়াছেন। এই সন্মিলনী সমস্ত বাঙ্গলার জনসাধারণেয় পক্ষ হইতে তাহার স্বৰ্গীয় আত্মার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতেছে এবং ভগবানের চরণে র্তাহার আত্মার কল্যাণ কামনা করিতেছে । ২ । বাঙ্গলীর প্রসিদ্ধ নেতা এবং কংগ্রসের একজন প্রধান নায়ক স্তার স্বরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে এই সন্মিলনী বাঙ্গলার জনসাধারণের পক্ষ হইতে র্তাহার আত্মার কল্যাণ কামনায় ভগবানের চরণে প্রার্থনা করিতেছে । ৩। বাঙ্গালার একজন কংগ্রেস-নেতা রায় যতীন্দ্রনাথ চৌধুরীর মৃত্যুতে এই সম্মিলনী শোক প্রকাশ করিতেছে এবং তাহাব পরিবারবর্গের নিকট দেশের সহানুভূতি জ্ঞাপন করিতেছে। ৪ । এই সম্মিলনী বাঙ্গলার হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে যে-বিদ্বেষবহি জ্বলিয়া উঠিয়াছে তাহীর জন্তু আন্তরিক ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করিতেছে এবং উহা স্থির করিতেছে যে, বাঙ্গলার হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সম্ভাব স্থাপিত হইয়। উভয় ধৰ্ম্মাবলম্বী একত্রে এক-যোগে জাতীয় উদ্বোধনের কর্য না করিলে বাঙ্গলীয় স্বরাজ্য স্থাপন হওয়া অসম্ভব । উপরোক্ত কারণে এই সম্মিলনী বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাষ্ট্র সমিতিকে অনুরোধ করিতেক্ষে যে, উক্ত সমিতির হিন্দু-মুসলমান সভ্যগণকে লইয়া কতকগুলি দল বাধিয়া প্রতি দলে হিন্দু মুসলমান উভয় ধৰ্ম্মাবলম্বী সভা লইয়। মফঃস্বলে বাহির হইয়া জাতীয় স্বাধীনতা স্থাপনে হিন্দুমুসলমানের সৌহার্ল্যের প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে বিশেষ করিয়া বুৰাইবার জন্ত অবিলম্বে ব্যবস্থা করিবেন। বাঙ্গলার হিন্দু-মুসলমানের সৌহার্দ্য স্থাপনের যত্ত্বমানে ইহা একটি প্রশস্ত উপায় বলিয়৷ এই সম্মিলনী সিদ্ধাত্ত করিতেছে । - ৫ । এই সম্মেলনের মত এই যে, বাঙ্গলার কোন কংগ্রেস প্রতিষ্ঠাই কোন-প্রকার হিংসাবাদী দল দ্বারা প্রভাবাম্বিত, বা পরিচালিত কয় ? সুতরাং সভাপতি যুক্ত বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের অভিভাষণে - “যাহার এখনও Wiolonce বিশ্বাস করেন" কংগ্রেস হইতে ; পড়ন” পৰ্যন্ত অংশের সহিত এই সভা এৰমত দহেন এবং ঐ মতের निव्लां कृद्भिरडरह्न !