পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] ছিল, যে, পুলিস কমিশনার প্রথম পথে মিছিল লইয়া ঘাইবার অনুমতি দিলেও যেন হিন্দুরা তাহা লইয়া যাইতে ন পারে। যাহা হউক, মুসলমান নেতা ও জনতার চেষ্টাতেই হউক, বা অন্য যে-কারণেই হউক, পুলিস কমিশনার পথ বদলাইয়া দেন। তখন দেবীমূৰ্ত্তিসমূহকে রাস্তায় বাহির করা হইয়াছে। বারোয়ারীর কৰ্ত্তারা পচাত্তর জন মাত্র লোক লইয়া মিছিল করিতে রাজী ইষ্টলেও পুলিস কমিশনার প্রথম নির্দিষ্ট পথে যাইবার অনুমতি না দেওয়ায় বিসর্জনের মিছিল পরিত্যক্ত হইল । কিন্তু বিসর্জনের জন্য প্রতিমা বাহির করিলে তাহ আবার পূজার স্থানে ফিরাইয়া লইয়া যাওয়া হিন্দুধৰ্ম্মবিরুদ্ধ বলিয়া প্রতিমাগুলিকে প্রথম প্রথম রাস্তাতেই রাখা হয়। তাহার পর অন্যত্র রাখিয়া পূজা করা হইতেছে। প্রতিমাগুলিকে ধৰ্ম্মবিশ্বাসবশতঃ রাস্তায় রাখাতেও, সৰ্ব্বসাধারণের যাতায়াতে বাধা উৎপাদনের অভিযোগে বারোয়ারীর কার্য্যকৰ্ত্তার নামে মোকদ্দমা হয়। কিন্তু পুলিসের অতীব প্রশংসনীয় অপক্ষপাতিত্ব বশত: মুমলমানের যে রাস্তা আগুলিয়া বসিয়াছিল, তাহা দোষের বিষয় বিবেচিত হয় নাই, এবং তাহীদের নামে পথরোধের অভিযোগে মোকদম ट्य नाझे ! প্রথম অনুমতি প্রদত্ত হইবার পর কাগজে যে-ভাষায় হিন্দু ও শিখ জনসাধারণকে দলে দলে আসিতে আমন্ত্রণ করা হইয়াছিল, তাহা স্ববুদ্ধির কাজ হয় নাই,—যদিও বিজ্ঞাপনদাতাদের কোন কুমৎলব ছিল না। কিন্তু ঠিক ৭৫ জন লোক লইয়া মিছিল করিবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও পুলিস কমিশনারের পথ বদলাইয়া দেওয়া উচিত হয় নাই। পুলিস্ কর্তৃপক্ষ ত প্রথমনির্দিষ্ট পথের iারে মসজিদের অস্তিত্ব জানিয়াই অনুমতি দিয়াছিলেন। উদ্ভিন্ন, মিছিলের লোকসংখ্যা নির্দিষ্ট করিয়া দিলেও শকদের মধ্যে অনেকেই বরাবর মিছিলে যোগ দয়া থাকে, এবং তাহাতে অনুমতি-পত্রে নির্দিষ্ট মিছিলর সংখ্যা বরাবরই অতিক্রাস্ত হয় ; কিন্তু তজন্য কখনও মাঝ পথে মিছিল বন্ধ করা হয় না । প্রতি মিনিটে জনতার লোকসংখ্যা গণনা করিয়া অতিরিক্ত লোকদিগকে তাড়াইয়া দিবার অবসর ও ক্ষমতা কাহারও থাকে না । সুতরাং মিছিলে যোগ দিবার নিমন্ত্রণ কাগজে বাহির না হইলেও জনতা নির্দিষ্ট সংখ্যা অতিক্রম করিত। অতএব, কাগজে বিজ্ঞাপন বাহির হওয়াটা মিছিলের পথ বদলাইবার একটা ছুতা মাত্র r মুসলমানদের জিদ বজায় রাখাটাই আসল কারণ বলিয়া মনে হয়। তাহাদিগকে খুশী করিয়া হিন্দুদিগকে অসন্তুষ্ট করিলে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্ত বাড়িবে ও জাগরক বিবিধ প্রসঙ্গ—নারীনিৰ্য্যাতন ও বীরত্বের প্রমাণ

6.8ම් SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAMA SAMMAMAAA SAAAAA AAASA SAASAASAASAA AAASA SAASAASSAAAAA AAAASASASS থাকিবে, অতএব ইহাই শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক পন্থা—এরূপ কোন চিন্ত পুলিশের কর্তাদের মাথায় আসিয়াছিল কি না, বলা অসম্ভব। মিছিল-সম্পর্কে পুলিস কর্তৃপক্ষের আচরণের প্রতিবাদ করিবার জন্য টাউন হলে হিন্দুদের বিরাট সভা হয়। লোক খুব বেশী হওয়ায় আরও দুটা সভা করিতে হয়। টাউন হলের ভিতরের সভায় বিখ্যাত ব্যারিষ্টার নৃপেন্দ্রনাথ সরকার সভাপতি হন । তিনি খুব আইনজ্ঞ বলিয়াই পরিচিত, রাজনৈতিক আন্দোলনকারী বলিয়া তিনি কখনও পরিচিত হন নাই। অবশ্য এখন এরূপ লোকের কথাতেও ভেদবুদ্ধিগ্রস্ত ইংরেজ গবন্মেণ্ট, কান দিবেন। না। বৰ্দ্ধমানের মহারাজাধিরাজ, রাজা হৃষীকেশ লাহা, প্রভৃতি রক্ষণশীল ও রাজনৈতিক আন্দোলনে নিলিপ্ত ব্যক্তিগণ, গোপেন্দ্রকৃষ্ণ দেব, যোগেশচন্দ্র মিত্র প্রভৃতি অবসরপ্রাপ্ত সরকারী উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচাৰী প্রভৃতি মস্জিদের সম্মুখে গীতবাদ্য সম্বন্ধে যাহা বলিয়াছেন, গবর্ণমেণ্ট, তাহাতেও কান দেন নাই। এখন স্থয়োরাণীকে খুশী করা চাই-ই চাই । কিন্তু পরে ইংরেজরা নিজেদের ভ্রম বুঝিতে পরিবেন। হিন্দুরা যেন কখনও ঘৃণ্য স্থয়োরাণীর পদ লাভের চেষ্ট না করেন । র্তাহারা সুয়ো দুয়ো কোন রাণীই নহেন। “আমরা সবাই রাজা” । সকল সম্প্রদায়ের লোকসমষ্টি লইয়া ভারতীয় মহাজাতি। এই মহাজাতিকে আত্মকর্তৃত্ব বা স্ব-রাজ্য লাভ করিতে হইবে। বৰ্ত্তমান অবস্থায় স্ব-রাজ্য স্থাপনের দায়িত্ব প্রধানতঃ হিন্দুদেরই মনে হইতেছে। কারণ, তাহারা ভারতবর্ষকে আধ্যাত্মিক অনাধ্যাত্মিক সকল অর্থেই নিজেদের দেশ মনে করেন। অধিকাংশ মুসলমান আরব তুরস্ক পারস্ত আফগানিস্থান তুর্কিস্থান প্রভৃতি দেশকে নিজেদের প্রকৃত ও আধ্যাত্মিক পিতৃভূমি মনে করেন, ভারতবর্ষের জমী ও অন্যান্য সম্পত্তি এবং মুখসুবিধাগুলিই তাহারা প্রধানত: চান । হিন্দুরা যেরূপ ভারতপ্রেমিক ও ভারত-ভক্ত, মুসলমানেরা বহু পরিমাণে সেইরূপ হইলে স্ব-রাজ্য স্থাপনের দায়িত্ব র্তাহারাও অনুভব করিবেন। সুয়োরাণী হইবার ইচ্ছা ও চেষ্টাকে তখন র্তাহারাও অবজ্ঞার চক্ষে দেখিতে শিখিবেন । নারীনির্য্যাতন ও বীরত্বের প্রমাণ কয়েক বৎসর হইতে নারীহরণ ও নারীর উপর পাশব অত্যাচার চলিয়া আসিতেছে। যাহারা এইরূপ অত্যাচার করে, তাহারা পশুর অধম । তাহারা যে এরূপ অত্যাচার