পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tఏSు এই নবীন শৈলীর অনুরাগী হন এবং ইহাতেই যে র্তাহার জীবনের সার্থকতা নিহিত আছে, তাহা উপলব্ধি করেন। পরিবারিক দুর্ঘটনাবশত এক বিষম আধ্যাত্মিক বিপ্লব আসিয়া তাহার চিত্ত মথিত করিতে থাকে । তিনি বলেন, তখন ছয় বৎসর ধরিয়া র্যাফেলের পরিবর্তে পরমহংস রামকৃষ্ণদেব তাহার হৃদয় অধিকার করিয়া থাকেন । তখন বর্তমানকালের অসুভূতিকে বর্ণ ও রেথার মধ্য দিয় প্রকাশ করা অসম্ভব ভাবিয়া চিত্রানন্দ প্রমোদকুমার তাহার জীবনের সেই একমাত্র সাধনা ও পরিত্যাগ করিয়৷ বসেন। ইঙ্গর অল্পকাল পরেই তিনি সংসার ছাড়িয়া পাঁচ বৎসর কাল ভারতের নানা তীর্থ, বিশেষতঃ উত্তরাখণ্ডের প্রায় সকল রাজ্য ভ্রমণ করিয়৷ হিমালয়ের পরপারে গিয়া উপস্থিত হন । তথাকার নৈসর্গিক দৃশ্যাবলী, প্রতি মঠ, প্রত্যেক কারু-মূৰ্ত্তি দর্শন করিয়৷ তিনি এক অভিনব ভাবরাজ্যের সন্ধান পান । তিনি বলেন, “সেইসকল মঠ ও মূৰ্ত্তির অন্তর ও বাহিরে যে নিগুঢ় রহস্য আত্মগোপন করিষা আছে, তাহা আমার হৃদয়ে ঘোর আন্দোলন জাগরিত করে।” প্রাচ্যকলার মহিমা সেই সময় তাহার হৃদয়ঙ্গম হয় এবং তিন মাস তিব্বত ভ্রমণের পর তিনি যখন নূতন আলোক পাইয়া দেশে ফিরিয়া আসেন, তখন ভারতীয় শিল্পকলা যে র্তাহার ভবিষ্যৎ জীবনের একমাত্র কৰ্ম্মক্ষেত্র হইবে তাহা অমুভব করেন । অতঃপর চট্টেপাধ্যায়-মহাশয় একদিন আচার্য্য অবনীন্দ্রনাথের নিকট folás “Indian Society of Oriental Art” - two কলা ভবনে স্থানপ্রাগী হন, এবং তথায় ছাত্ররূপে প্রবেশের অতুমতি পাইয় নব্যবঙ্গীয় চিত্রকলার অনুশীলনে আত্মসমর্পণ করেন। এই সময়ের কয়েকখানি চিত্র তাহার বিশেযত্বের পূর্বাভাস দান করিয়াছিল । প্রমোদবাবু তিব্বত হইতে ফিরিয়া কিছুদিন সঙ্কটাপন্ন রোগে আক্রান্ত হইয়াছিলেন এবং তদবধি দেশে তাহার স্বাস্থ্য ভালই থাকিতেছিল না । তিনি বঙ্গের বাহিরে কৰ্ম্মস্থত্রে কোন স্বাস্থ্যকর স্থানে বাস করিবার ইচ্ছ। উহার গুরুদেব আচাৰ্য্য অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জানাইলে, তিনি ' অন্ধ জাতীয় কলাশালার উল্লেখ করেন। এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় সৰ্ব্বপ্রধান উকীল স্বদেশভক্ত, স্বজাতি প্রবাসী শ্রাবণ, ১৩৩৩ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড বৎসল কোপল্পে হনুমন্ত রাও গারু কর্তৃক স্থাপিত। সেখ অক্লান্তকৰ্ম্মী ইহার জন্য স্বীয় সারাটি জীবন উৎসর্গ করি, সম্প্রতি পরলোকগমন করিয়াছেন। এখানে স্কুল ও কলেজ বিভাগ ব্যতীত সঙ্গীত-বিভাগ, নিম্ন প্রাথমিক অঙ্কন বিভাগ, এঞ্জিনীয়ারিং, মেকানিক্স্, বয়ন, রঞ্জন, ছিটবধ মুদ্রণ, তক্ষণ প্রভৃতি শিল্পবিভাগগুলি তিনি জীবন দিধ প্রতিষ্ঠা করিয়া গিয়াছেন । কিন্তু র্তাহার আধুনিক ভারতীয় চিত্রশিল্প বিভাগ প্রতিষ্ঠা করিবার প্রবল বাসন ছিল । নব্যবঙ্গীয় চিত্রকলার প্রবর্তক অবনীন্দ্রনাথ প্রমুখ শিল্পিগণ যে কলাশৈলীর সৃষ্টি করিয়াছেন, বাপ হনুমন্ত রাও অন্ধ দেশে তাহার প্রতিষ্ঠা করিবার জন্ত বদ্ধপরিকর হইয়াছিলেন । কিন্তু র্তাহার জীবদ্দশায় এবিষয়ে তিনি পরিচালক-সভায় কোন সভ্যের, কি তাহার বন্ধুগণের নিকট হইতেও কোন উৎসাহ পান নাই । বরং তাহারা তাহীর সংকল্পে বাধা দিতেও সঙ্কোচ বোধ করেন নাই। পরিচালক-সভা অন্ধ দেশীয় সাত জন লঞ্চপ্রতিষ্ঠ ব্যক্তি দ্বারা গঠিত। তন্মধ্যে জন্ম ভূমি নামঞ্চ সাপ্তাহিকের সম্পাদক প্রযুক্ত ভোগরাজু পাটভি সীত; রামাইয়া এবং প্রসিদ্ধ “কৃষ্ণ পত্রিকার” সম্পাদক শ্রযুক্ত মুটিমুরী কৃষ্ণরাও এই প্রতিষ্ঠানের বিধাতা। ইহাদের প্রভাব এপ্রদেশে বহুবিস্তুত । এই গবর্ণিং বডির অধীন “Board of Life Members” atom of f*** সমিতি আছে । তাহারা কলাশালার কার্য্য-বিভাগে তকট ক্ষমতাপ্রাপ্ত । র্তাহারা বাঙ্গালীর শিক্ষকতা এব: বঙ্গীয় নব্যকলার অনুকুল মোটেই ছিলেন না। *Cesco Modern Indian Arto ( আধুনিক ভারতীয় ললিতকলা ) বঙ্গীয় প্রচেষ্টার ঘোর বিরোধী ছিলেন। তাহাঁদের ধারণার অনুযায়ী একমাত্র বুলিই ছিল Bengal Art is no Art. . It cannot be termed as an Art ( বঙ্গীয় ললিতকলা ললিতকলাই নয়। ইহাে ললিতকলা নাম দেওয়া যাইতে পারে না ) । অনেে আবার বাবু হনুমন্ত রাওয়ের মস্তিষ্ক-বিকার সন্দেহ ক:ি তেন। কিন্তু সেই মহাপ্রাণ প্রতিষ্ঠাতা প্রাণ থাকিতে এ ” প্রবল আন্দোলনের বাধা অতিক্রম করিতে না পারিলে প্রাণ দিয়া উদ্দেশ্য সফল করিয়া যান। কলাশাল : 으le