Q3、b" অস্তমুখী করিয়া তোলে সেখানে তিনি অতিরঞ্জিত অমার্জিত স্থূলতা দেখিতে পান ।” ফলে ডাক-বিভাগ প্রতিকূল প্রস্তাব প্রত্যাহার করেন, আন্ধ, জনসাধারণের দৃষ্টিকোপ পরিবর্তিত হয়, কলাভবনের কত্ত্বপক্ষগণ র্যtহার হস্তে র্তাহীদের জাতীয় অনুষ্ঠানটি গড়িয়া তুলিবার ভার ন্যস্ত করিয়াছিলেন, র্তাহার প্রতি আর ও শ্রদ্ধান্বিত এবং বিশ্বাসপরায়ণ হন, এবং চিত্রশিল্পীর সহিত আচাৰ্য্য কজিনস্ সাহেব ঘনিষ্ঠ পরিচয়ের মধ্য দিয়া বন্ধু সুস্বত্রে বদ্ধ হন, বিবিধ সংবাদ ও সাময়িক বক্ততা মুখে র্তাহার সেই বন্ধুত্বের প্রতিদান স্বম্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে i আচার্য্য কজিনস্ সাহেব, র্তাহার “সমদৰ্শন" নামক উচ্চাঙ্গের ও গভীর-পাণ্ডিত্য-পূৰ্ণ গ্রস্থে প্রমোদবাবুর চিত্রসমালোচনা এবং ভারতীয় চিত্রকলায় সমদর্শনের আলোচনা-স্বত্রে প্রমাদবাবুকে অতি উচ্চ স্থান দান করিয়াছেন । যাহার। নব্য বঙ্গীয় চিত্রশিল্পপদ্ধতির প্রবর্তন এবং বাঙ্গালী শিল্পাচার্য্যের নিয়োগ প্রস্তাবের ঘোর বিরোধী ছিলেন, বাঙ্গালার শিল্পীদের চিত্র র্যাঙ্গদের নয়নে অতৃপ্তিকর এবং বিদ্যুপের বিষয়ীভূত হইয়াছিল, যাহারা প্রতিষ্ঠাতার প্রাণপণ চেষ্টার বিরুদ্ধে দাড়াইয়। জীবনে আর তাহকে কৃতকাৰ্য্য হইতে দেন নাই, তাহারাই প্রথম বৎসরের কায্য দেখিয়া প্রমোদবাবুর অতুরক্ত az: “Neo-Bengal School” az ērē zēni zitŲ-Į একদিন শিক্ষামন্ত্রী কলাখুলি এবং বিশেষভাবে ইহার আর্টবিভাগটি দেখিতে আসিলে, পাট্যাভি সীতারামাইয়া মহাশয় তাহার নিকট প্রমোদবাবুর পরিচয় করাইবার কালে বলিয়াছিলেন— “Sjt. Chatterjee is an asset to us. is his life work.” তাৎপৰ্য্য—“চট্টোপাধ্যায় মহাশয় আমাদের একটি সম্পত্তি বিশেষ, এই বিভাগটি গড়িয়া তোলাই তাহীর জীবনের কাজ ।” তিনি তাহার সম্পাদিত কাগজে লিখিয়াছিলেন— “Our duty is to offer our thanks to Babu l?rounode Kumar Chatterjee, who has made himself an exile in Machlipatnam and is anxions to create a contre of Andlira art of the Orieantal School ere long.” This section প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড তাৎপৰ্য্য—“বাবু প্রমোদকুমার চট্টোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ দেওয় আমাদের কৰ্ত্তব্য ; তিনি মছলিপত্তনে নিৰ্ব্বাসনে দিন কাটাইতেছেন এব: অচিরে প্রাচ্য শিল্পের একটি অন্ধ শাখার কেন্দ্র গড়িয়া তুলিতে উদ্গ্ৰীব হইয়| উঠিয়াছেন।” তাহার সহিত যোগ দিয়া স্বরাজ্য-সম্পাদক ১৯২৩ সালের ১লা অক্টোবর লিথিয়াছিলেন— “In Sit. Promode Kumar Chatterjee, the artist of the Kalasala, Andhradesa has come to recognise a youngman of talent and accomplishment willing to dedicate himself to the services of the institution, and to develop in the coming years a new centre of Indian art capable of expressing distinctive genius of the Andhras. * * * It will he scen that young Andhra artists have placed themselves minder the guidance of Sit. ('hatterjee in the true spirit of discipleship and imbilled his genius so far as to produce soine exquisite picture like “YakshaPatni” and “Moonlit Night.” It is of happy augury that the revival of Indian art which received its first impulse in Bongal has led to the growth of a new centre in all the linguistic and cultural units of the land.” তাৎপৰ্য্য—“কলৗশলীর শিল্পী ত্রযুক্ত প্রমোদকুমার চট্টোপাধ্যায়কে অন্ধ দেশ প্রতিভাশালী ও কুতবিদ্য যুবক বলিয়। জানিঃছেন ; ইনি এই প্রতিষ্ঠানের সেবায় আপনাকে উৎসর্গ করিতে ইচ্ছ,ক এবং অচির ভবিষ্যতে ভারত-শিল্পে আগ্ধ প্রতিভার বিশেষত্ব প্রকাশক একটি কেন্দ্র গড়িয়া তুলিতে ইচ্ছক । * * * তরুণ আন্ধ শিল্পীরা যে প্রকৃত শিষ্যের মত চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের পরিচালনায় কাজ করিতেছে এবং শুtহার প্রতিভায় অনুপ্রাণিত হইয়াছে তাহ। "যক্ষপত্নী”ও “জ্যোৎস্না-রীত্রি” প্রভৃতি উৎকৃষ্ট চিত্রগুলির স্বষ্টি হইতেই প্রকাশ পাইতেছে। ভারতশিল্পের এই যে নবজাগরণ বাংলার নিকট হইতে প্রথম উদ্দীপন পাইয়া ভারতের বিভিন্নভাষাভাধী ও বিভিন্ন সভ্যতাদ্যোতক দেশে নুতন কেন্দ্র সৃষ্টির কায্যে লাগিয়া গিয়াছে ইহ। বাস্তবিকই শুভ লক্ষণ ।” কৃষ্ণ পত্রিকার সম্পাদক শ্রীযুক্ত কৃষ্ণরাও মহাশয় প্রমোদ-বাবুর চিত্র-সমালোচনা-স্বত্রে তাহার ভূরি ভূরি প্রশংসা করিয়াছেন এবং অন্ধ, দেশকে তিনি কতটা ঋণে বদ্ধ করিয়াছেন তাহা স্বীকার করিয়াছেন। র্তাহারই মুখের কথা লইয়া “স্বরাজ্য’ পত্রিকার সম্পাদক মহাশয় লিখিয়াছেন : “During his short stay of a little over a year he has been able to inspire a few Andhra youngmen with devotion to the art of painting. He has the wbnderful knack of cliciting the native talent of the youngmen by his precept and example. IIis ultimate aim is to help to start an independent
