পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆషి అ প্রবাসী—শ্ৰাবণ ১৩৩৩, [ ২৬শ ভাগ, ১মথ ও ১৯২৪ সালে ২১৫১ হাজার টন পণ্য-দ্রব্য বেশী স্বয়েজ খাল দিয়া রপ্তানী হইয়াছিল। তন্মধ্যে করাচী বন্দর হইতেই ১২৫৬ হাজার টন বেশী রপ্তানী হইয়াছিল । বৎসরে প্রায় তিন হাজার জাহাজ এই বন্দরে বাতায়াত করে। শুকুর (Sukkur) জলাধায় নিৰ্ম্মাণ শেষ হইলে করাচীর রপ্তানী আরও বৃদ্ধি হইবে। ১৯১৭ খৃঃ পোর্ট টু ষ্ট্রের ২৬১ লক্ষ টাকা দেন ছিল। বর্তমানে দেন৷ ৩৷ কোটি টাকা, ট্রাষ্টের সম্পত্তির মূল্য ৬ কোটি টাকা। তিন কোটা টাকা ব্যয়ে বন্দরের উন্নতিসাধন হইতেছে । আমদানী দ্রব্য :–স্থত, পশমের বস্ত্র, চিনি, লোহ, ইস্পাত, কেরোসিন তৈল, কয়লা । রপ্তানী দিবা –গম, ছোলা, যব, ভুট, স্বতা, বালী, তৈলবীজ, পশম, চামড়া, হাড় । ২ । কেটাবন্দর-সিন্ধু প্রদেশে অবস্থিত। ইহা একটা ক্ষুদ্র বন্দর। এখান হইতে বিদেশে পণ্য-ফ্রব্য আমদানী রপ্তানী হয় । - ৩। শিরগঞ্জ-সিন্ধু প্রদেশে অন্ততম ক্ষুদ্র বন্দর। সামান্ত পরিমাণ মাল বিদেশে আমদানী-রপ্তানী হয় । ৪ । মাওঁী—কচ্ছ প্রদেশের প্রধান বন্দর। a । দ্বারকা—বরদ রাজের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত ক্ষুদ্র বন্দর। ২৫ লক্ষ টাকা বায়ে এই বন্দরের উন্নতি সাধিত হইয়াছে। ইহ। হিন্দুদের তীর্থস্থান । ৬। পোর বন্দর-কাটীবার প্রদেশের প্রধান বন্দর। এক সময়ে বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্ত প্রসিদ্ধ ছিল। অধুনা পশ্চিম উপকূলের বন্দরের সহিত আদান-প্রদান হয় । ৭ । ডিউ—পর্তুগীজদের অধিকৃত ডিউদ্বীপে অবস্থিত। এই স্থানে উৎকৃষ্ট জেঠী আছে। ৮। স্বরাট—সমুদ্রোপকূল হইতে ১৪ মাইল দূরে নদী-তীরে অবস্থিত। ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী এখানে প্রথমে কুঠ স্থাপন করেন। বিগত শতাব্দীর প্রথম হইতেই বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্ত প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিল। তুলা ও অস্তান্ত উৎপন্ন দ্রব্য এই বন্দর হইতে রপ্তানী হইত। ১৮৯১ খৃষ্টাব্দে এখানে দেড় কোটি টাকার কারবার হর । ইহার একশত বৎসর পরে এই বন্দরে মোট ৩০ লক্ষ টাকার কারবার হয়। গত পনের বৎসর ইহার আরও অবনতি হয় । ৯। ডমন—পৰ্ব গীজ উপনিবেশের রাজধানী। এই উপনিবেশের পরিমাণ ১৪৯ বর্গ মাইল লোক-সংখ্যা ৪৭ হাজার। ভারতে পর্তুগীজদের শক্তি-হ্রাস হইলেও এই বন্দর হইতে গুজরাটের তুল৷ পৰ্য্যাপ্ত পরিমাণে পূর্ব আফ্রিকার রপ্তানী হইত। এই বন্দর হইতে মাকাওএ আফিম রপ্তানী হইত। বিগত শতাব্দীর মধ্যভাগ হইতে এই বন্দরে বৈদেশিক বাণিজ্য ক্রমশঃ হ্রাস হইতেছে । এখন আর বিদেশের সহিত আদান-প্রদান নাই। - ১• । বোম্বাই-পশ্চিম উপকূলে বোম্বাই দ্বীপে অবস্থিত। ভৌগোলিক অবস্থার অনুকূল ও বহিৰাণিজ্যের পক্ষে বিধা হওয়ার এবারের ক্রমশঃ উন্নতি হইতেছে। দ্বিতীয় চালর্স এই দ্বীপ বিবাহে উপটৌকন পাইয়াছিলেন। ১৬৬৮ খৃষ্টাব্দে তিনি ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর নিকট হইতে এই দ্বীপ বার্ষিক ১৫০ টাকা খাজনায় বন্দোবন্ত করেন। ইহার দেড়শত বৎসর পরে ইংরাজের দাক্ষিণাত্য জয় করিলে বোম্বাইরে এই প্রদেশের রাজধানী স্থাপিত হয়। উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পৰ্য্যত্ব ইহা একটি ক্ষুদ্র বন্দর ছিল । ১৮৩৮ খৃষ্টাৰো ইংলও ও বোম্বাইয়ের মধ্যে নিয়মিত ভাৰে মিশর দিয়া ডাক-প্রেরণের বন্দোৰন্ত হয় । sv७v-vv शैहेोरका 4है दन्नरब्र a२॥० cकां★ छैोकांब वांल बांभषांर्नेौ রপ্তানী হয় । ১৯১৮-১৯ খ্ৰীষ্টাব্দে আমদানী-রপ্তানী দ্রব্যের পরিমাণু ২৪৬ কোটি টাকা । এখানের অধিকাংশ কলকাখানা ভারতীরের মূলধনে ভারতীরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত। বোম্বাই ভারতের শ্ৰীবৃদ্ধি সাধন করিতেছে। বন্দরের কার্য্য পোর্ট ট ষ্ট্রের দ্বারা সম্পাদিত হয়। গভর্ণমেন্টের বন্দরের বার্ষিক আয় দুই কোটী বাট লক্ষ টাকা । দেন। ২•৭০ লক্ষ টাকা। ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দরের বিস্তুতি সাধন হইয়াছে। আমৃদ্ধানী দ্রব্য—কেরোসিন ও জ্বালানী তৈল, কয়ল, তুলা, কাপড়, ইট, টালি, বালি, চুন, শস্ত, লোহ, ইস্পাত চিনি, কলকজা, রেলের যন্ত্রপাতি, লৌহ নিৰ্ম্মিত দ্রব্য, কাঠ, জ্বলানি কাঠ, স্বতা, খড়, বিচালি, পশম প্রভৃতি । রপ্তানী দ্রব্য—কেরোসিন তেল, তুলা, বীজ, manganese ore, শস্ত, চামড়া, স্বতী, কাপড়, কয়লা, চিনাবাদাম, চিনি, হরিতকী, লৌহ, হাড়, আফিম প্রভৃতি । ১১ । মারমোগোয়—বোম্বাইএর দক্ষিণে কঙ্কণ-উপকুলে বোম্বাইর পরেই এই বন্সর অবস্থিত। পর্তুগীজ-অধিকৃত পাপ্লিম এই বন্দরের ৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত। গত কয়েক বৎসরে এই বন্দরের যথেষ্ট উন্নতি হইয়াছে। মহিশুর, হায়দ্রাবাদ ও দক্ষিণাত্যের উৎপন্ন দ্রব্য প্রধানত: তুলা ও ম্যাঙ্গানিজ এই বন্দর হইতেই বিদেশে রপ্তানি হয়। পৰ্ব গীজ অধিকৃত স্থানের লবণ, কাচ, নারিকেল, স্বপারি রপ্তানী হয়। এই বন্দরে বৎসরে ৭২৷• লক্ষ টাকার মাল আমদানী হয় । এবং ১২ লক্ষ টাকার পণ্য-দ্রব্য রপ্তানী হয় । ১২ । মাঙ্গালোর—গোয়ার দক্ষিণে বোম্বাই প্রেসিডেন্সির উত্তর কানারা জেলায় গোরপুর ও নেত্রাবতী নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত। মারমোগেtয়া হইতে এই বন্দর ১৩০ মাইল । ইহা সাউথ ইণ্ডিয়ান রেলের উত্তর-পশ্চিম সীমা । সহরের লোক-সংখ্যা ৫৪ হাজার । মহিশুরের কফি ও চন্দন-কাঠ এবং পার্শ্বস্থিত স্থান-সমূহ হইতে গোল মরিচ এই বন্দর হইতে ইউরোপে রপ্তানী হয়। টালি, চাল, নোনা মাছ, শুষ্ক ফল, মাছের সার, সিংহল, গোয়া, ও পারস্ত উপসাগরে রপ্তানী হয় । পোজ দ্বীপ ও আমিউীভী দ্বীপের অধিবাসীরা তাহাজের উৎপন্ন দ্রব্য বিক্রয়ার্থ এই বন্দরে লইয়া আসে। ১৯১৩–১৪ খ্ৰীষ্টাব্দে ১১৪টি জাহাজ এই বন্দরে লঙ্গর করে । ১৩। ভেলিচেরী—মাঙ্গালোরের ৯৪ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত। ইহার ১৪ মাইল উত্তরে ক্যানানোর সহর। লোক-সংখ্যা ৩০ হাজার। মাইশুর ও কুর্গের কফি, গোলমরিচ এই বন্দর হইতে রপ্তানী হয়। (copra) নারিকেলের শাস, চন্দন-কাঠ ও চা এই বন্দর হইতে রপ্তানী হয়। ১৯১৩-১৪ খ্ৰীষ্টাব্দে ১২৮টি জাহাজ এই বন্দরে নঙ্গর করে। আমৃদ্ধানী ও রপ্তানী দ্রব্যের পরিমাণ ৩৮১ হাজার টন। সময়ে সময়ে এই বন্দরে বাঙলা দেশ হইতে চাউল আমদানী হয় । ১৪ । মাহে–তেলিচেরীর ৫ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত। ইহা ফরাসী-অধিকৃত স্থান। পরিমাণ ৫ মাইল ; লোক-সংখ্যা ১০ হাজার। মাহি নদীর তীরে একটি পৰ্ব্বতের পাদদেশে অবস্থিত । ১৫। কালিকট-কোচনের ৯• মাইল উত্তরে এবং তেলীচেরীর ৪২ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত। মালাবার জেলার প্রধান সহর। মাত্রাঙ্গ হইতে রেলে এই সহর ৪১৩ মাইল । লোক-সংখ্যা ৮২ হাজার । সমুদ্রোপকূল হইতে ৩ মাইল দূরে আসিয়া জাহাজ নজর করে। নৌকাযোগে তীরে মাল নীত হয়। এখানে লাইট-হাউস (আলোকপ্তম্ভ) আছে। সমুত্রে ১২ মাইল দূর হইতে এই আলোক-হাউস দৃষ্ট হয়। ১৯১৩-১৪খ্ৰীষ্টাব্দে ১৮৭ জাহাজ এই বন্দরে নজর করে। নারিকেলের ছোবড়া, নারিকেলছড়ি, কফি, চা, গোলমরিচ, আদা,