পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ર્લ সংখ্যা} "7 - يا "قه ধড়িবাজ Woo দখলে যে, মোক্তার-বাৰু তখনও তাদের প্রতীক্ষায় ড়িয়ে রয়েছেন আর তাদের সাথীটি পচিশ ঘা বেত ধয়ে বটগাছের শিকড়ের উপরে ব’সে যন্ত্রণায় ডাকৃ ছেড়ে গদ্‌ছে। বেতের ঘায়ে বেচারার পিঠের দুচার জায়গা কটে রক্ত ঝর্ছে। তাদের আসতে দেখে মোক্তার-বাবু রেগে বললেন— ভারি কাজের লোক তোমরা যা হ’ক । সামান্য একটা গজ করতে এত দেরী করলে আমি বেত বন্ধ করব কেমন 'রে। দশটা মিনিট আগে এলেও যা হয় একটা-কিছু করে ফেলা যেত। দেখি, কি এনেছ দাও ।” ব’লে তাদের তি থেকে ষ্ট্যাম্প ইত্যাদি নিয়ে তিনি ডেপুটীর এজ"াসে ঢুকে গেলেন । যে-লোকটার বেত হয়েছে সে কঁদে বললে—“তখনই বলেছিলাম কাছারী দেখে কাজ নই। গরু কিনতে এসেছি গরু কিনেই ফিরে যাই। স-কথা তখন তোমরা শুনলে না । কাছারী দেখাতে নে আমার জান মেরে দিয়েছ একেবারে।” সঙ্গী দু’জন আর একথার কোন জবাব না দিয়ে চুপ করে বসে রইল। 6t মনকাট মোকদমার জের তখনও চলছিল। বিপক্ষের দক্ষিীর কাছ থেকে আসামী-পক্ষের মোক্তার ফরিয়াদীর কানের কয় ইঞ্চি পরিমাণ কাটা হয়েছে এবং তাতে কানের যথার্থ ক্ষতি কতটুকু হয়েছে তাই আবিষ্কার করার প্রয়াস পাচ্ছিলেন। ডেপুটী-বাবু নিরুপায় মুখে মোক্তার-বাবুর জেরা শুনছিলেন। ঠিক এই সময়ে মধু মোক্তার গিয়ে তার কানে কানে বললেন— "হুজুর সর্বনাশ হয়েছে! সমূহ বিপদ উপস্থিত । আজ ধার বেতের হুকুম দিয়েছিলেন, সে আসামীট কৌশলক্রমে পাহার-ওয়ালাদের হাত থেকে পালিয়ে গেছে, তারা আবার তাকে ধবৃতে না পেরে অন্ত একটা লোককে {"রে এনেছিল। এখন ৱেত হ’য়ে গেছে নির্দোষী ৰেচারারই। তার আত্মীয়-স্বজনরা ত আপনার বিরুদ্ধে দরখাস্ত করব ব'লে চেঁচাচ্ছে—আমি অনেক ক’রে থামিয়ে রেখে আপনার কাছে এসেছি।” শুনে ডেপুটীবাৰু জিজ্ঞাসা করলেন—“বটে ! কোথায় সে লোকটা ?” মোক্তারবাবু বললেন—“ইচ্ছা হ’লে আপনার খাস কামুরার উত্তর দিককার জানালায় দাড়িয়েই দেখতে পারেন, আর বলেন তাকে কোর্টেও ডেকে আনতে পারি।" ডেপুট-বুৰু বললেন—“জানাল থেকেই আগে দেখি, তার পর যা হয় করা যাবে।” উঠে গিয়ে জানলায় দ্বাড়িয়ে লোকটাকে দেখে ডেপুটীবাবুর মুখ বিবর্ণ হয়ে উঠল। হতভম্বভাবে তিনি বললেন —“দেখলাম ত, আমি এর আর কি করব ? ওরা যা জানে করুক গে ।” মোক্তার-বাবু বললেন—“হুজুর কথাটা ভাল ক’রে বুঝে দেখবেন একবার । ৰেত হ’বার নিয়ম হচ্ছে কাছারীর পরে। যে হাকিম বেতের হুকুম দেবেন বেতের সময় তাকেও খোদ খাড়া থাকৃতে হবে । বেত যদিও নিয়মাকুযায়ী কাছারীর পরেই হয়েছে। কিন্তু আপনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। ওরা যদি দরখাস্তে এইসব কথা উল্লেখ করে আর এই নিয়ে খবরের কাগজে আলোচনা চলতে থাকে, তা হ’লে—ছোট মুখে বড় কথা বলতে হয়—হুজুরের চাকুরী নিয়েও কিন্তু একটা গোলযোগ বাধা অসম্ভব নয়।” ডেপুটী-বাবু ভেবে দেখলেন, কথাটা বড় মিথ্যা নয় । এসব নিয়ে ঘাটাঘাটি যত কম হয় সেই ভাল। তাই তিনি জিজ্ঞাসা করলেন—“এখন তা’হলে করা যায় কি ?” মোক্তার-বাবু বললেন—“করা আর কি ? একটা মিটুমাট ক’রে ফেলিগে । হাজার হ’লেও ছোটলোক ত ? বেত খেয়েছে—তাতে হয়েছে কি ? কিছু টাকা পেলেই সব ভুলে যাবে।” ডেপুটী-বাবু আর বাক্যব্যয় না ক’রে আর্দালীকে ডেকে ফিস ফিস্ ক’রে কয়েকটা কথা বললেন । অতি অল্প সময়ের মধ্যেই আর্দালৗটা মোক্তার-বাবুকে একটু আড়ালে ডেকে নিয়ে গিয়ে দশ টাকা ক’রে, দশ খান নোট তার হাতে গুণে দিল । নোট পেয়ে মোক্তার-বাবুর মুখে আর হাসি ধরে না। যাবার সময় ডেপুটী-বাবুকে সেলাম ক’রে ব’লে গেলেন—“আমি চললুম-আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন।” সন্ধ্যা উত্তরে গেছে । লোক তিনটি মোক্তার-বাবুর অপেক্ষায় তখনও বাইরে দাড়িয়ে আছে। কোর্ট থেকে বেরিয়েই অতি দ্রুতপদে মোক্তার-বাবু তাদের সানে গিয়ে হাত মুখ নেড়ে বললেন--“তখনই ত বলেছিলুম, বাবা, এর নাম ইংরেজের মুল্লুক—এখানে কি নির্দোষীর গায়ে হাত তুলে পার পাবার উপায় আছে কারো ? দ্যাখ, মজাটা এইবার । কাল এতক্ষণ লেংটা পরে রাস্তায় ব’সে বাছাধনদের পাথর ভাঙতে হবে।" ব্যাপার বুঝতে না পেরে তারা জিজ্ঞাসা করূলে--"কি হয়েছে খুলেই বলুন না ? আবার আমাদের কারো নতুন ক’রে জেল-টেলের "হুকুম হ’ল নাকি ?” গোফে তা দিয়ে মোক্তার-বাৰু বললেন—“আরে না—না। এখনও বুঝতে পারেনি ? যে থোট্টা কনষ্টেবল দুটো তোমাদের সাথীকে বেঁধে এনে অকারণে বেত থাইয়েছিল, তাদের ত কাল পালটা বেতের হুকুম হ’য়ে গিয়েছে-ই, তার পরেও প্রত্যেককে তিন হগুt