পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা 1, পুজার শাড়ী ఇలిసి লইবার আশায় সে শুইয়াছিল। কিন্তু শরীরের ক্লাস্তি তাহার মনের সংকল্পকে অল্পসময়েই হার মানাইয়া দিল । দেখিতে দেখিতে সে ঘুমাইয়া পড়িল । দরজার কড়ানাড়ার শব্দে লীলার ঘুমটা চট্‌ করিয়া ভাঙ্গিয়া গেল। সে সুষমাকে ঠেলা দিয়া ডাকিতে লাগিল, “মা, ম', দেখ দরজার কাছে কে যেন ডাকৃছে।” সুষম উঠিয়া দেখিতে গেল আহবানকারীটিকে । কপাটে একটা সুবিধামত ছিদ্র ছিল, তাহার ভিতর দিয়া দেখিল সেই ভদ্রলোকটি দরজার সাম্নে দাড়াইয়া আছে। স্বৰ্ষমা দরজা খুলিবে কিনা ভাবিতে লাগিল, কারণ অপরিচিত ভদ্রলোকের সঙ্গে কথা বলার অভ্যাস তাহার ছিল না। কিন্তু মানুষটির মুখে এমন গভীর বেদনার চিহ্ন, যে বেশী ইতস্তত: না করিয়া সে দরজা খুলিয়া দিল । বলিল “উনি ত নেই, বেরিয়ে গেছেন।” লোকটি বলিল “আমি আপনারই কাছে দয়া ভিক্ষ কবৃতে এসেছি মা । আমার টাকা নেই যে শাড়ীর দাম দেব, কিন্তু শাড়ী ফিরিয়ে দেবার শক্তিও আমার নেই। আমার স্ত্রী চ’লে গেছেন। যাবার আগে শেষ ইচ্ছা জানিয়ে গেছেন যে র্তাকে যেন ঐ শাড়ীখানি পরিয়ে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। যখনি আমার ক্ষমতায় কুলবে আমি আপনাদের অর্থের ঋণ শোধ করে যাব মা, কিন্তু , দয়ার ঋণ কোনোকালে শোধ হবে না।” স্বষমার দুই চোখ জলে ভরিয়া উঠিয়াছিল। সে বলিল, “শাড়ীটা আমারহ জন্যে কেনা হয়েছিল, আমিই আপনাকে দিচ্ছি। টাকার জন্যে আপনি ব্যস্ত হবেন না, যখন হয় দেবেন।” “ভগবান আপনার মঙ্গল করবেন মা,” বলিয়া ভদ্রলোক চলিয়া গেলেন। * স্বযম ঘরে গিয়া দেখিল লীলা নিজের যত হাড়িকুড়ি বাহির করিয়া খাটময় ছড়াইয়া খেলিতে বসিয়াছে। স্বষম খানিকট নিশ্চিস্ত হইয়া বিকালের রায়ার জোগাড়ে লাগিল । . . 射 স্বৰ্ষমার সব কাজ ছিল খুব গোছালো, পরিপাটি। লীলার অস্থখের ধাক্কায় রান্নাঘর ক'দিন পরিষ্কারই করা হয় নাই। সে এখন ঝাড়িয়া মুছিয়া সব ঠিক করিতে 8يكسيسه8هم লাগিল। কাজের মধ্যে সে এমনি ডুবিয়া গেল যে, রাস্ত দিয়া যে বাজনার শব্দ ক্রমে ক্রমে নিকটে আসিতেছে, সেদিকে তাহার খেয়ালই রহিল না । হঠাৎ সদর দরজাটা সশবে খুলিয়া চীৎকার করিয়া বলিল, “দেখেছ গো, জোচ্চোরটার কৰ্ম্ম ? একটু এসে দেখে যাও।” সুষম তাড়াতাড়ি তাহার কাছে গিয়া বলিল “কি ? কি হয়েছে ?” “জানলা দিয়ে দেখন,তাহ’লেই দেখবে কি হয়েছে।” অনিলের উত্তেজনায় অবাক হইয়া স্বযম জানলা দিয়া তাকাইয়া দেখিল। রাস্ত দিয় একদল শ্মশানযাত্রী চলিয়াছে। তাহাদের সামনে ব্যাণ্ডের বিলাতী বাজনা আর একদল ভিখারী। বারেবারে মুড়ি খই, কড়ি আধ পয়সা প্রভৃতি যা ছিটানো হইতেছে তাহাই কুড়াইবার জন্ত ইহারা শকুনির মত কাড়াকড়ি করিতেছে । চারজন লোক ছোট একটি দড়ির খাটিয়ায় মৃতের দেহ বহন করিয়া লইয়া যাইতেছে। দেহটি তরুণী রমণীর তাহার' স্বন্দর মুখে শাস্তির হাসি তখনও জলজল করিতেছে। তাহার শুভ্ৰ কপালে সিঁদুরের ফোট শুকতারার মত ফুটিয়া আছে, পরিধানে তাহার সেই ময়ুরকষ্ঠ শাড়ীটি। অনিল হাত নাড়িয়া বলিল, “যাকু, টাকাও গেল, শাড়ীটাও গেল। কিন্তু লোকটা কি পাজী !” স্বষম জানলার কাছে নত হইয়া মৃতী রমণীকে নমস্কার করিতেছিল । অনিলের কথায় বলিল, “আমন কথা বোলোনা গে। আমার শাড়ীর জন্যে কোনো দুঃখ নেই। অমন কপাল যেন আমার হয়। লোকটি এসে শাড়ী রাখবার অনুমতি আমার কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে গেছে । মেয়েটির শেষ ইচ্ছা আমাদের জন্যে যদি রক্ষা না হত, তাহলে, আমাদের ওপর শাপ লেগে থাকত ।” অনিল কথা বলিল না। পরদিন গিয়া সে স্থষমার জন্ত একখান অল্প মূল্যের নীল ঢাকাই শাড়ী কিনিয়া আনিল, কারণ পূজার সময় যেমন তেমন হউক একখানা न्ऊन भाफ़ी १ब्र क्रांश् ऊ ? ऐशरङहे शबमादक