পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

《: 8 স্বষ্টি করিতে পারেন তবে যেন আমার সহিত যুদ্ধ করিতে আসিবার সাহস করেন । ইংর পর হসন এমন একটি উপত্যকা খুঁড়িয়া বাহির করিলেন, যাহার চারিদিকে ঋজু পর্বতমালা এরূপে প্রাচীরের মত দণ্ডায়মান, যে, বাহির হইতে সে উপত্যকার অস্তিত্ব পর্য্যস্ত জানিতে পারা যাইত না । তাহার একমাত্র প্রবেশের পথে তিনি একটি দুর্ভেদ্য দুর্গ, ও ঐ দুর্গ-মধ্যে আপনার রাজপ্রাসাদোপম বাসস্থান নিৰ্ম্মাণ করিলেন। উপত্যকাটি একটি মনোরম উদ্যানে পরিণত করিলেন। কোরাণে বহিশত বা স্বর্গের খে-বর্ণনা আছে, সেই বর্ণনা-মত উদ্যান ও ভtহার মধ্যে নানাস্থানে সুন্দর গৃহ নিৰ্মাণ করিলেন। গৃহে নানা প্রকার চিত্র অঙ্কি ও হইল, উদ্যানে মানাপ্রকার স্বাদু ফল ও বিচিত্র পুপ-বৃক্ষ রোপিত হইল, ও নাম স্থানে নানাপ্রকার সুগন্ধ দ্রব্য বিশেষতঃ মৃগনাভি দ্বারা সুগন্ধিত করা হইল। উদ্যান-মধ্যে চারটি পদ্মনাল। প্রস্তুত করা হইল। উহার আজ্ঞা হইলে এই পয়নালীতে দুগ্ধ, স্বর, মধু ও নিৰ্ম্মল জল বাহিত হইত। উদ্যালে কতকগুলি পরম স্বন্দী চতুরা শিক্ষিত যুবতী বিচরণ করিত। তাহার কোরাণে বর্ণিত স্বর্গের হুরিদের তামুকরণে অভিনয় করিত। এইরূপে হসনের বহিশত স্থাপিত হইল। হসন বাছিয়া বাছিয়া সাহসী যুবকদের শিষ্য করতেন, তাহদের অন্ত্র-ধারণ, যুদ্ধবিদ, ছদ্মবেশ-ধারণ, অভিনয়-কৌশল, নীলাভাষায় কথোপকথন বিদ্যা শিক্ষা দিতেন। তঁহীর ধৰ্ম্মশিক্ষার প্রধান অঙ্গ ছিল যে, পৃথিবীতে গুরুই, অর্থাৎ তিনি স্বয়ং ঈশ্বরের একমাত্র প্রতিনিধি। অতএব গুরুকে ঈশ্বরবৎ মান্ত ও ভক্তি করিবে ; গুর বিরূপ হইলে ঈশ্বরও তাছাকে রক্ষা করিতে পারেন না ; গুরুর সাক্ষাৎ আজ্ঞা কোরণে বর্ণিত ঈশ্বরের পরোক্ষ আজ্ঞাপেক্ষ বলবত্তর, অতএব অলঙ্ঘনীয়, তাহার বিচার করা মহাপাপ, তাহ নির্বিচারে পালন করিতে হয় । শিযাদের কাছে বহিশতের নান বর্ণনা করতেন, ক্রমে তাহদের মস্তিঞ্চ বহিশ তে ও হুীপুর্ণ হইলে তাহদের মধ্যে ২৪ জনকে হশীশ নামক ভঙ্গের সারাংশ দ্বার প্রস্তুত মাদক বিশেষ খাওয়াইয় একদিন অজ্ঞান করিতেন ও অজানাবস্থায় এই উদ্যানের এক-একটি গৃহে এক-এক জনকে ছাড়িয়া দিতে। জ্ঞান হইলে তাহারা যাহ। দেখিত তাহাকে সত্য-সত্যই গুরুবর্ণিত বহিশত বলিয়| বিশ্বাস করিত। কয়েক দিবস হরীদের সঙ্গ ও স্বৰ্গভোগের পর আবার গোপনে তাহদের হশীশ খাওয়াইয় আপনার প্রসাদে জানিতেন, ও তাঁহাদের বলিতেন, আমি ইচ্ছা করিলেই তোমাদের আপনার স্বগীয় দূত (angel) দ্বার স্বর্গে পাঠাইতে পারি, ও আবার আনিতে পারি। এই যুবকেরা হসনের কথা অব্যর্থ বলিয়৷ বিশ্বাস করিত। তাহার বিশ্বাস করিত, হসন অনুগ্রহ করিলেই ২৪ দিবসের জন্য অথবা স্থায়ীভাবে স্বৰ্গভোগ করাইতে পারেন, স্বৰ্গীয় দূত ও হবীর উহার আজ্ঞাধীন, ও তিনি ঈশ্বর-নিয়োজিত ক্ষমতী-প্রাপ্ত মহাপুরুব। আজ্ঞাপালন তিনি এত কঠোরভাবে শিখাইতেন যে, তাহদের সম্মুখে তিনি আপনার দুই পুত্রকে অপাধ্যতার অপরাধ স্বহস্তে বধ করিয়|ছিলেন। তাহার হসনের আজ্ঞামত নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে জনতা-মধ্যে প্রকাষ্ঠ স্থানে দুঃসাহসিকভাবে হত্যা করিত ; অতএব কেহই জীবিত ফিরিত না। তাহারা প্রায়ই খৃষ্টানদের রবিবারে গির্জাতে, ও মুসলমানদেয় শুক্রবারে মসূজিদে হত্যা করিত, অতএব দর্শক-মধ্যে কেহ-ন|কেহ তাছাদের নিশ্চয় মারিয়া ফেলিত। হসনের কার্য্যসিদ্ধ হইত, কিন্তু ঘাতকদের আর পোষণ করিতে হুইত না, তাহীর গুপ্ত রহস্তও প্রকাশিত হইত না, তবে প্রত্যেক শত্রুর জন্ত একটি করিয়৷ সাহসী যুবককে বংিশতে পাঠাইতে হইত। হসন-প্রেরিত এইরূপ এক যুবক যাতঞ্চ বুদ্ধমন্ত্ৰী নিজাম-উল-মুলককে [ »8 वtड़ेiषब ४०*७] श्ठा| कब्रेिण । देशांम 4कमान बtषाई भऔब्र প্রবাসী ভাদে, ১৩৩e [ २७* छांग, sञ थ७ উপযুক্ত শিষ্য সম্রাট মলিকশাহের মৃত্যু হইত। মলিকশাহের মৃত্যুর পর ইরাণের ক্ষমতা ও রাজ্য-বিস্তার কমিতে লাগিল। হসন সব্বাহের অtশ ষোল আন পূর্ণ ন হইলেও অনেকট পুর্ণ হইল। হসন নরঘাতকদের সম্প্রদায় স্থাপন করিয়৷ দেশবাসীর ও আশে পাশের ছোট বড় য়াজ ও শাসনকৰ্ত্তাদের ভয়ের কারণ হইলেন । সকল বারে তিনি নরহত: নী করিয়া অবস্থ-বিশেযে কেবল ভয় দেখাইয়ও কর্য্যোদ্ধার করিয়াছিলেন । মলিকশাহের মৃত্যুর পর তাহার অসমসাহসী যোদ্ধা পুত্র স্বয়ং সেনা লইয়া হসনকে দমন ও নির্মূল করিঙে যাত্র করিলেন। পথে একদিন নিদ্রাভঙ্গের পর দেখিলেন র্তাহীর পালঙ্কের নিকট মৃত্তিকাতে একখানি দীর্ঘ ছুরির ফলক অৰ্দ্ধেক পোত রহিয়াছে, ছুরির গtয় একখানি কাগজে লেখ৷ আছে, তুমি বাল্যাবধি সাহসী বীর বলিয়। প্রসিদ্ধ, সেইজন্ত ক্ষম করিলাম। নতুবা পৃথিবীর প্রস্তরময় কঠিন বক্ষ অপেক্ষ তোমার কোমল মাংসল বক্ষ সহজে বিদ্ধ হয়। নবীন সম্রাট, যিনি সম্মুখ সমরে কখনও ভীত হয়েন নাই, এই অজনিত রহস্তময় শত্রুর ভয়ে ফিরিয়া গেলেন । হসন ঘখন রাজবাটীতে কৰ্ম্মচারী ছিলেন তখন রাজবাটীর এক দাসীর প্রেমাম্পদ ছিলেন, এখন তাহীর সাহায্যে ছুরি ও পত্র পঠাইয়াছিলেন ; রাজআন্তঃপুরে তাহীর ধাতক চর ছিল না । - হসন ১১২৩ ঈশব্দে আপনার পুত্র কিয়াকে রাজ্য ও গুরুর আসন দিয়া পরলোক গমন করিলেন । তাহার বংশে আটজন রাজা ও গুর হইয়াছিলেন। পরে নোগলের উহার স্থাপিঠ রাজ্য ও সম্প্রদায় নিৰ্ম্মল করিয়াছিলেন। কিন্তু এখনও ইস্মাঈলী সম্প্রদায়ের কোন কোন প্রশাখা ইরাণে কতক কতক নরঘাতক মত পোষণ করে। পরবত্তী কলে ঐ ঘাতক-সম্প্রদায়ের ধৰ্ম্ম-বিশ্বাস কষ্টক কতক পরিবর্তিত হইয় অস্ত্যন্ত সম্প্রদায়ে সংক্রমিত হইয়াছিল। সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে পেশওয়ার ও কাবুলের মধ্যে থ্যাবর গিরিসঙ্কটে বায়জীদ iিন-আবদুল্ল নামক আফগান রোশনিয়া নামক সম্প্রদায় স্থাপন করিয়| আপনার শিষ্যদের সাহায্যে লুণ্ঠন আরম্ভ করিয়াছিল। এই বায়জীদ ও তাহার পুত্র জললার বিরুদ্ধে যুদ্ধ অভিযানে আকবরের প্রিয়পত্র হাস্যরসিক কবিরায় মহেশ দাস রাজ৷ বীরবর ১৫৮৬ ঈশাদে দেই রক্ষা করিয়াছিলেন। বায়জীদের মতে “যাহাদের ঈশ্বর ও অtষ্মজ্ঞান নাই, তাহার। মমুয্য নহে, যদি তাহার অনিষ্টকারী জীব হয়, তবে তাহাদের বাঘ, নেকড়ে, সাপ, বিছ। ইত্যাদি হিংস্ৰ জীবের পর্য্যায়ভুক্ত জানিবে, অতএব আমাদের হত্যা করা অবস্থা কৰ্ত্তব্য, কেননা আরব দেশীয় রসুল বলিয়াছেন, "হিংসা করিবার পূৰ্ব্বে হিংস্র জীব বধ কর।’ যদি তাহীর অনিষ্টকারী জীব না হয়, তবে তাহীদের গে, মেষ, ছাগ ইত্যাদির পর্য্যায়যুক্ত জানিবে, অতএব তাহীদের হত্য করায় অপরাধ হয় না, কেননা তাহারা ভক্ষ্যশ্রেণীভুক্ত। যাহাঁদের আtষ্মজ্ঞান নাই, তাহীর মৃত বা জড়, তাহারা স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বা ধনরত্বের অধিকারী হইতে পারে না ; তাহীদের সন্তানেরাও ঐরাপ । অতএব তাহীদের মারিয়া তাহীদের সম্পত্তি লইলে পাপ হয় নইত্যাদি [ রোশনিয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাত বায়জীদ-বিন-অবদুল্লা লিখিত খ এর উল-বিয়ান নামক ধৰ্ম্মগ্রন্থ ] । ( ভারতী, জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৩ ) শ্ৰী অমৃতলাল শীল • রবীন্দ্রনাথ ও মাসিক পত্র . রবীন্দ্রনাথ ভিন্ন ভিন্ন বয়সে নিজে যে-সব মাসিক পত্র সম্পাদন করিয়াছিলেন, তাহার কোনটিই এখন আমার সম্মুখে নাই। তাহার মধ্যে অন্ততঃ কয়েকটি সংগ্ৰহ করিয়৷ তদ্বিবয়ে কিছু লিখিবার সময়ও