পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] কষ্টিপাথর—রবীন্দ্রনাথ ও মাগিক পত্র ዓ¢¢ हेि। ७ईअछ cकांन-कांन#छ नषप्ल जांबांब षांश बन श्ऊरश् ;াহাই লিখিব । e , রবীন্দ্রনাথের মাসিক পুত্রে মুদ্রিত প্রথম রচনা “জ্ঞান-প্রকাশ” ধিক মাসিকে ৰাষ্টির হইয়াছিল। ঐ মাসিক বহুকাল লয় পাইয়াছে। ভুবনমোহিনী-প্রতিভা" একটি সেকালের কোন নারী নামধারী রুষের জাল রচনা। রবীন্দ্রনাথ ইহার সমালোচনা “জ্ঞানপ্রকাশে” করেন । এই জাল তখনকার অনেক বিখ্যাত সাহিত্যিককে ঠকাইয়াছল, কিন্তু তরুণ রবীন্দ্রনাথকে ঠকাইতে পারে নাই । প্তাহার “বালক” দেখিয়া আমার মনে হইয়াছিল, যে, উহ। তিনি য সব বালকদের জন্ত বাহির করিয়াছিলেন, তাহীদের জ্ঞান বুদ্ধি রচি ম্বন্ধে ধারণ তিনি তাহার নিজের বালক-কালের জ্ঞান বুদ্ধি রচির মাপকাঠি অনুসারে স্থির করিয়াছিলেন। সম্ভবত এই কারণে উহ। ভারতীর’ সহিত মিলিত হইয় “ভারতী ও বালক” নামে বাহির হইতে পারিয়াছিল। তিনি “ভারতী’, “ভাণ্ডার”, সম্পাদকতা করিয়াছিলেন । বঙ্কিমচন্দ্র যখন বঙ্গদর্শন সম্পাদন করিতেন, তখন আমার বয়স খুব কম। আমি তখন উহার পাঠক ছিলাম না। স্বতরাং উহ। fকরূপ কাগজ ছিল, সে-বিষয়ে অপর অনেকের মত আমার জন৷ থাকিলেও আমীর নিজের সাক্ষাৎক্সানলব্ধ কোন মত নাই। প্রাপ্তবয়স্ক হইবার পর অবগু বঙ্কিমচন্দ্রের বঙ্গদর্শনে প্রথমে প্রকাশিত ও পরে পুস্তকাকারে পুনঃ প্রকাশিত কোন কোন বহি পড়িয়ছি! কিন্তু ডাহা হইতে তাহার যঙ্গদর্শন সম্বন্ধে ঠিক কোন মত প্রকাশ করা যায় না । যে-সকল বাংলা মাসিক পত্র সম্বন্ধে তামার সাক্ষাৎ জ্ঞান আছে, তাহার মধ্যে রবীন্দ্রনাথের ‘সাধনা'কে আমি প্রথম স্থান দিয়া থাকি । তাহার কারণ শুধু উহাতে প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথের নিজের লেখাগুলির উৎকর্য নহে । সমস্ত কাগজখালিয় উপরই তাহীর ব্যক্তিত্বের ও লিখন-ভঙ্গীর ছাপ অনুভূত হইত—অস্তুতঃ আমার তাঁহাই মনে হইত। ইহার একট কারণ এই যে, রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং প্রায় সমস্ত কাগজখনোই লিখিতেন। দ্বিতীয় কারণ পরে শুনিয়াছি—এবং আশা করি তাহ ঠিকৃ শুনিয়াছি ও ঠিক মনে আছে। তিনি অস্ত লেখকদের লেখা খুব ফুধরাইয়া দিতেন ; তাহাতে হয় ত অনেক লেখা প্রায় পুনর্লিখিত হইয়। যাইত। রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী মহাশয়ের মত লেখকের লেখাও সংস্কৃত হইয়। তবে "সাধনায় বাহির হইত। সেদিন কোথায় যেন বঙ্কিমবাবু ও রবিবাবুর একটা তুলনা পড়িতেছিলাম। তাহাড়ে অস্কান্ত কথার মধ্যে লেখক বলিতেছেন যে, বঙ্কিমচন্দ্র সম্পাদকরূপে অনেক লেখককে গড়িয়া পিটিয়া “মানুষ” করিয়া দিয়াছেন, কিন্তু রবিবাবু তাহ করেন নাই। আমার বোধ হয়, লেখকের এই কথা অজ্ঞতা-প্রস্থত। রবীন্দ্রনাথ নিজের কাগজগুলির সম্পাদক রূপে অনেক লেখককে উৎকৃষ্ট রচনার পথ নির্দেশ ত কাৰ্য্যতঃ করিয়াইছেন, অন্ত কাগজের সংশ্রবেও বহু লোকের রচনার উৎকর্ষ সাধন করিয়াছেন । তিনি স্বতঃ প্রবৃত্ত হইয়া দীর্ঘকাল "প্রবাসী”য় "সংকলন” বিভাগের পরিচালক ছিলেন। আমি উহাকে ইংরেজী অনেক মাসিক পত্র *পাঠাইরা দিতাম। তিনি তাহ৷ হইতে ভাল ভাল প্রবন্তু বাছিয়া শাস্তিনিকেতন ব্রহ্মগৰ্ষ্য-আর্গুমের অধ্যাপক ও ছাত্রদিগকে তাহার शेब्रमरथश् ७ अश्रृंदांन দিতেন। অনুবাদগুলি উহার হাতে পেছিবার পর সংশোধনের পাল আরম্ভ হইত। সংশোধন ও সংক্ষেপণ পুত্রই হইত ; অনেক স্থলে প্রায় সমস্তটাই তিনি নিজে প্রত্যেক পৃষ্ঠার *-निएकब्र थॉनि ब्रांझनांद्र निषिब्र! क्रिडम । जनांक्षांब्र१ यठिडॉलॉजी “সাধন৷” এযং “বঙ্গদর্শন’এরও লোকের এইরূপ সংকলন-কার্ষ্যের জন্ত পরিশ্রম হইতে প্রতিভাশালী নবীন লেখকদের কিছু শিথিবীর আছে। তাহা এই যে, কোনে কাজকেই ড্রাজারী (Drudgery) বা গাধার থাটুনী বলিয়। অবজ্ঞ করা উচিত নহে । কিছুকাল পরে রবীন্দ্রনাথ সংকলন-বিভাগের ভার ত্যাগ করেন। তাহার একটা কারণ, ইংরেজী ম্যাগাজিনগুলির ক্রমাধোগতি, তাহাতে অীর আগেকার মত হিতকর ও মনোহারী লেখা থাকিত না । বাংলাদেশের অধিকাংশ মাসিক পত্র সম্পাদককে অঙ্কের রচনার প্রত্যাশায় থাকিতে হয় । যাহার কাগজ বাহির করেন, তাহীদের অনেকের কাগজ হয় এই কারণে অনিয়মিত হয়, কিম্বা তাহাদিগকে যা-ত কিছু দিয়া কাগজ ভৰ্ত্তি করিয়া বাহির করিতে হয়। সম্পাদকের নিজেরই যদি নানা রকম প্রবন্ধ গল্প কবিতা সমালোচনা প্রভৃতি লিখিয়৷ কাগজ পূর্ণ করিবার ক্ষমতা থাকে, তাহা হইলে উহাকে বিপন্ন হইতে হয় না । দুঃখের বিষয়, এরূপ ক্ষমতা অল্প সম্পাদকেরই থাকিবার সস্তাবনা । আমি যত সম্পাদকের বিষয় অবগত আছি, তাহার মধ্যে তিনি যত প্রকার উৎকৃষ্ট গদ্য ও পদ্য রচনার দ্বারা মাসিক পত্র অলঙ্কত করিতে পারেন, অন্ত কেহ তাহ পারেন নাই । এইজন্ত, অস্তের সাহায্য না পাইলেও নিয়মিতরূপে উৎকৃষ্ট ও নানা বিচিত্র রচনাপূর্ণ মাসিক পত্র বাহির করিবার সঙ্কল্প একমাত্র তিনিই করিতে পারিতেন। এরূপ সঙ্কল্প তিনি কখনও করিয়াছিলেন কি না জানি না ; কিন্তু করিলে তাহ ব্যর্থ ব বিন্দুমাত্রও অশোভন হইত না । বৃণীশ্রণীথের সম্পাদিত মাসিকপত্রগুলি সম্বন্ধে বলিবারও অনেক কথাই আছে। এখন হাঙ্ক রকমের দু'একটা কথা বলি। যখন “সাধনায়” “ক্ষুধিত-পাষাণ" গল্পটি পড়িয়াছিলাম, তখন সেই মায়াপুরীর সম্বন্ধে ও তাঁহার অধিবাসিনী কুন্দরীর সম্বন্ধে কি যে ঔৎসুক্য ও কৌতুহল হইয়ছিল, বলিতে পারি না । কবি যাহার মুখ দিয়া গল্পটি বলাইতেছিলেন, সেই লোকটি কৌতুহলকে চরম সীমায় উপনীত করিয়া হঠাৎ গাড়ীতে উঠিয় যাওয়ায় অনতিক্রান্তযৌবন পাঠকের মন কবির প্রতি প্রসন্ন হয় নাই। গল্পটি পড়িয়া শেষ করিয়াছিলাম অনেক রাত্রে । সে-রত্রে ঘুম হইয়া থাকিলে কখন হইয়াছিল মনে নাই । ‘বিনি পয়সার ভোজ’ যখন রবীন্দ্রনাথের কাগজে পড়ি, তখন রাত্রি অনেক হইয়াছে। তখন আমরা কয়েক পরিবার বেনিয়টোলার লেনের একটি বাড়ীতে থাকিতাম। গল্পটি পড়িতে পড়িতে আমরা অতিমাত্রায় হাস্ত-রসোন্মত্ত হওয়ায় ভিন্ন ভিন্ন পরিবারের কীদিগের দ্বারা ভৎসিত হইয়াছিলাম মনে পড়ে। বঙ্গদর্শন সম্পাদন করিবার সময় রবীন্দ্রনাথ একটি আলোচনী সভ স্থাপন করেন । তাহার নাম ভুলিয়া গিয়াছি । তথন উহার আফিস ছিল ২০rনং কর্ণওয়ালিস স্ট্রট ভবনে । ঐ অফিসে বহু সাহিত্যিকের আডিডা জমিত । সভার অধিবেশনে কোন-একটি বিষয়ে প্রবন্ধ পঠিত হইবার পর আলোচন হইত। এরূপ সভার প্রয়োজন এখনও আছে । নিজেয় মাসিক পত্র সম্পাদন ও তাহাতে নিজে লেখা ছাড়া তিনি অস্ত যত মাসিকে লেখা দিয়াছেন, তাহীর সবগুলির নামও অামি জানি না। এবিষয়ে তিনি খুব মুক্তহস্ত । মাসিক পত্রের লেখকরূপে তাহার একটি গুণের সাক্ষ্য ভুক্তভোগী সম্পাদক আমার দেওয়া উচিত। তাহ। যলিবার পুৰ্ব্বে উহার অন্ততম অগ্রজ স্বৰ্গীয় জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের আশ্চৰ্য্য নিয়ম-নিষ্ঠীর কথা বলা উচিত। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ বহু ক্ৰমশঃ প্রকাগু লেথ প্রবাসীতে দিয়াছিলেন । তাহার কোন কিস্তির জন্তু কখন অপেক্ষা করিতে বা তাগিদ দিতে হয় নাই । ৰত্নাবর মাগের ১লা কিম্ব ২রা তাহার লেখা ডাকে আসিয়া পৌছিত। স্বগীয় ৰিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ও বার্থক্যের দুর্বলতা সত্বেও স্বতঃ