পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○8 প্রবাসী – বৈশাখ, ১৩০৩ { ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড থাকৃতে হয় । অ্যাপ্রেটিস থাকুবার পরও কারও বয়স যদি অন্তত ২৫ বছর না হয় তবে তা’কে ঐসব কাজ পাবার আগে অপেক্ষা করতে হয় । সুতরাং এ থেকে সহজেই বোঝা যাবে ওদেশের মাপকাঠিটি বড় সোজা নয়। সেখানে আমাদের দেশের মতন এরণ্ডোগুপি দ্রুমায়তে হবার জে নেই। কারে কোনে উপায়ে বিন্দুমাত্র ফাকি দেবার স্থবিপ নেই। একেবারে এক ছাচে সবাইকে ঢেলে সমান ভাবে পিটিয়ে তবে তাদের ছেড়ে দেওয়৷ ३% । এপর্য্যন্ত যা বলা হয়েছে তা’তে এই বোঝা ‘যাবে যে দুনিয়ায় কেউ বলে’ কারো জন্তে অপেক্ষা করে নেই। কি স্ত্রী কি পুরুষ সবাই দ্রুতগতিতে নানা উপায়ে আর্থিক অবস্থ৷ উন্নত কর্বুবার জন্যে অপরিসীম চেষ্ট৷ কবৃছে । পৃথিবীর যখন এই অবস্থা, তখন যুবক ভারতের কৰ্ত্তব্য কি, এই প্রশ্নই স্বতঃ মনে আসে । তুর্কী বোঝে তা’র সভ্য নয়, জাপান বোঝে তা’রা সভ্য নয় । তা’র বোঝে স্বৰ্য্য পূৰ্ব্বে নয়, পশ্চিমে ওঠে । তা’র জানে কৰ্ম্মের বেগ, জীবনের প্রবাহ, নূতন চিন্তা, নূতন শক্তি তাদেরি কাছে পাওয়া যাবে যাদের বাড়ী স্বৰ্য্যাস্ত-দেশে। হাওয়ায় উড় বার সময় তার অামাদের নেই । আজি ১৯২৬ সালে ১৯৩০এর জন্য প্রস্তুত হবার প্রতিজ্ঞ গ্রহণ করতে হবে। যা । • বস্তু তা’কে বস্তু বলেই জানতে হবে—বস্তুগতভাবে সমস্ত জিনিষকে পাকৃড়াও কর । জাপানীর মতন, তুর্কীর মতন বাঙালী তুমিও আজ খোলাখুলি বল—ইয়োরমেরিকার শিষ্যত্ব গ্রহণ ভিন্ন নান্যঃ পস্থা বিদ্যতে অয়নায় ।*

  • বঙ্গীয় জাতীয় শিক্ষা পরিষদের উদ্যোগে ৪ঠ। ফাঙ্কন আলবার্ট

হলে প্রদত্ত বক্তৃতার নোট অবলম্বনে এীসত্যেন্দ্র প্রসাদ বম্ব কর্তৃক লিথিত । কাল-বৈশাখী শ্রী প্যারীমোহন সেনগুপ্ত বহু দিন পরে শূন্ত ব্যোম ভরে’ ছুটিয়৷ গর্জিয় এল পর্জন্য প্রবল— তর্জনে গর্জনে খলখল, আকাশ বাতাস বিড়ম্বিয়া নরে তৃণে ধরণীরে নির্বাক্ সংক্ষুব্ধ করি’ দিয়া । এ কোন ভৈরব, কাল, বিশ্বামিত্র, ক্রোধন দুৰ্ব্বাস — কিবা এর অন্তর-দুরাশা ?— কি চাহে, কি গ্রাসিবাবে এ মত্ত নৰ্ত্তন ?— - পিনাকী-প্ৰলয়ডঙ্কা তুলিছে রণন ? বজ্র এর ক্রীড়ণক—ছুড়ে দেয় দিকে দিকে দিগন্ত ভেদিয়া ছিন্ন ত্রস্ত স্তব্ধ করি’ চলমান এ স্থষ্টির হিয়া ! আঁখি তার জলজল-ঝলসিছে আগ্নেয় বিদ্যুৎ,— ון ל-"טרדסיה דיליי-" - ---- ঘটেছে কি দক্ষযজ্ঞ সেই পুনৰ্ব্বার – উমা সতী-সার লাঞ্ছিত হয়েছে পুনঃ ?—তাই হে মহেশ, উড়াইয়৷ আলোড়িয়া বিস্ফারিয়া কেশ মেঘরূপে স্বষ্টিবুকে দলন-চঞ্চল প্রমত্ত বিহবল এলে কালবৈশাখীতে স্বরূপ আস্ফালি, মুখে অট্টহাস আর হস্তে বজ্রতালি ? বুঝেছি বুঝেছি রোষ—হে ভৈরব বরষা বৈশাখী— নিদাঘাৰ্ব৷ ক্লিষ্ট পৃথ্বী তীব্র তাপে শ্বসি’ থাকি থাকি? বাতাসে ভেটিল তোমা আপনার বেদন-বারতা— তমি সিন্ধপুত্র বীর-ভগ্নী ধরা ক্লিষ্ট তাপনতা