পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“ఫిe • যে-বিবরণ প্রদান করিয়াছেন তাহ অপ্রকৃত বলিয়া প্রতিপন্ন করিতে শ্রাবণ মাসের প্রবাসীতে আযদুল গনি মিঞ যথাসাধ্য যত্নবান হইয়াছেন। - পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্য্যবেক্ষণ করিলে প্রবাসীর পাঠকবর্গের হৃদয়ঙ্গম হইবে, প্রতিবাদকারী অধ্যাপক মহাশয়কে বস্তুতঃ সমর্থনই করিয়াছেন। উক্ত গল্পের মাল-মসূল। ওল্ড টেষ্টমেন্ট হইতে সংগৃহীত হইয়াছে বলিয়। তিনি অসন্তুষ্ট হইয়াড়েন । কারণ, উহার সত্যতা সম্বন্ধে মুসলমান-ধৰ্ম্মাবলম্বীরা সম্পূর্ণ সন্দিহান। আমার বিবেচনায় উক্ত গ্রন্থের যথার্থত অস্বীকার করিবার কারণ বিদ্যমান থাকিতে পারে না । ওল্ড টেষ্টমেন্টকে সমগ্র জাতি ইহুদিদিগের জাতীয় ইতিহাস বলিয়া মনে করেন। হজরৎ মহম্মদের পুর্বপুরুষ ধৰ্ম্মবীর ইব্রাহিম জাতিতে ইহুদি ছিলেন। ঐ গ্রন্থ উক্তজাতি দ্বারা লিখিত বলিয়। উহাতে অসত্য বিষয়ের স্থান পাওয়া যুক্তিসঙ্গত নয়, অধিকন্তু তৎকালে মুসলমানধর্মের অস্তিত্ব না থাকায় উগর উপব বিদ্বেষ-ভাব পোষণপূর্বক কাহারও সত্য গোপন করিয়া অসত্য বিষয় লিপিবদ্ধ করার কোন সম্ভাবনা নাই । এইরূপ অবস্থায় উক্ত গ্রন্থের লিখিত বিষয় তাস্বীকার করিবার কোন সন্তোষজনক কারণ থাকিতে পারে না । গনিমিঞা কোরানশরিফকে প্রধান স্থান দিয়৷ ওল্ড টেষ্টমেন্টের সত্যের উপর সম্পূর্ণ আস্থাহীন হইয়াছেন। কোরান মুসলমান সমাজের ধৰ্ম্মগ্রন্থ ; উহ! আবার উক্ত সমাজের মহাপুরুষগণ কর্তৃক লিখিত । স্বতরাং উহাতে হেয় ও অসন্মানকর কিছু লিপিবদ্ধ করিলে অন্য ধৰ্ম্মাবলম্বীর নিকট মস্তক অবনত করিতে হয়। উক্ত কারণ বশত: স্বনিপুণ তুলিকাঃ যাদুকরী প্রভাবে উহা যে অধিকতর উজ্জ্বলাকার ধারণ করে নাই তাঁহারই বা প্রমাণ কোথায়? ঐযুক্ত শীল মহাশয়ের গল্প হইতে জানিতে পারি, ইব্রাহিম বুদ্ধ বয়স পর্যন্ত সস্তানহীন হওয়ায় স্বীয় স্ত্রীর অনুরোধে এক পরিচারিকার গর্ভে ও নিজ ঔরসে এক সস্তান উৎপাদন করেন ; তিনিই ইসলাম ধৰ্ম্মের প্রবর্তক মহম্মদের আদি পুরুষ। গনিমিঞা জানাইতেছেন, ধৰ্ম্মবীর ইব্রাহিমের দুই স্ত্রী সার ও হাজের । হাজের প্রথমে পরিচারিক ছিলেন এবং যদিও সারাকে সেবা ও পরিচর্য্য করিতেন বটে, কিন্তু পরে ইব্রাহিম স্ত্রীর অনুরোধে উহাকে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ করেন । এই স্ত্রীর গর্ভে মহম্মদের পূর্বপুরুষ ইসমাইল জন্মগ্রহণ করেন। উক্ত বিবরণ পাঠে যথার্থই প্রতিপন্ন হইবে, গনিমিঞ। হাঙ্কেরীকে পরিচারিক। বলিয়া স্বীকার করিয়াও করিতেছেন না। তৎকালে ইহুদি সমাজে পরিচারিকার গর্ভে সস্তান উৎপাদন করা মিন্দনীয় ছিল না। এমন অবস্থায় প্রতিবাদ করিবারও কোন অবগুকত নাই । আমার মনে হয় অধ্যাপক-মহাশয় সত্যের মর্য্যাদা রক্ষা করিয়া যথার্থ বিষয় সাধারণের গোচরীভূত করিয়াছেন। প্রতিবাদকারী মেষ বলি সম্বন্ধে যথেষ্ট আপত্তি উথাপন করিয়া লিথিয়াছেন কোরানে গরু মহিম ছাগ মেষ প্রভৃভি পশু কোরবানী করিবার কথা স্পষ্টভাবে লিখিত আছে। এই বিষয়ে আপত্তি করিবার যথেষ্ট কারণ আছে । তিনি নিজ বাক্য প্রমাণ করিতে কোরান হইতে কোন সন্তোষজনক শ্লোক উদ্ধত করিয়া কোন প্রমাণ দেন নাই। আমার প্রতিবাদের সারবত্তী সমগ্র স্বধীসমাজের বিবেচ্য। আশা করি স্বাদলগনি মিঞা আমার প্রতি অসন্তুষ্ট হইবেন না ও বিদ্বেষভাব পোষণ করিবেন না । ● শ্ৰী রাধানাথ শিকদার প্রবাসী—ভাদে, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড ভারতীয় মুসলমানের ভ্রম ভারতীয় মুসলমানের ভ্রম শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করিয়া জানিতে পরিলাম যে-কোন কোন মুসলমান ভারতবিজেতা “মোগল পাঠান” য “আরব জাতির বংশধর বলিয় আপনাকে পরিচিত করিয়া গৌরবান্বিত মনে করিয়! থাকে ইহা সত্য হইলে তাহার। যে নিতান্ত ভ্রম-ক্রমেষ্ট এরূপ করে তাহ অস্বীকার করা যায় না। তবে আমার মনে হয় এরূপ ভুল ধারণা অধিকাংশ আর্য্যবংশীয় মুসলমানই করে না এবং কয় উচিতও নয়। কেননা যাহাদের শরীরে হিন্দুরক্ত প্রবাহিত তাহদের হিন্দুদের বংশধর বলিয়াই গৌর্য অনুভব করা উচিত। ইহার কারণ এই যে, এদেশীয় হিন্দুগণ আর্য্যবংশোদ্ভূত এবং আর্য্যগণ অতি প্রাচীন সভ্যতার উত্তরাধিকারী, সুতরাং এহেন প্রাচীন সভ্য জাতির যাহার প্রকৃত বংশধর তাহার কেন যে নিজের প্রকৃত বংশ-পরিচয় গোপন করিয়৷ "সেমেটিক্‌” বা অন্য কোন অপেক্ষাকৃত অসভ্য জাতির বংশধৰ বলিয়। পরিচয় দিবে, তাগ। আমি বুঝিতে অক্ষম বরং আমি ব্যক্তিগত ভাবে ভরদ্বাঙ্গগোত্রীয় আধ্য সস্তান বলিয়া আপনাকে মহা গৌরবের উত্তরাধিকারী বলিয়৷ মনে করি এবং এইজন্য আরোও অহঙ্কার কবি যে, অমারি পূর্বপুরুষ কুসংস্কারের কবল হইতে মুক্তিলাভ করিয়৷ স্বাধীন বিচার-শক্তির সাহায্যে ইসলাম ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়ছিলেন । দেওয়ান একলিযুররাজা চৌধুৰী হারামণি শ্রাবণ-সংখ্য প্রবাসীর হারমণিতে যে-গানটি বাহির হইয়াছে তাহা পূর্বে প্রবাসীর কষ্টিপাথরে একবার বাহির হইয়াছিল। গানটি? উপরে ব্র্যাকেটের মধ্যে ( মহেন্দ্র ক্ষেপ ) লেখা ছিল । -- শ্ৰ সুধা দেবী চরকা আবিষ্কার শ্রাবণের প্রবাসীতে এই নামের প্রবন্ধটি পড়িয়া প্রীত হইলাম। ইংরেজী-জনী বাঙ্গালীর মাথা হইতে যে নূতন নুতন চরকা বাজারে ও বিজ্ঞাপনে আবিভূত হইয়াছে, সে-সব স্মরণ হইলে বাঙ্গালীর বুদ্ধির দৈন্ত দশার জন্য দুঃখ হয়। আমার বিশ্বাস, কম পটুত অভাবে খেলান আবিষ্কৃত হইয়ছে, কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে প্রবাসীতে এবিষয়ে লিখিয়াছিলাম। আমি একবার মাস পাচেক চরক। চর্চা করিয়াছিলাম। বুঝিয়াছিলাম, যে-ক্ষেত্রে ও যে-কালে চরকা উস্তাবিত হইয়াছিল, সে ক্ষেত্র ও কালের পক্ষে চরকা উৎকৃষ্ট যন্ত্রই ছিল। কাপাস চাষ হইতে আরম্ভ করিয়৷ কাপড় যোন গ্রামে গ্রামে হইতে থাকিত । এই বিপুল গ্রামিক কলার কিয়দংশ রাখিব এবং কিয়দংশ ছাড়িব,— এই বুদ্ধিতে চরকা চালাইবার চেষ্টা সফল হইবে না। দেশী ও বিলাতী স্বত্তাকাটা কলের সহিত চরকার বিষম প্রতিদ্বন্তি প্রত্যক্ষ হইতেছে। এই হেতু চরকার দ্বারা বেশী হত। পাইতে হইলে সন্তার পাইতে হইৰে । কেবল চরকার উন্নতি নয় স্থত কাটার অদ্যান্য