পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԵՔ Փ প্রবাসী-ভাদে, ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড সৰ্ব্বত্র মাহিনী-করা মৌলবী ও পণ্ডিতগণ ঘুরিয়া ঘুরিয়া অশান্তি প্রচার করিতেছে । এই কার্য্যের উদ্দেশ্য হিন্দুমুসলমান বিবাদ চিরজাগ্রত রাখিয়া এইসকল ব্যক্তির নিজেদের পকেট ভারিকরণ । একজন গণ্যমান্ত মুসলমান যখন একথা বলিতেছেন তখন অন্তত মাহিনা-করা মৌলবীর ব্যাপারটি নিশ্চয়ই সত্য—কোন উপযুক্ত হিন্দু নেতার নিকট পণ্ডিতদিগের সম্বন্ধে ঐৰূপ কথা শুনিলে আমরা তাহাও বিশ্বাস করিব । মহরমের দাঙ্গ সম্বন্ধে নিরপেক্ষ লোকের মত “গার্ডিয়ান” পত্রিকা খৃষ্টান-পরিচালিত এবং ইংরেজসম্পাদিত । এই পত্রিকায় বিগত মহরমের সময় যেদাঙ্গা হাঙ্গামা হয় তাহার যে-বর্ণন বাহির হইয়াছে আমরা নীচে তাহার তর্জমা দিলাম। এই পত্রিক হিন্দু কিম্বা মুসলমান কোন পক্ষেরই মিথ্যা সমর্থন করিবে বলিয়া মনে করিবার কোনে কারণ নাই ; স্বতরাং ইহার মতামত হিন্দুমুসলমান সংক্রান্ত বিষয়ে সত্য বলিয়া ধরা যাইতে পারে। “মহরমের দাঙ্গ—মহরমের প্রথম কয়েক দিন বেশ নিৰ্ব্বিবাদে কাটিয়া যায়, রাত্রের মিছিলগুলিও বেশ সঙ্গত ভাবে চলে এবং সকলেই ভাবে যে, শেষ দিনের ব্যাপারেও বিসদৃশ রকম কিছু ঘটবে না । পুলিশ যথাসাধ্য স্বব্যবস্থার চেষ্টা করে এবং কেহই বলিতে পারে না যে, পুলিশ এইবার অতর্কিতে আক্রান্ত হইয়াছিল। যে সকল ঘটনা ঘটিল তাহা যে কি ভীষণ-বিশেষতঃ কাবুবালা যুদ্ধ স্মরণোৎসবের মত গম্ভীর ব্যাপারের সহিত জড়িত বলিয়া—তাহা সহজে উপলব্ধি করা যায় না। কার্বালা যথার্থ ধৰ্ম্মপ্রাণ भूगलशानब्र निरु षांखादनिशान € वांग्रमषांन অকলঙ্কিত রাখিবার নিদর্শন এবং ইহা গভীরতম কলঙ্কের ও চূড়ান্ত অপমানের কথা যে, এইরূপ একটি ঘটনা অবলম্বন করিয়া কোন ঘৃণ্য ও পাশবিক উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়। বৃহস্পতিবার ১৫ই জুলাই রাজরাজেশ্বরী মিছিলের উপর মুসলমান গুণ্ডাদিগের একটি সম্পূর্ণ অকারণ আক্রমণ সংঘটিত হয়। এবিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই। এক সপ্তাহ যাইতে না যাইতে বুধবার ২১শে জুলাই এই ব্যাপারের উত্তর আসিল, কারণ মুসলমান মিছিলকারীদিগের কথামুসারে আক্রমণ সেন্টাল অ্যাভিনিউএর হিন্দুদিগের দ্বারাই একটা বিশাল পটকা ছুড়িয়া আরম্ভ করা হয়। ইহা সত্য কি না স্থির করা মরজগৎবাসী মানবের পক্ষে সম্ভব নহে;কিন্তু স্তার জগদীশচন্দ্র বস্থর জাজন্মের সাধনার ফল বোস ইনষ্টিটিউটের উপর ৰৰ্বরের স্তায় জাক্রমণের চেষ্টার কি কেহ কোন কারণ দেখাইতে পারেন ? অথবা ব্রাহ্মবালিকা-শিক্ষালয় আক্রমণ-চেষ্টার কারণ ? মুসলমান-নেতাগণ কি শুধু লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে কথা-যুদ্ধ ও চাকুরীর ভাগবাটোয়ারা লইয়া কাড়াকড়ি করিয়াই দিন কাটাইবেন ?” একথা সত্য যে, গত মহরমের দিনে আমরা আপার সাকুলার রোডে যে-দৃপ্ত দেখিয়াছি তাহার তুলনা হয় না। মুসলমান মিছিলকারীগণের ব্যবহার সম্বন্ধে পুলিশ যেনিয়মাবলী মহরমের কয়েকদিন পূৰ্ব্ব হইতেই প্রচার করিয়াছিল তাহার ব্যতিক্রম প্রতিপদে হওয়া সত্ত্বেও মিছিলকারাদিগকে পুলিশ ঘরে পাঠাইয়া দেয় নাই বলিয়। . আমাদের ধারণ। এবং লাঠি লইয়া পথে বাহির হওয়া সম্বন্ধে যে-নিয়ম প্রচারিত হয় তাহাও যাহারা অমান্ত করে সে-সকল ( বহুসংখ্যক) লোকের কোনও শাস্তি হইয়াছে বলিয়া আমরা শুনি নাই । হিন্দু-মুসলমান কলহ কি “অন্তবিদ্রোহ” ? অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের জনৈক প্রতিনিধির নিকট ডাক্তার মুঞ্জে হিন্দু-মুসলমান কলহ সম্বন্ধে কয়েকটি কথা বলিয়াছেন। তাহার মতে বৰ্ত্তমান হিন্দু-মুসলমান কলহ মুসলমান ধৰ্ম্মোন্মত্ততার কোনো সাময়িক রূপ মাত্র নহে। তাহার মতে ইহার আরও গুঢ় অর্থ আছে। ইহা আমাদের জাতির পক্ষে অন্তবিদ্রোহ (civil war ) ব্যতীত আর কিছুই নহে। ইহার উদ্দেশু, এই কথাই বৃটিশ গভর্ণমেণ্টে র নিকট প্রমাণ করা যে, ইংরেজ ঐতিহাসিকগণ যাহাই বলুন মুসলমানগণই এখনও ভারতের সর্বাপেক্ষা ক্ষমতাশালী সম্প্রদায় এবং তাহাদিগের দাবীগুলিই সৰ্ব্বাগ্রে বজায় রাখিয়া ১৯২৯ খৃ: অব্দের ষ্ট্যাটিউটারী কমিশনকে কাজ করিতে হইবে। যদি এই ধারণাই সত্য হয় তাহা হইলে গভর্ণমেণ্ট, তৃতীয় ব্যক্তিরূপে বিবাদের মীমাংসা করিলে ইহার কোন স্ববিধাজনক নিম্পত্তি হইবে না। হিন্দুদিগের ইহা উভয় সঙ্কট। ডাক্তার মুক্ষে হিন্দুগণকে এই উপদেশ দিতেছেন যেন তাহারা সাহস বা ধৈর্য্যন হারাইয়া অথবা মুসলমানদিগকে বা গভর্ণমেণ্টকে উত্যক্ত বা আক্রমণ না করিয়া নিজেদের ন্যায্য অধিকার বজায় রাখিবার চেষ্টা করেন। কি গভর্ণমেণ্ট কি মুসলমান কাহারও পাশবিক শক্তির দমন করিয়া এগ্রশ্নের মীমাংসা হইবে না। হিন্মুজাতির ལཱ་ཀྱཱ་ཧཱ་ཧཱ་ཧཱ་ག་ཤ་ས"་ལ་ཝ། তাহারা কোন প্রকারেই বে না । মুসলমানগণ যে নিজেদের হিন্দু অপেক্ষ প্রধান প্রমাণ করিবার জন্ত এরূপ করিতেছে তাহা আমাদের মনে হয়