পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

48 প্রবাসী—বৈশাখ ১৩৩e এমুনি ধারা কতই স্বপন জেগেছিল সোনার আলো সাথে সেই সে ভোরের বেলা ! উঠল রবি মাঝ গগনে—মৃদ্ধ চরণ পাতে কখন তুমি সরে গেছ! আর-এক নতুন খেলা আড়াল থেকে খেলবে বুঝি ? তাই একূল আমি ভেসেই চলে যাই তোমা হ'তে অনেক অনেক দূরে, মৌন করুণ স্বরে কঁদে আমার সঙ্গীহার প্রাণ নিঠর জীবন-সংগ্রামেতে ত্রস্ত কম্পমান । মানুষ হেথ অনেক—শুধু মনের মান্তষ নাই, রাত্রি দিবস তাই শ্রান্ত প্রাণে সেই মাতৃযে হাজার ঠায়ে খোজা, হাজার লক্ষ বোঝ বেড়ে উঠে দিনে দিনে, শান্তি নাহি পাই । শক্তি আছে প্রতি হ’তে দূরে সিদ্ধি আছে, তৃপ্তি কিন্তু তফাৎ থেকে ঘুরে বাড়ায় রুগ্ন ক্ষুধা, লড়ি সবে মরি সবে দানব দলের মত মেলে না হায় অমর-করা পুণ্য স্বৰ্গ-মৃধা। যুদ্ধ বাড়ে যুঝি আমরা যত ক্ষোভ-নিরাশার রুক্ষ ধূলায় প্রাণটা ওষ্ঠাগত । এমনি ক’রে মধ্য দিনের নিঠর আলোয় দেখি অনেক গেছে খোয়া, আছে শুধু গোপন প্রাণের গভীর অন্তরালে - চোখের জলে ধোয়। সেই সকালের মূৰ্ত্তি তোমার—হে মোর প্রিয়তম! সকল আশা সকল স্বপ্ন মম মিলিয়ে গেছে প্রথম উষার স্থবৰ্ণরাগ সম । তবু আছে পূজার স্পৃহা, সেবার আকিঞ্চন, ওগো আমার চিরকালের ভালোবাসার ধন! / २७7 छ7% 27 १७ শিল্প দিয়ে কাব্য দিয়ে তোমার আরাধনা রইল তোলা আর-এক জীবন-তরে, এই জীবনের পরে থাকুক্‌ শুধু ব্যর্থ প্রয়াস রুদ্ধ অশ্রু আশার বিড়ম্বন। অপটু হাত অক্ষম প্রাণ রুক্ষ কণ্ঠ হ’তে উঠছে শুধু একটি ভিক্ষা মোর ; প্রথম উষার প্রাণমতোন সেই যে স্বপ্ল-ধোর ছোয়ায় যেন পরশমণি প্রাণে, সেই স্বপনের টানে চলি যেন শান্ত মুখে ক্লান্ত পন্থ ধরি’ নৈরাশ্যময় জীবন-মরু তরি’ । হঠাৎ মনে হ’ল যেন রওনি সদা দূরে কোন রহস্য-পুরে । আমার ওঠা আমার পড়া, মোর জীবনের ভাঙা-গড় মাঝে আমার সকল কাজে, ক্ষুধা তৃষ্ণা অতৃপ্তি মোর অসীম দুরাশায়, নীরব বেদনায়— তুমিই ছিলে সাক্ষী হ’য়ে বন্ধু হয়ে মোর ; তাই ত যবে সকল মোহের ডোর যায় গোটুটে জীবন হ’তে—তবু ওগো আমার প্রভু ! আমার প্রাণের শেষ মোহটি ধায় তোমার চরণ ছায়। হয়ত যবে সন্ধ্যা হবে নিববে আলোরাশি আঁধার-সাগর মাঝে, দেখতে পাব কেমন তোমার সকৌতুক হাসি আকাশ ভরে রাজে । যে গান আমার হয়নি গাওয়া—সুর মেলেনি ব’লে— তোমার আঙিনায়, - সবগুলি তা’র শুনছ তুমি, আমার চোখের জলে, অগণ্য তারায় ।