পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ђ>е দেবেন্দ্র একটু ক্ষণ চিন্তা করিয়া বলিলেন, “আচ্ছ, আপনি দাড়ান একটু, আমি উপর থেকে আসছি।” ইন্দির। তখনও আপনার অনভ্যস্ত মাতৃ-কৰ্ত্তব্য লইয়াই ব্যস্ত । তাহার পিঠের উপর হাত রাখিয়া দেবেন্দ্র জিজ্ঞাসা করিলেন, “ইন্দির, এই মেয়ের জন্যে সমাজ তোমায় যে শাস্তি দেবে তা মাথা পেতে নিতে রাজী আছ ?” - ইন্দিরা তাহার মুখের দিকে তাকাইয়া বলিল, “তুমি যদি আমার সহায় থাক, তাহ’লে আমি কোনো শাস্তিকে ভয় করি ন৷ ” e দেবেন্দ্র বলিলেন, “আচ্ছা । কিন্তু এখন বেশ কিছু দিনের জন্যে আমাদের বাড়ী-ছাড়া হ’য়ে থাকৃতে হবে । পুরীতে আমাদের বাড়ী ঠিকই আছে, কালই যাওয়া যাবে। তুমি সব গোছগাছ ক’রে রাখ। আমার যা ব্যবস্থা করবার আছে, আমি তা করছি ।” বাড়ীতে সেদিন যেন কুরুক্ষেত্র বাধিয়া গেল। গালাগালি, চেঁচামেচির আর অন্ত রহিল না । কেবল উপরের ঘরে একটি শিশু হাসিতে লাগিল, আর নীচে পূজার ঘরে দ্বার বন্ধ করিয়া লীলা স্তব্ধ হইয়া বসিয়া রহিল । এমন সময় মাখন আসিয়া উপস্থিত হইল। আজ তাহার মাও তাহার সঙ্গে আসিয়াছে । অকস্মাৎ এরকম প্রবাসী-আশ্বিন, ১৩৩e [ २७* छांनं, xभ ५७ বিপ্লবের কারণ বুঝিতে না পারিয়া তাহারা অবাক হইয়। চাহিয়া রহিল । কিন্তু বেশীক্ষণ তাহদের বিস্ময় উপভোগ কৰিতে হইল না । সকলে মিলিয়া চেঁচামেচি করিয়া তাহীদের একরকম বুঝাইয়া দিল ব্যাপারখানা কি । কিন্তু মাখনের মায়ের মুখে ঘৃণা বা ভয়ের চিহ্ন না দেখিয়া বক্তৃতাকারিণীর দল বেশ খানিকট নিরাশ হইয়া গেল । স্ত্রীলোকটি ছেলে সঙ্গে করিয়া উপরে উঠিতে আরম্ভ করিল। কি কাণ্ড হয় দেখিবার জন্য সকলে তাহীদের পিছন পিছন চলিল । পায়ের শব্দে ইন্দির। মুখ তুলিয়। তাকাইতেই, মাখনের ম। অগ্রসর হইয়া গিয়া তাহাকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিল। তারপর মাথা তুলিয়া বলিল, “আমি তোমাব চেয়ে বয়সে বড় ভাই, তবু তোমার পায়ের ধূলা নিচ্ছি। পরের সন্তানকে নিজের ব’লে নেবার ক্ষমতা তোমার আছে ভাই, তাই তুমি নিতে গিয়েছিলে। ন বুঝে রাগ ক’রে অপরাধী হ’য়েছি।” মাথনকে টানিয়া আনিয়া বলিল,“প্রণাম কর, বাছা ।” মেয়ের দল মহা বিস্ময়ে স্তব্ধ হইয়া রহিল। তাহার পর কোলাহল করিতে করিতে আবার নীচে নামিয়া (히키 1 BERE :=E উন্মোচন৷ ঐ যোগেন্দ্রকুমার সেনগুপ্ত মানব জগতের মধ্যে জন্মগ্রহণ করিয়া তথায়ই পরিবদ্ধিত ; জাগতিক ঘটনাবলির ঘাতপ্রতিঘাত ইন্দ্রিয়মধ্য দিয়া প্রাপ্ত হওয়াতেই তাহার জ্ঞান উন্মেষপ্রাপ্ত । এডদ্ব্যতীত জ্ঞানলাভের অন্ত কোন উপায় নাই । জগতের অভ্যন্তরে অবস্থিত । অতএব উক্ত ঘাতপ্রতিঘাত তাহাকে বিচলিত করিতেছে। এমতাবস্থায় সে এই মানব • ঘাতপ্রতিঘাত যথাযথ প্রাপ্ত হয় না কারণ, তাহার কতকাংশ দ্বারা সে নিজেই চালিত। অবশিষ্ট্রাংশে তাহার জ্ঞান প্রতিভাত । এবম্বিধ অংশদ্বয়ে অমুসন্ধিৎসার পরিচালনাই যথাক্রমে উন্মোচনা ও বিধায়না জাতীয় গবেষণা। সৰ্ব্বপ্রথমে হরিত পীত রক্ত প্রভৃতি বর্ণ শিশুর চক্ষে পতিত হয় ।