পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సె%8 স্বত্ত স্ত্র । গঠনেই তৎস' ক্রান্ত অমুসন্ধিৎসার আকাঙ্ক্ষার পরিসমাপ্তি। উন্মোচনার অঙ্গসন্ধানে আকাজক্ষ তত সহজে নিবৃত্ত হয় না। কারণ, বিধায়নায়ু পরিজ্ঞাত সত্যের সাহায্যেই বিধি গঠিত । সমাধানেই সন্দেহের নিরাবরণ। উন্মোচনায় অপরিজ্ঞাত সত্যে উপস্থিতি ঘটে । তদবস্থায় সন্দেহের গ্রাচুর্য স্বাভাবিক। দেং বিশেষের মীমাংসায় সন্দেহান্তর স্তজিত হয়। সমগ্র সন্দেহ সম্যক বিদূরণেই উন্মোচনার প্রকৃত প্রতিষ্ঠ । উপরে যে-সমস্ত প্রশ্নের উল্লেখ হইয়াছে, তাহা সমাধান করিয়া উন্মোচন পরিসমাপ্ত করিতে হইলে জড়ে শক্তি-সঞ্চারণ কি প্রকারে সঙ্ঘটিত হয় তাহাতে হস্তক্ষেপ নিতান্তই প্রয়োজন । কারণ, আকাশ-তরঙ্গের পরাবৰ্ত্তন, অলক্ষ্যান্তিমাদির সমাবেশ প্রভৃতি জড়ের উপরে শক্তির প্রয়োগ মাত্র । এ অবস্থায় জড় ও শক্তির সম্পর্কঘটিত মূল তত্বের অবগতি ব্যতিরেকে এসমস্তের মীমাংসা সম্ভব নহে। শক্তি দ্বারা জড় তাহার গুরুত্ব অনুযায়ী পরিচালিত হয় । অতএব গুরুত্বের স্বরূপ জান! অবিশ্ব)ক । শক্তি ও গুরুত্বের মূলস্বরূপ জানা অর্থ ই, যাবতীয় প্রকারের ঘাতপ্রতিঘাত আকর্ষণ ও বিপ্রকর্ষণ (repulsion) প্রভৃতির মূলে শক্তি-ও গুরুত্ব-ঘটিত যে সম্পর্ক নিহিত আছে, তাহ জান । প্রথম স্তরের উন্মোচন আবিষ্কারের পরেই স্যবৃ আইজ্যাক্ নিউটন এই ধাতপ্রতিঘাত অবলম্বনে গতি সম্বন্ধীয় তিনটি বিধি এবং আকর্ষণ অবলম্বনে মাধ্যাকর্ষণের অপর তিনটি বিধি গঠন করিয়া নূতন যুগের বিধায়নার ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেন । ক্রমশঃ বৈদ্যুতিকাদি অপরাপর আকর্ষণ ও বিপ্রকর্ষণের তত্ত্বে তাহী প্রসার লাভ করে । প্রবাসী—অশ্বিন, ১৩৩৩ দ্বিতীয় স্তরের উন্মোচন৷ এই বিভিন্ন জাতীয় বলের মূল । সূত্র উদ্ধার সাধন করিয়া ইহাদিগকে স্বগৃঙ্খলায় গ্রথিত করিবে । সঞ্চারিত শক্তি জড়ের উপরে যে-ক্রিয়া সাধন করে তাহাই বল । এই বল জড়ের গতিতে বেগ-( speed ) ঘটিত বৈলক্ষণ্যের উৎপাদক । সময়ের পরিমাণ অস্থযায়ী গতি-পথ অতিক্রমণে হ্রাস-বৃদ্ধিই বেগ নামে কথিত । এক্ষণে জড় ও শক্তির সঙ্গে সময় ও পথকে পাইতেছি । বল-বিজ্ঞানে (dynamics) সমাধান সৌকাৰ্য্যার্থে জড়ের [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড আয়তন-ঘটিত লঘুত্বের চরম (limit) কণিকা (particle) অবলম্বন করিয়া কাৰ্য্য আরম্ভ হয় । ইহার পথই রেখা (line)। এ অবস্থায় কণিকার সঙ্গে লঘুত্বে, সময়ের চরম * (instant) e castā 55x fost (point) gầz zu বিন্দু রেখার লঘুত্বের চরমে থাকায় ইহা দেশের বিস্তৃতি( dimension ) শূন্ততার ERTM (vanishing point ) অবস্থিত । এখন লঘুত্বের চরমে তিনটি পদার্থ (thing) পাওয়া গেল—কণিকা, বিন্দু ও ক্ষণ । গতি ও বল সহযোগে এই ত্ৰিবিধ পদার্থ অবলম্বনে যাবতীয় বল-বিজ্ঞানের সমাধান ঘটে । উল্লিখিত ঘাতপ্রতিঘাত-ও আকর্ষণবিপ্রকর্ষণ-ঘটিত তত্ত্ব গুলি বল-বিজ্ঞানেরই অন্তভুক্ত । স্বতরাং ইহাদিগকে বিশ্লেষণ করিয়া মূল তত্ত্বে উপস্থিতি নিমিত্ত কণিকা, বিন্দু ও ক্ষণের মৌলিক ধৰ্ম্মে অভিজ্ঞতা প্রয়োজন, জড় ও দেশের লঘুত্বের চরম যথাক্রমে কণিকা ও বিন্দু হওয়ায়, কণিকার অবস্থিতি বিন্দু । বল-বিজ্ঞানে কণিকার গতিপথকে রেখা বলিয়া ধরিয়া লওয়া হইয়াছে । গতি অর্থে কোন নির্দিষ্ট সময় ব্যাপিয়া ক্রমাগত স্থান পরিবর্তন । তদবস্থায় গতিবিশিষ্ট কণিকা গতি-সময়ে বিভিন্ন ক্ষণে গতিরেখার বিভিন্ন বিন্দুতে অবস্থান করে, এইরূপে গতি হইতে কণিকা, ক্ষণ ও বিন্দুর মধ্যে একটা সম্পর্ক পাওয়া যাইতেছে । সমগ্র বল-বিজ্ঞানে এই ত্রিবিধ পদার্থের সম্পর্ক নির্দেশক অপর কিছু নাই । এ অবস্থায় এই গতি বিশ্লেষণ করিয়া মৌলিক তত্ত্বে উপস্থিত হইতে হইবে । ইউক্লিড গতির সঙ্গে কোন সম্পর্ক না রাখিয়াই জ্যামিতিক সমাধানে চেষ্টা করিয়াছেন ; কিন্তু সম্পূর্ণ রূপে কৃতকার্ষ্য হইতে পারেন নাই। প্রথম ও দ্বিতীয় স্বীকার্য্যে সরল রেখার “অঙ্কন” ও “পরিবর্দ্ধন” এই দুই শব্দে গতি সম্বন্ধীয় ভাব নিহিত আছে । তৃতীয় স্বীকার্য্যের প্রয়োগে সরল রেখার আবৰ্ত্তন প্রচ্ছাদিত কর। হইয়াছে । প্রথম অধ্যায়ের চতুর্থ ও অষ্টম প্রতিজ্ঞায় ইউক্লিড একটি স্বীকার্ধ্যের প্রয়োগ করিয়াছেন। তাহা তাহার