পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏ ఆ अिधषाझौ bశ్రీశ్రీశ్రీ কানাই বলে উঠল—দেখতে হবে বইকি মা । হারামজাদার কাণ্ডজ্ঞান মোটে নেই, ওকে দেখবার জন্তই একজন পাহারাদার দরকার। সর্দার-ভাই, ধান-টান থাক গে, তুমি এই দুলি-মাটিকে দিয়ে দাও। ধান দিলে লাভ হবে না কিছু—হারামজাদ গরু দিয়ে থাইয়ে দেবে— লণ্ঠন নিয়ে ওরা একটু এগিয়ে পড়েছে। দুলি আর নন্দ পিছিয়ে গেছে। অত ঝগড়া করবে, তা পা চলবে কখন ? নন্দ সদস্তে বলল—ওরে দুলি, গয়লা গধুলা করতিস ধে বড়–এবার যদি তোকে কেউ ডাকে গম্বুল-বউ ? দুলি মুখ ঘুরিয়ে বলল–গয়লার ব্যবসা রাখতে দেব বুঝি ! ব্লাঙীকে দিয়ে আসছে-বছর আউণের চাষ হবে। ঘন কালে আউশধান। কোমর সমান উচু হয়েছে, রাভের বাতাসে দুলছে, ফিসফিস করছে। আ'লপথে চলেছে দুলি আর নন্দ । ধান তাদের গায়ের উপর গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে । উৎসবান্তে শ্ৰীযতীন্দ্রমোহন বাগচী অধীর উৎসব-রাত্রি এল—গেল চলে’ ; প্রজ্জলিত দীপালোক দণ্ড দুই জলে’ লভিল নিৰ্ব্বাণ তার ; নক্ষত্র-আলোকে ধরণীর সিদ্ধ দৃষ্টি ফিরে’ এল চোখে । স্তন্ধ গীত, বন্ধ বাদ্য ; ক্লাস্ত কর্ণপুটে উত্তেজিত স্নায়ুজাল ধীরে ভরে উঠে মৌনতার মধুরসে ; পুষ্পগন্ধাতুর নাসায় পশিল আসি প্রসন্ন মধুর বিমুক্ত দক্ষিণ বায়ু বন্ধুর মতন, লয়ে তার পরিচিত প্রিয় পরশন। জুড়াল জরের দাহ যেন সৰ্ব্বদেহে প্রকৃতির মন্ত্র-পড়া স্নিগ্ধ অবলেহে । ক্লান্ত মন যন্ত্রণায় শাস্তি পেল ধীরে, ঋgাহত পক্ষী যেন সাত্বনার নীড়ে । প্রশান্ত ইন্দ্রিয়গ্রাম ;-অশান্ত তুফান স্নিগ্ধ সহজিয়-মন্ত্ৰে যেন অবসান ! তৃপ্ত প্রাণ জেগে উঠে যেন আশেপাশে নেহারে আত্মীয়জনে মুস্থ নিজবাসে,— শাস্তিভরা দৃষ্টি যার—স্থশ্বিত আনন প্রসন্ন কুশল-প্রশ্নে করে সম্ভাষণ। স্বস্বর যেমনই হোক, নিঃশ্বরের স্বর শ্রবণের পাত্রে সে যে শাশ্বত মধুর সঙ্গীবনী-রসধারা। কুমুমের বাস যতই স্বমিষ্ট হোক, সহজ নিঃশ্বাস রুদ্ধ করে দও দুয়ে । রুদ্র দীপালোক বঞ্চিয়া সহঙ্গ দৃষ্টি অন্ধ করে চোখ । চঞ্চল উৎসব-রাত্রি শুধু এই বলে’ যেমন সে এসেছিল, ফিরে’ গেল চলে । i