পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कॉर्डिक পড়ে সোনার ধান ডুবিয়ে দিত। সাংঘাতিক ছেলে ! দুলি কোমরে দু-হাত দিয়ে মল্লযোদ্ধার ভঙ্গিতে দাড়িয়েছে। বলল—দেখ, শয়তানিটা দেখ একবার। নোনা লাগলে গরুকে ধান খাওয়াবার মজা হয়—ন ? নন্দরাম কিন্তু একটুও অপ্রতিভ নয়। জবাব দিল— হয়ই ত। গরুকে আমি খাওয়াবই। তুই জিতে যাবি, তাই হ’তে দেব নাকি ? দুলি বলতে লাগল—দেখলে বাবা ? কেমন হিংস্কুটে দেখ একবার । খবর পেয়েছে, ক্ষেতের ধান আমাদের পাওনা। বাধ কেটে অমনি সব ডুবিয়ে দেবার মতলব করেছে— কোদাল ছুড়ে ফেলে নন্দরাম থাড়া হয়ে দাড়াল – ক্ষেতের ধান তোমরা পাবে সর্দার-খুড়ো ? মায়েব তাই হুকুম দিয়েছে ? জীবধর নন্দকে বুকে জড়িয়ে ধরল। বলল—এ সব কার কীৰ্ত্তি, সে কি জানি নে, বাবা ? নকুল-বরকন্দাজের কাছ থেকে সমস্ত শুনে এসেছি। নায়েবের কাছে হ’ল না দেখে তুমি নিজে ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা ক’রে সব ব'লে এসেছ । কাজটা কিন্তু মোটেই ভাল হয় নি। বাপের নামে লাগিয়ে এলে, কানাই যখন শুনতে পাবে তার মনটা কি রকম হবে বল ত । দুলির কালো চোখ বিস্ময়ে বড় হয়ে উঠল –গয়লা ব'লে এসেছে । ম্যানেজারের কাছে যেতে সাহস হ'ল ওর ? জীবধর বলল—ও ছাড়া আবার কে ! আমি বরাবর সম্মেহ করেছিলাম, মিথ্যে বলে ও আমার কাছে লুকিয়ে এসেছে । –তবেই দেখ কি রকম লোক। দুলির চোখে-মুখে আনন্দ উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠল। বলতে লাগল—চুরি করে বধ কাটে, আবার মিথ্যে কথা কয়। ওকে যে কি ক’রে তুমি ভাল বল— তিন-চারটা গঠন আ'লপথে এসে বধের উপর উঠল। শনাইয়ের গলা পাওয়া যাচ্ছে, ডাকছে—দীর্ষধর, জীবধর – य'फैश् ५fनाः খানিকট কাটতে পারলেই থালের নোনা জল ধানবনে . ఫి& জীবধর সাড়া দিলে সকলে সেইখানটায় এসে দাড়াল । কানাই ক্রুদ্ধশ্বরে বলল—কেষ্ট গিয়ে খবর দিল, আমি কিন্তু বিশ্বাস করি নি— সবাই যেন স্তম্ভিত হয়ে গেছে । তাদের মুখের দিকে এক নজর চেয়ে শুল্কমুথে জীবধর বলল—কি বলেছে কেষ্ট? জবাব দিল দক্ষিণপাড়ার মধু –মাথামুণ্ডু কি আর বলবে । মাছ ধ'রে এই পথে ফিরছিল। গিয়ে খবর দিল, বাধের এই দিকটায় কোদাল পড়েছে। এক রশি আগের থেকে আমরা তোমার গলার আওয়াজ পেলাম, কোদালও ঐ পড়ে রয়েছে। “ন্ত দিনটা বেছেছ ভাল, সর্দার—সবাই বাইচ দেখতে গেছে। আমরাই ক’জন সকাল-সকাল ফিরেছি । দুলি জলে উঠল -বাধ কাটতে বাবার বয়ে গেছে । কাটছিল ঐ নন্দt— —নন্দ কাটছিল বাধ ? কানাই বলল—ই –ই – । ঘাড় নাড়ছ কেন মধু, তা হতে পারে। হারামজাদা হয়েছে কুলের মুঘল। তার পর জীবধরের দিকে চেয়ে বলতে লাগল-ওর কানে যে কি গুরমস্তোর দিয়েছে সর্দার-ভাই, ब्राउ-दिने ও তোমাদের হয়ে ঝগড়া করে। ধানগুলো আমার গোলাঁ,-"লে ওর সৰ্ব্বনাশ হয়ে যাবে কিন, তাই ও বাধ কাটতে লেখেছে— নন্দরাম বলল—তোমার গোলায় ধান উঠবে কি ক'রে, বাবা ? ম্যানেজার হুকুম দিয়েছে, যাদের জমি তাদেরই ধান। আমি বঁধে কাটি আর নোনা জলের তুফান বইয়ে দিই, তোমার তাতে কি যায় আসে ? —সত্যি নাকি ? কানাই জীবধরের দিকে সপ্রশ্ন চোখে তাকাল । জীবধর বলল—ম্যানেজার বলেছে তাই বটে। কিন্তু ক'টা ধুনের জন্ত তোমার সঙ্গে ঝগড়া করতে যাব বুঝি ! ধান আমি মন্দকে দিয়ে দিলাম—ও তোমাদের । আমি আর ওদিকে ছায়া মাড়াতে যাচ্ছি না । কিন্তু ছলির আপত্তি আছে। সে বলল—ন, যাব না— এক-শ বার . যাব । ধান দাও—দিয়ে দাও গে। কিন্তু ওকে বিশ্বাস নেই—গর দিয়ে ধান না খাওয়ায় সেটা দেখতে হবে ?