পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏడిe স্ননয়নীর হাত ধরিয়া এক ঝটুক দিয়া বলিল, “কি ক'রে বেচলে ? অার ওসব বেচবার তোমার অধিকারই বা কি ? ওসব ত আমাকে দান করা হয়েছে। সালঙ্কার কন্য। যখন দেয়, তখন অলঙ্কারগুলোর উপরে আমারই অধিকার, তোমার নয় । তুমি চোর।” স্বনয়নী হাত ছাড়াইয়া লইয়া বলিল, “তা বেশ, চোর ত আমায় জেলে দাও না ? অামার বাপ-মায়ের দেওয়া জিনিষ, তাতেও আমার অধিকার নেই ? এই নাকি श्राद्देन ?” আইনটা ধে কি তাহা হেমেন্দ্রের ঠিক জানা ছিল না । সে কথাটা ঘুরাইয়া বলিল, “তোমার মা কি বলে এ টাকা নিলেন ? তোমার আঞ্চেল নেই না হয়, তার ত থাকা উচিত ? যা একবার দান করেছেন, তা আবার নেওয়া যায় ?” স্বনয়নী বলিল, “আমি কি আর তাকে বলেছি ধে আমি.গয়না বেচে টাকা দিয়েছি ?” প্রবাসী ১৩৪৪ হেমেশ্র বলিল, "তবে কি তুমি রোজগার করে এনেছ डिनि ভেবেছেন ?” স্থনয়নী বলিল, “ন গো মশায়, আমি তোমার নাম ক’রে দিয়েছি। বলেছি শ্বশুর-শাশুড়ীর দুঃখ দেখে টাকাটা তুমিই দিয়েছ গোপনে। বাবা-মা কত আশীৰ্ব্বাদ করলেন তোমায়, মা পাচজনকে ডেকে বললেন, “আর যত দুঃখ ভগবান আমায় দিন, এখানে আমি রাজরাণীর চেয়ে স্বর্থী, এমন জামাই দশ জন্ম তপস্ত করলে হয়। হীরার টুকরো ছেলে, আমার পেটের ছেলে হলেও এর বেশী করতে পারত না। সবাই বললে ঠিকই ত, আজকালকার দিনে এমন দেখা १ग्नि भ{' !” হেমেন্দ্র হতবুদ্ধি হইয়া খানিকক্ষণ মুনয়নীর দিকে তাকাইয়া রহিল, তাহার পর বলিল, “কি সাংঘাতিক মেয়ে তুমি ! এ যে দিনকে রাত করা ? কলিকাল ! নইলে নিজের স্ত্রী এমন হয় ।” আকাঙ্ক্ষা ঐনিৰ্ম্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তোমারে চেয়েছি শুধু, পাই নাই কবু— প্রাণপণ আকাঙ্ক্ষার ব্যর্থ পরিণাম যে ভাবে ভাবুক মনে, আমি জানিলাম ধা চেয়েছি পেয়েছি তা । ধে অতৃপ্তি তবু জেগেছে নিয়ত প্রাণে তাহার নির্বাণ ধুলার ধরণীবাসী আছে কার হাতে! পরম সরমে মোর জীবনের রাতে ভোমার বিদায় সে ত প্রেমের সম্মান । চাওয়া-পাওয়া শোধবোধ হ’ল না যে তাই আজিও চঞ্চলচিতে চারি ভিতে ফিরি, তোমার অতীত সেই তুমিরে সদাই নিজ হাতে রাখিতেছ অন্ধকারে ঘিরি। ধা চেয়েছি পেয়েছি তা পাই নি যেটুক নিয়ত অস্তরে যাচি, তাfর তীব্র মুখ ॥