S?& চীনদেশ এতদিন অস্তবিপ্লবে ব্যস্ত ছিল । তাহার প্রধান সৈন্যদল তখন স্বদেশীয় কমু্যনিষ্টদিগের দমনে ব্যস্ত ছিল । এদিকে অন্য শক্তিপুঞ্জেরও দূর হইতে ধৰ্ম্মোপদেশ দেওয়া ভিন্ন অন্য কোনও সাহায্য করার উপায় ছিল না । সুতরাং মার্চ মাসের মাঝামাঝি চীনা জাতীয় সঙ্ঘ মাঞ্চুরিয়া ও জিহোল ত্যাগ করিয়া সন্ধির চেষ্টা দেখিল । এইরূপে ৩১ মে টংকুতে যে সন্ধি হয় তাহাতে জাপানীরা মাঞ্চুরিয়া ও জিহোলে অপ্রতিহত অধিকার পায়। সদ্ধির সর্তগুলি জাপান প্রতিদিনই অদলবদল করিয়া শেষে ১৯৩৪ সালের মাঝামাঝি, সৰ্বগুলি নিজ ইচ্ছামত হওয়ায়, সন্ধি অনুযায়ী কাজ করিতে রাজী হয় । ছাপানের রাজ্যপিপাস৷ কিন্তু অতি প্রবলষ্ট রহিল । ১৯৩৫ সালের মে.মাসে কয়েকটি দস্তাদলের দমন উপলক্ষ্য করিয়া জাপানী সেনা আবার নূতন অঞ্চল আক্রমণ করে। এবার ও চীন অশেষ লাঞ্ছনা সহ করিয়া শেষে হোপেহ, ও চাহার এই দুই অঞ্চলষ্ট জাপানের হাতে তুলিয়া দিতে বাধ্য হয় । এই সঙ্গেই মঙ্গোল-অঞ্চল অধিকারের স্বত্রপাতও জাপানীরা করিয়া রাখে এবং ‘সন্ধি হইবার পরই সেই দিকে অভিযান আরম্ভ হয় । এদিকে রুশ-সাম্রাজ্যের সীমাস্তে প্রথমে উদ্বেগ পরে ভয়ের প্লাবন চলে । ফলে, জাপানের এই সাম্রাজ্য-স্থাপনের গতিরোধের চেষ্টায় মঙ্গোল-অঞ্চলের উত্তর-পশ্চিম প্রদেশে, রুশীয়ের সকল প্রকারে সাহায্য করিতে থাকে। মাঞ্চুরিয়া ও সাইবিরিয়ার সীমান্ত অনেক দূর পর্যন্ত পাশাপাশি চলিয়াছে, সেখানে দুর্গমালা, এরোপ্লেনের বন্দর ও প্রচুর সৈন্যসমাবেশ আরম্ভ হইল। জাপান দেখিল সেদিকে ভয়ের কারণ আছে, স্বতরাং সাময়িক ভাবে চীন-জয় স্থগিত রাখিল । ইতিমধ্যে ইউরোপে জাৰ্ম্মানী ও ইটালী রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন আরম্ভ করে। এই আন্দোলনের চুড়াস্ত পরিণতি দাড়ায় স্পেনে আন্তর্জাতিক বিবাঞ্জের স্বষ্টিতে, ○や88 পিইপিঙের রাজপথ যাহার ফলে এখন কোনও ইউরোপীয় শক্তির এখন ইউরোপের বাহিরে কিছু করিবার ক্ষমতা নাই। এই সঙ্গে জাপান ও জাৰ্ম্মানীতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এক সন্ধি স্থাপিত হয় : ইহার ফলে জাপান আবার নির্ভয়ে চীন-জয়ের পথে চলিতে আরম্ভ করে। মধ্যে কিছুদিন চীন দেশ অবকাশ পাইয়াছিল, কেন-ন, জাপানের সেনাপক্ষের কতকগুলি গোয়ার সেনান একটি ছোটখাট বিপ্লবের সূচনা করায় সে-দেশে মহা অশান্তি ও অনিশ্চয়তার সূত্রপাত হয়। দুঃখের বিষয় এই স্বযোগে চীনবাসিগণ সঙ্ঘবদ্ধ হওয়া দূরে থাকুক, নানা প্রকার বিবাদ-বিসম্বাদে সময় কাটায়, ফলে জাপান নিজের গৃহবিবাদ শাস্ত করিয়! আবার দ্বিগুণ বিক্রমে বাহিরে: অভিযানে মন দিতে সমর্থ হইয়াছে। এদিকে রাশিয়ায় ট্রটুস্কিদলের উচ্ছেদ-চেষ্টায় গত দুষ্ট বৎসরের মধ্যে প্রায় চার শত শ্রেষ্ঠ সৈনিক ও বিশেষত্ব লোকের প্রাণদণ্ড হওয়ায় সেখানে সকল ব্যাপার অনিয়মিত হইয়া পড়ে। সমগ্র রাষ্ট্রে সন্দেহ ও ভীতির ঢেউ চলায় রাশিয়ারও দৃঢ়ভাবে জাপানের সাম্রাজ্যবাদে বাধা দিবা? শক্তি নাই। গত জুলাই মাসের গোড়ায়, যখন রাশিয়: আট জন শ্রেষ্ঠ সেনানায়ককে—এমন কি প্রধান সেনাপতি টুখাচেভস্কিকেও—প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়, তখন জাপান আমুনদের সীমান্তে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বাধায় । রুশদল প্রথমে যুদ্ধে
