ఏ సిరి প্রবণসী SNరిg3 दिउँौघ्र पृथ [ বাগানের ভিতর একটি বেঞ্চিতে নিৰ্ম্মল চুপ করিয়া বসিয়া আছে। ঈষৎ চন্দ্রালোকে স্থানটি উদ্ভাসিত । আলো এবং ছায়ায় জড়াজড়ি। ইন্দির। তাহার নিকটবৰ্ত্তী হইল। ] ইন্দিরা । বাঃ রে, একলাটি পালিয়ে এসে বসে আছেন । আমি কত খুঁজলুম। সামাজিক দায়িত্ব বলে একটা জিনিষ আছে সেটাকে ভাল লাগা বা না-লাগার খাতিরে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না এটা মানেন ত? হয়ত অনেকে আপনাকে খুঁজছে। না দেখতে পেলে আশ্চৰ্য্য হবে। o নিৰ্ম্মল। আমাকে কেউ খুজিবে না, নিশ্চিস্ত থাক । কিন্তু তোমাকে যে অনেকে খুজছে এ-কথা হলফ ক'রে বলতে পারি। কিন্তু তুমি ধে তোমার বিরাট সামাজিক দায়িত্ব ফেলে আমার খোজে আসুবে তা আমি জানতুম না। ইন্দির । সত্যি জানতেন না ? নিৰ্ম্মল। সত্যিই জানতুম না ইন্দিরা। তোমার অনেক মান্য অতিথিকে ফেলে তুমি যে এখানে আসবে একথা কেমন ক'rর জানব বলে ? ইন্দির। আপনি আমাকে যতই বিধবার চেষ্টা করুন, পুরুষমামুষের বেশী ভাবপ্রবণ হওয়া যে একেবারেই ভাল নয় একথা আমি বলবো । এ যেন গ্রামোফোনের নাকী মুরে কাদা কীৰ্ত্তরে মত• • • { নিৰ্ম্মল। কিন্তু ঠিক বুঝতে পারলুম মা এ বিশেষণটির লক্ষ্য কে, আমি না মন্দী সাহেব ? - ইন্দিরা। [ মৰ্ম্মাহত মুরে ] আপনি যে আজ যা মুখে আসছে তাই খলছেন • • { নিৰ্ম্মল । ধাক ওসব কথা ইন্দির, চল যাওয়া যাক । তোমার অনেক অতিধি দস্তুর মত ব্যাকুল হয়ে উঠেছেন । ইন্দির। ( বেঞ্চির উপর বসিয়া ] আপনার মুখের ঐ ভাষা যতক্ষণ না বদলাচ্ছেন আমি কিছুতেই কোথাও যাচ্ছি নে। এই বসলুম। নিৰ্ম্মল । [ হাসিয়া ] কি ছেলেমামুবী করছ ! চল চল । ব্রন উর্দ্ধশ্বাসে দৌড়াইয়। আসিল । ] ব্রজ। শীগগির আহ্ন দিদিমণি। সৰ্ব্বনাশ হয়ে গেল। ইন্দিরা। [ ব্যাকুল ভাবে ] কি হয়েছে । ব্রজ। বাৰু এই খানিক আগে প্রায় সন্ধ্যে করে একটা গাড়ীতে কলেজ থেকে না কোথা থেকে এলেন । ম৷ সরবতের গেলাস হাতে দিয়ে পাখা করছিলেন, হঠাৎ কি হ’ল উনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেন । কি সৰ্ব্বনাশ কাও ! কি হবে নিৰ্ম্মল বাৰু? [ ইন্দির ও নিৰ্ম্মল দ্রুতপদে গৃহাভিমুখে চলিয়া গেল। ৰজ তীত গঙ্গক্ষেপে তাহদের পিছনে গেল । ] তৃতীয় দুগু শয়নকক্ষে থাটের উপর জ্ঞানদাবাবু শুইয়া আছেন ; মাথায় জলপট দিয় মোহিনী পাথ করিতেছেন । ইন্দির ও নিৰ্ম্মল প্রবেশ করিল। ] ইন্দির । [ অশ্রুব্যাকুলকণ্ঠে ] মা মা, বাবার কি হয়েছে ? নিৰ্ম্মল । চুপ কর । দেখছ না উনি ঘুমিয়েছেন । [ নিম্নমুরে }ম, একবার ডাক্তারবাবুকে খবর দেব। মোহিনী । এখন থাক। ওঁর মাথাটা কেমন ঘুরে উঠেছিল, এখন সামলে উঠেছেন । - টেবিলের উপর রক্ষিত একটা ভেলভেটের বাস্থ লইয়৷ ইন্দিরার হাতে দিয় } এই নাও তোমার জন্মদিনে উপহার। কলেঞ্জের কাজ হয়ে গেলে ঐ পথেই কিনতে গেছলেন। ইন্দির বান্ধটা হাতে লইয় মায়ের মুখের দিকে চাহিল। তাহার চোখ দিয়, জল পড়িতেছিল। } মোহিনী। কাদছ কেন ইন্দু, ওতে তোমার বাবার মনে কষ্ট হবে । শেষ মুহূৰ্ত্ত পৰ্য্যন্ত উনি ছেলেমেয়েকে একান্ত সাবধানে আগলে আগলে যেন পাহাড়ের আড়ালে রেখেছেন । কখনও এতটুকু দুঃখ বা অভাবেব অঁাচ গায়ে লাগতে দেন নি। এত দুশ্চিস্তার মাঝেও তোমার জন্মদিনের উপহারের কথা ভোলেন নি। কিন্তু আর ত এমন ক'রে চলবে না । যাদের জন্য এমন সৰ্ব্বস্ব পণ করলেন সবচেয়ে বড় আঘাত কি এল তাদেরই কাছ থেকে ! [ একটা হলদে রঙের খাম অঞ্চলপ্রান্ত হইতে গিট খুলিয়। বাহির করিয়া নিৰ্ম্মলের হাতে দিয়া ] এইটে পড়ে দেখ, তাহলেই সব জানতে পারবে । কলেজের ঠিকানায় ওঁর কাছে আজ বেলা বারটার সময় এসেছিল। তখন
