পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫి రిఫి প্রৰণসী $\983 ভাবুন দেখি একবার যে-সামাজিক বিধানে আমাদের মত অপদার্থগুলো টাকার আণ্ডিলের উপর পায়ের উপর পা দিয়ে ব’সে অাছে আর আপনার মত মেয়েকেও পয়সার জন্যে করতে হচ্ছে পরের অধীনে দাস্য,— সে সামাজিক ব্যবস্থায় কোন মঙ্গল আছে মনে করেন ? ইন্দির । [ পাংশুমুখে ] থাক ওসব কথা মিং ভাদুড়ি । অfমার চেয়ে আরও ঢের বড় সমস্ত আছে, কেবল আমাকেই অতবড় গৌরব দেবেন না । মা ও রেব, এই ট্র্যানক্সেশনগুলো চটপট মন দিয়ে ক’রে ফেল দেখি । রেবা মিনিট-দুই পুৰ্ব্বে নি:শব্দে ঘর ছাড়িয়া চলিয়া গিয়াছে । ] ওকি, রেব চলে গেল নাকি ? ভাদুড়ি । বোধ হয় কোন দরকারে গেছে । আসছে এখনই । ... হ্যা, কিন্তু আপনি আমার কথাটা আমন ক’রে উড়িয়ে দিলেন কেন মিস গুপ্ত ? : দেখুন সংসারে এত श्रमांभा, ७ड श्रदिsांतु, उनू म8ग्न यांध्र, भूमि भाँe६| धtग्न একটু দরদ একটু ব্যথাময় সহানুভূতি । ইন্দির। আরক্ত মুখে নি:শব্দে বসিয়া আছে । কোন জবাব দিল ন । ] ভাছড়ি একটুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয় ] আর শুধু টাকা থাকলেই জীবনট মুখের হয় না মিস্ গুপ্ত। বাইরে থেকে ' লোকে মনে করে ঐ টাকাটাই বুঝি সব, ন-জানি কত সুখেই এর রয়েছে । তারা দেপে মস্ত বড় বাড়ী, মোটরকার, জাকজমক । কিন্তু এর তলাযু তলিয়ে ত আর তারা দেখতে যায় না । দেখতে পায় না সেখানে ক'ত দৈন্ত কত রিক্ততা । আমার জীবনটাও .-এ স্থান-কমিধার করুণ ট্র্যাজেডি । ইন্দির। [ অফুটকণ্ঠে ] আমাকে এ-সব বলায় কি লাভ মি: ভাদুড়ি । আপনার বলেই বা কি লাভ আর আমার শুনেই কি লাভ ? জীবনের ট্র্যাজেডি একটু আস্তরালে রাখতে হয়। যার তার সামনে অমন ব’লে বেড়াতে নেই। কিন্তু বেব| আমাকে না ব'লে উঠে গেল কেন ? সে কি আজ আর পড়বে না । পরমুহূৰ্ত্তে রেব ঘরে ঢুকিল । ] রেব । [ গম্ভীর মুখে । ] বাবা মা তোমাকে ডাকছেন, শীগগির যাও। - ভাদুড়ি আস্তে আস্তে চলিয় গেলেন । অপরাধীর মত । ] মিনিট-পাচেক পরে পাশের ঘর হইতে ভাদুড়ি-জtয়ার তর্জন শোনা যাইতে লাগিল । ভাদুড়ি-জায় { পাশ্বের কক্ষ হইতে ] কোথায় গেছিলে ? সেই থেকে আমি খুঁজে বেড়াচ্ছি। মিষ্টার দেব, বাড়ী থেকে মোটর এসে কতক্ষণ দাড়িয়ে রয়েছে। কাপড় ছাড়তে যাই ব’লে সেজেগুজে ঐ মেয়েটার কাছে যেয়ে রস-কথা হচ্ছিল । দাড়াও আমি বার করছি তোমার রসতত্ত্ব ! ঘণ্টাখানেক পরে ইন্দিরাদের বাড়ীর সম্মুখে মোটর খামিল। সে নামিয় নি:শব্দে আপন ঘরে ঢুকিল। টেবিলের টানদেরাজ খুলিয়া নিৰ্ম্মলের একটি ছোট ফটে বাহির করিল। তন্ময় হইয়া দেখিতে দেখিতে তাঁহা টেবিলের উপর নামাইয়। রাখিয় তাহার উপর মাথা রাখিল । ঘনকৃষ্ণ কেশঙ্গর ছড়াইয় পড়িল । ] মোহিনী। [ দরজা ঠেলিয়া ৷ ইন্দু দোর পোল ! রাত হয়েছে গাবি নে ? ইন্দিরা । [ চমকিয়া উঠিয়া তাড়াতাড়ি ফটোখানা একখানা বইয়ের আড়ালে লুকাইয়া রাপিয়া দরজা খুলিয়া দিল । ] এই যে খুলি মা ! মোহিনী। কি ব্যাপার কি ? এসেই ঘরে দোর দিয়েছিস । এদিকে শাস্তা তোর জন্মে সেই সন্ধ্যের আগে থেকে এসে ব’সে আছে । - মোহিনীর পিছু পিছু শাস্ত ঘরে ঢুকিল। ] শাস্ত । মাসীমা আপনি যান । আমি এখনই ইন্দুকে ধরে নিয়ে যাচ্ছি । মোহিনী । বেশী রাত ক’বো না বtছ। ততক্ষণ খাবার সাজিয়ে ঠিক ক’রে রাগি। একসঙ্গেই বসবে । অামি তোমরা দু-জনে প্রস্থান করিলেন । শাস্তা । [ সহাস্তে ] ফটোর উপর এত অতুরাগ কিন্তু আসল মামুষটিকে ত নাস্তানাবুদ করছ ইন্দু ! ইন্দির । তার মানে ? শাস্ত । [ বইটা সরাইয়ু ফেলিয়ু ফটোথন বাহির করিয়া ? বলি এতক্ষণ দোর বন্ধ ক’রে করছিলে কি ? এখন ভালমামুষের মত মানে জিজ্ঞেস করছ ইন্দু ? ইন্দির । আপনি কেমন ক’রে জানলেন শাস্তাদি ? শাস্তা । আমি যে হাত গুণতে জানি ভাই । কিন্তু ভাবছি তোমাদের দু-জনের ধ্যানের পাল| শেষ হবে কখন এবং কেমন ক'রে । আমি আজ এমন অসময়ে এসেছি কেন জান, আজই বিকেলের ডাকে নিৰ্ম্মলবাবুর একথান চিঠি পেলুম. ইন্দিরা । [ বিবর্ণ মুখে ] তিনি ভাল আছেন ত ? শাস্তা । [ হাসিয়া ] ভাল আছেন ইন্দু। কিন্তু সে চিঠি ত আমাকে লেখা নয় ভাই, আমাবে উপলক্ষ্য ক’রে তোমাকেই লেখা । আচ্ছা তোমাকে কি উনি চিঠি লেখেন, ইন্দু ?