কীৰ্ত্তিক ৰিবিধ প্রসঙ্গ-ভগিনী নিবেদিতার নামে উৎসর্গীকৃত ৰয়নাগার
- ్స8\తి
করেন না, হিন্দুর তাহা করিলেই পৌত্তলিক ভাবে করেন, এরূপ মনে করা ধৰ্ম্মান্ধতা মাত্র । হিন্দু হইলেই সে পৌত্তলিক, डेशe उभ । भूéिभूछक भारज३ cशोखनिक ७ अषभ, देश মনে করাও ভ্রম ও দাম্ভিকতা । রামপ্রসাদ ও তুকারাম কি খার্ষিক ছিলেন না ? পরমহংস রামকৃষ্ণ ধাৰ্শ্বিক ছিলেন না ? কোন শব্দের একট। অর্থ দেবতাবাচক হইলেই একেশ্বরবাণীরা তাহা ব্যবহার করিতে পারেন না, এমন নয়। মুসলমানদিগের দ্বারা ব্যবহৃত ঈশ্বরবাচক একটি শব্দ পূৰ্ব্বে মূৰ্ত্তিবিশেষবাচক ছিল, ইহা মৌলানা আকরম খান সাহেবের একটি রচনায় আছে বলিয়া মৌলবী রেজাউল করীম সাহেব “দেশ” কাগজে লিথিয়াছেন । পদ্ম ও শ্রীর বিরোধী সব মুসলমানের তাহার প্রবন্ধটি পড় উচিত। “লক্ষ্মী" কথাটি দেবীবিশেষবাচক, কিন্তু বাংলায় সচরাচর “লকৃর্থী ছেলে", "মেয়েটি বড় লকৃপী”, “লোকটি লক্ৰীমন্ত", বলা হয়। যাহারা লক্ষ্মীপূজা করেন না, তাহারাও এরূপ বলিয়৷ থাকেন। "শ্ৰীমন্ত”, “শ্ৰীমান”, শব্দগুলি তাহারাও ব্যবহার ফরেন । রবীন্দ্রনাথ যে নিজে নিজের নামের পূৰ্ব্বে ঐ ব্যবহার করেন না, তাহার কারণ এ নয়, যে, “শ্ৰী” কোন দেবীর নাম ; তাঃার কারণ তিনি নিজে বলিতে চান না যে তিনি "শ্র"মস্ত । বস্তুত: অন্য অনেকেও যে নিজের নামের আগে নিজেই শ্ৰী লেখেন, তাহাতে অহঙ্কার প্রকাশ হয় মা এই জন্য, যে, তাহারা গতানুগতিক ভাবে ইহা লেখেন, “শ্ৰী” ব্যবহারের অর্থ কি তাহ ভাবিয়া লেখেন না । মুসলমানদের মধ্যে ষেমন আগে অনেকে নামের পূৰ্ব্বে "ঐ" লিখিতেন, এখনও তেমনি অনেকে লেখেন । ইহার প্রমাণ দেওয়া অনাবশুক হইলেও অকস্মাৎ গত ৮ই সেপ্টেম্বর আমাদের নিকট বীরভূম জেলার সিউড়ী হইতে রায় বাহাদুর শ্ৰীযুক্ত নিৰ্ম্মলশিব বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় কর্তৃক লিখিত যে চিঠিখানি আসে, তাহার উল্লেখ করিতেছি । তিনি উহাতে লিখিয়াছেন, ষে, প্রবাসীতে "ত্র" ও "পদ্ম" সম্বন্ধে আলোচনা দেখিয়া এক জন মুসলমান ভদ্রলোকের তাহাকে লেখা মূল বাংলা চিঠিখানি আমাকে পাঠাইতেছেন ; তাহাতে র্তাহার নামের আগে “ঐ" দিয় তিনি স্বাক্ষর করিয়াছেন। মুসলমান ভদ্রলোকটির এই চিঠিটির তারিখ এই বৎসরেরই এই সেপ্টেম্বর বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় লিখিয়াছেন, বীরভূম লের পল্লীগ্রামের অনেক মুসলমান এখনও নামের পূৰ্ব্বে "" ব্যবহার করেন। তিনি যাহার চিঠিখনি জামাদিগকে পঠাইয়াছেন, তিনি পূৰ্ব্বে লোক্যাল ও ডিট্রিক্ট বোড়ের বের ছিলেন এবং এখনও একটি ইউনিয়ন বোর্ডের ভাইসপ্রেসিডেন্ট আছেন। উহার চিঠিটর, প্রতিলিপি মুদ্রিত করায় তাহার আপত্তি হুইবে কি না ন-জানায়, প্রতিলিপি দিলাম না, তাহার নামেরও উল্লেখ করিলাম না । মুসলমানদিগের ব্যবহৃত নক্ষত্রভূষিত অৰ্দ্ধচন্দ্ৰচিহ্নযুক্ত পতাকার ব্যবহারের উল্লেখ পূৰ্ব্বে করিয়াছি । তাহা ইসলামিক যুগের আরম্ভকাল হইতে ব্যবহৃত হইত না । তাহা অাগে একটি “পৌত্তলিক” প্রতীক ছিল । কিন্তু কন্সটান্টিনোপল জয়ের পর হইতে তাহা মুসলমান তুর্কর ব্যবহার করিতে থাকে। এখনও খিলাফৎ কনফারেন্সওয়ালা মুসলমানেরা তাহা ব্যবহার করেন এবং খিলাফৎ কনফারেন্সের সঙ্গে মুসলমান ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের ধৰ্ম্মগত যোগ আছে'। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিত হিন্দু ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের কোন ধৰ্ম্মগত যোগ নাই । এই বিশ্ববিদ্যালয় কোন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়েরই ধৰ্ম্মপ্রতিষ্ঠান নহে। ইহা সকল ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের এবং অজ্ঞেয়তাবাদী ও নাস্তিকদেরও বিদ্যা অর্জনের প্রতিষ্ঠান । ইহাতে "পদ্ম” ও “শ্ৰী” ব্যবহারে আপত্তি হইতেছে, অথচ মুসলমান পতাকায়, খিলাফতীদের টুপিতে মূলতঃ পৌত্তলিক প্রতীক তারকাখচিত চন্দ্রকলা ব্যবহারে আপত্তি হইতেছে মা ! হিন্দুদের বিরুদ্ধে ধৰ্ম্মবিদ্বেষ জন্মাইবার এই সকল চেষ্টা শোচনীয়। নিজ নিজ পৌরুষে যাহারা দেশের রাজা হইয়াছিলেন সেই বাদশাহেরা যাহা ব্যবহার করিতেন, হিন্দুরা তাহা করায়, ইংরেজের অনুগ্রহলব্ধ ক্ষমতা পাইয়া কতকগুলি স্বার্থাম্বেষী লোক সোরগোল জুড়িয়াছে। ভগিনী নিবেদিতার নামে উৎসর্গীকৃত বয়নগর গত ২৬শে সেপ্টেম্বর বিদ্যাসাগর বাণীভবন-প্রাঙ্গণে ভগিনী নিবেদিতার নামে উৎসর্গীকৃত একটি বয়নগৃহের দ্বারমোচনক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। এই গৃহটি ঐযুক্ত লেডী অবলা বক্ষ মহোদয় নিজব্যয়ে নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছেন এবং তাহাতে অনেকগুলি তাত বসাইয়াছেন । গৃহটির ভিতর ভগিনী নিবেদিতার একটি আলেখ্য স্থাপিত হইয়াছে । অনুষ্ঠানের পাঠাদি পণ্ডিত ক্ষিতিমোহন সেন মহাশয় করেন । যুক্ত সরলাবাল সরকার মহোদয় ভগিনী নিবেদিতা সম্বন্ধে একটি প্রবন্ধ ও কবিতা পাঠ করেন, এবং প্রবাসীর সম্পাদকও তাঁহার সম্বন্ধে কিছু বলেন। বাণীভবনের প্রবেশদ্বারে এবং অনুষ্ঠানমগুপে আলিপনা স্বন্দর হইয়াছিল। এই বয়নাগারটি ভগিনী নিবেদিতার ভারতভক্তির, ভারতীয় শিল্পাঙ্করাগের, ও শ্রীযুক্ত অবলা বন্ধ মহাশয়ার তাহার সহিত সথ্যের নিদর্শন হইয়া থাকিবে, এবং বাণীভবনের বহু-ছাত্রীর বয়নশিল্প শিক্ষার উপায়স্বরূপ হইয়া দেশের কল্যাণ সাধন করিতে খুtfকবে। سيسبعض
