পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$88 প্রৰণসী 3°88 রাজশাহী কলেজের ব্যাপার রাজশাহী কলেজের ব্যাপারটা আগাগোড়াই শোচনীয় `e अखबॉकब्र । ভারতবর্ষে সকল ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের লোকেরা একত্র জীবনযাপন করুন, ইহা আমরা কাহারও চেয়ে কম চাই না । কিন্তু যত দিন ভিন্ন ভিন্ন ধর্শ্বের লোকদের খাদ্যাখাদ্য ও ধৰ্ম্মামৃষ্ঠান বিবাদের কারণ থাকিবে, তত দিন যাহা বাস্তব অবস্থা তাহা মানিয়া লইয়৷ তদনুরূপ বন্দোবস্তের দ্বারা শাস্তিরক্ষা করাই শ্ৰেয়: হিন্দুদের জন্য অভিপ্রেত ছাত্রাবাসে দুটি মুসলমান ছেলেকে না রাখিয়া সহজেই অন্যত্র রাখা যাইত । তাহাদিগকে হিন্দুদের জন্য অভিপ্রেত ছাত্রাবাসে রাখিবার জিদ না করিলে অপ্রীতিকর কিছু ঘটিত না। খবরের কাগজে প্রকাশিত শিক্ষামন্ত্রীর টেলিগ্রাম দুটি হইতে দেখা যায়, যে, তিনি র্তাহার পদোচিত নিরপেক্ষত তুলিয়া গিয়া আগে হইতেই মুসলমান ছাত্রদের পক্ষ অবলম্বন করিয়াছিলেন এবং কলেজ বন্ধ করিবার হুকুম প্রকাশিত হইবার দুই দিন পূৰ্ব্বে তাহাদিগকে জানাইয়াছিলেন যে কলেজ বন্ধ করা श्रव ! ঐযুক্ত শরৎচন্দ্র বন্ধ ও শ্রীযুক্ত প্রমথনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজশাহী গিল্প। উভয় পক্ষের ও উভয় সম্প্রদায়ের নেতাদের কথা শুনিয়া যেরূপ মীমাংসা করিবেন, তদনুসারে কাজ হইবে, এইরূপ প্রতিশ্রুতি প্রকাগুভাবে দিয়া পরে শিক্ষামন্ত্রী ভিগবাজী খাইয় অন্তরূপ কথা বলায় শরৎবাবু ও প্রমথ বাৰু রাজশাহী ধান নাই, গবন্মেষ্ট অর্থাৎ শিক্ষামন্ত্রী একটা H | হুকুম দিয়াছেন । হিন্দু ছাত্রদের জন্ত অভিপ্রেত এটা ব্লকের মধ্যে ১টা মুসলমানদের জন্ত লওয়া হইয়াছে, তাহাদের যে ব্লক আগে হইতে ছিল,তাহাও তাহাজের রহিল। হুকুম হইয়াছে ষে যে-সব ছাত্র হষ্টেলে থাকিবে তাহাদিগকে এই বন্দোবস্তে ও গবন্মেন্টের ভবিষ্যৎ যে-কোন বন্দোবস্তে স্বীকৃতি লিখিয়া দিতে হুইবে । ফলে, যদিও কলেজ খোলা হইয়াছে, তথাপি একটিও হিন্দু ছাত্র হষ্টেলে যায় নাই। তাহারা ষে পূৰ্ব্বোক্ত স্বীকৃতিরূপ দাসখত লিখিয়া দেয় নাই, ভালই করিয়াছে। তাহারা শ্ৰীযুক্ত কিশোরীমোহন চৌধুরী মহাশয়ের তত্ত্বাবধানে একটি ভাড়াটিয়া বাড়ীতে বাস করিতেছে। হিন্দু ও মুসলমান হষ্টেলগুলি গবষ্মেন্টের টাকায় নিৰ্ম্মিত হইয় থাকিলেও উহাজের নাম সরকারী কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেণ্ডারে হিন্দু ও মুসলমান ব্লক বলিয়াই উল্লিখিত আছে। গবষ্মেন্ট টাকা দিয়াছেন বলিয়াই কি যা খুব তাই করিতে পারেন । কলিকাতার ৰৈক্ষার হষ্টেলে হিষ্ণু ছাত্র এবং ঈডেন হিন্দু হষ্টেলে মুসলমান ছাত্র রাখিতে পারেন । গবন্মেটি ষে টাকা দিয়াছেন, তাহ বঙ্গের রাজস্ব হইতে, এবং বঙ্গের রাজস্বের টাকার বার আন হিন্দুর দেওয়া। আজ না-হয় গবন্মেন্টের অনুগ্রহে শিক্ষামন্ত্রী ছুদিনের জন্ত কিছু ক্ষমতা পাইয়াছেন। তাঁহাতে র্তাহার মত বুদ্ধিমান লোকের মাথা খারাপ হওয়া উচিত হয় নাই । হিন্দুরা টাকা দিয়াছিলেন বলিয়াই রাজশাহী কলেজ इझेब्रांछ्लि ! करणछ माँ-ठ्ठहेtल श्रछेtजब्र मद्रकांब्र श्हेड मl, হষ্টেলও হইত না । হিন্দুরা দেখিয়া শিখুন। তাহাদিগকে সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতার বশবৰ্ত্তী হইয়া কাজ করিতে বলিতেছি না। র্তাহার অর্থব্যয় করুন সকলের জন্ত ; কিন্তু অতঃপর ক্ষমতা ধেন নিজের হাতে রাখেন । ক্ষমতা ছাড়িয়া দিয়া, বাস্তবিক অনুগ্রহজীবী না হইয়াও, ভিখারীর লাঞ্ছনা কেন ভোগ করেন ? ‘আনন্দমঠ দাহন যিনি ষে ধৰ্ম্মাবলম্বীই হউন না কেন, অন্তধৰ্ম্মাবলম্বীদের প্রতি বিদ্বেষপ্রণোদিত ব্যবহার তাহার অনুমোদিত হইবে না যদি তিনি বিবেচক ও প্রকৃত ধাৰ্ম্মিক হন । ‘আনন্দমঠ' ধে পোড়ান হইয়াছে, মুসলমানই তাহার অধৌক্তিকতা দেখাইয় প্রতিবাদ করায় মুসলমানের মনুষ্যত্বের সম্মান রক্ষিত হইয়াছে। কোন উপন্যাসে বা নাটকে এক সম্প্রদায়ের কোন কল্পিত লোক অন্ত সম্প্রদায়ের প্রতি অবজ্ঞা ও বিদ্বেযস্বচক কথা বলিলে, তাহার দ্বারা ঐ পুস্তক-বণিত সময়ে সাম্প্রদায়িক পারস্পরিক মনোভাব সুচিত হয় । এরূপ মনোভাব নিন্দনীয়। কিন্তু যে পুস্তকে তাহ সুচিত হয়, সে জন্ত তাহা পুড়াইয় ফেলা অনুচিত । ইহুদীদের প্রতি কুবাক্য আছে বলিয়া শেক্সপিয়রের মার্চ্যান্ট অব ভীনিস দগ্ধ হয় নাই। বিস্তর ঐতিহাসিক বহিতে পৰ্যন্ত মুসলমান ধৰ্ম্মপ্ৰবৰ্ত্তক মোহম্মদের নিন্দ আছে। এই নিন্দার নিন্দ হইয়াছে, কিন্তু সেই সকল পুস্তক দগ্ধ হয় নাই। মন্দির কলুষিত, মূৰ্ত্তি ভগ্ন হিন্দুদের মন্দির কলুষিত করিতেছে, দেবমূৰ্ত্তি ভগ্ন করিতেছে মুসলমাননামধারী গুগুরে, “আনন্দমঠ দাহনের প্রতিবাদকারী বিবেচক মুসলমানের মত কোন মুসলমান डांश करब्रन नाङ्के । शंदर्भद्र व भूननधान भजौब्र! cय ७ऋ* গুণ্ডামির যথোচিত প্রতিকার করিতেছেন না, তাহ নিন্দনীয় । - সিঙ্গুরে প্রসূতিভবন পরলোকগত স্বরেক্সনাখ মল্পিক মহাশয়ের পত্নী