পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপ ও জপমালা ঐীক্ষিতিমোহন সেন সাধকেরা সাধনার সহায়ুরূপে যে-সব পথ খুজিয়া বাহির করিয়াছেন তাহার মধ্যে “জপ” একটি প্রধান সহায়। তাই সাধকরা জপকে মহাপথ বলেন ।

  • ক্রিয়া” সকলের সাধ্য নহে, "ধ্যান” শক্তিমানেরই শক্য, কিন্তু “জপ” সকলের পক্ষেই সহজ পথ। ভগবানের কোনো একটি বিশেষ নাম, প্রণব বা মন্ত্রকে আশ্রয় করিয়া বার বার তাঙ্গর আবৃত্তিই হইল “জপ" বা “জাপ”।

সাধনার প্রারম্ভে এই নামজপ এক এক সময় সাধকের বড়ই নীরস মনে হয়, অথচ ঠিক পথে চালিত হইলে এই নামজপ অমৃতরসে ভরিয়া উঠে । শক্তিহীন শক্তিমান উভয় প্রকারের সাধকই ইহাতে পরম সহায়তা পাইয়া থাকেন । আমাদের দেশের এক জন বিশ্ববিশ্রুত মহাপ্রতিভাশালী সাধককে আমি একবার জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম, "আপনার সাধনার পথের প্রধান আশ্রয় কি ?” তিনি উত্তর দিয়াছিলেন, “জপ”। তিনি বলিয়াছিলেন, “পরব্রহ্ম পরমেশ্বরের কোনো একটি স্বরূপনাম লইয়! আমি দিনের পর দিন নিরস্তর জপ করিয়া যাই। প্রথমে ইহাতে কোনো আলোক পাই না, যেন শুধু দৈহিক ব্যাপারের মত মনে হয়, কিন্তু তাহাতেও কখনও আমি হাল ছাড়ি না । পরিশেষে আমার সমস্ত অস্তর যখন জপে জপে জ্যোতিৰ্ম্ময় ইষ্টয়া উঠে, তখন আমি মনে করি আমার জপ সার্থক श्ब्रांtछ् ।” পৃথিবীতে এখন যে কয়টি প্রধান ধৰ্ম্ম আছে, তাহার প্রত্যেকটিতেই নামঞ্জপের প্রখা আছে । কিন্তু মনে হয় ইহার *ानि ५३ डांब्रrउहे । 8नव स ?वक्र ७३ छूहे भख्हे ভক্তিমূলক। এই উভয় মতের মধ্যেই ভগবানের নামের ीि भाशका बौझ्ड श्छ। कारव३ ७हे ख्ख्य बाख्द्र মনাই অতি পুরাতন কাল হইতে জপ প্রচলিত। ইহাদের আদিগুরুরাই জগতে প্রথম নামজপের পথ দেখান। জৈন ও বৌদ্ধর পরে ইহঁদের কাছেই নামজপ-প্ৰণালী গ্রহণ করেন। প্রথমে সব দেশেই জপ অজুলারাই গণিত হইত। অঙ্গুলির গণনাতে যাহারা সংখ্যা ঠিক রাখিতে না পারিতেন বা সংখ্যার দিকে বেশী মন দিতে হইত বলিয়া নামের উপর ধ্যানে কমৃতি পড়িত, তাহারা পাথরের বা কাঠের গুটি ব্যবহার করিতেন। পাথর বা কাকরের গুটিকে calculus * I statio tort; ato on calculation ol গণনা । ইহুদীরা বহুদিন এই ভাবেই জপ করিয়াছেন। ভারতেই বোধ হয় প্রথম স্বত্র দিয়া গুটিগুলি গাধিয়া জপুমাল রচিত হইল। ভারতে এখন দেখা যায়,ষে শৈবদের জপমালা সাধারণত: রুদ্রাক্ষ দিয়া তৈরি । নেপালী বীজ ছাড়া দক্ষিণভারত, মলয়, ঘবদ্বীপ ও ভারত-মহাসাগরের দ্বীপ হইতে সাধারণতঃ রুদ্রাক্ষ আসে। শৈব জপমালা প্রায়ই বত্রিশ বা চৌষট্রি বা ছিদ্ধানব্বই গুটির। কখনও কখনও বৈষ্ণবদের মত ১০৮ গুটিরও হয়। কুলাচার, গুরুর উপদেশ প্রভৃতি কারণে মালাতে গুটির সংখ্যার কমৃতি-বাড়তি হয়। বৈষ্ণবদের জপমালা প্রায়ই ১০৮ গুটির। তুলসী বা চন্দন-কাঠ, গোপীমূৰ্ত্তিক প্রভৃতি উপকরণে ইহাঙ্গের গুটি রচিত। গোপীমূৰ্ত্তিকার প্রধান স্থান হইল দ্বারকার নিকট গোপীতালাও নামক তীর্থ। কষ্টির জন্ত বেলের মালাও ব্যবহৃত হয় । তান্ত্রিকদের মহাশঙ্খমালার কথা অনেকেরই জানা আছে। স্ফটিকের, নানাবিধ মণি ও বহুমূল্য পাথরের, প্রবালের, শঙ্খের ও রুদ্রাক্ষের মালাও ইহার ব্যবহার করেন। ভদ্রাক্ষ-বীজ ও পদ্মবীজও ব্যবহৃত হয়। কোনো কোনো প্রকার ফুলের বীজেও মালা হয়। তাহার মূল্য স্থলভ বলিয়া বাজারে খুব চলে।