পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৪ প্রবাসী 令\●$名 মধ্যযুগের ধর্মের মধ্যে শিখধৰ্ম্ম বিশেষ করি ཤྲ་ཀྲྀ- দুইটি অতিরিক্ত মেরু থাকাতে সংখ্যা দাড়ায় ১১০টি। পরায়ণ। শিখদের জপমালা হয় গ্রন্থিবদ্ধ সুত্রের অথবা লৌহগুটির। কবীর, দাদু প্রভৃতি ভক্তদের বাণীর মধ্যে মালার সাহায্যে জপের নিন্দ থাকিলেও তাহাজের অস্থৰতাঁদের মধ্যে জপের বিলক্ষণ পসার আছে। পৃথিবীতে যদি কোথাও জপের একান্ত প্রভাব থাকে তবে তাহা তিব্বতে। তাহাজের জপমালাতেও ১০৮ গুটি। র্তাহারা নিজের মালা, জপ তো করেনই তাহা ছাড়া "ওঁ মণিপদ্মে হম মন্ত্ৰ দিয়া যেসব জপ-চক্র রচিত, তাহা সাধকদের হাতে, নদীর বেগে, বায়ুর প্রবাহে নানা দিকে নানা ভাবে নিরস্তর ঘুরিতেছে। সে দেশে সন্ন্যাসী গৃহস্থ সবার হাতেই নিরস্তর চলিয়াছে জপমালা । ১০৮ সংখ্যাটি র্তাহাজের এত পবিত্র যে র্তাহাদের শাস্ত্রগ্রন্থেরও ১০৮ ভাগ । কোথাও কোথাও এই ১০৮ ছাড়া একটি স্বতন্ত্র মেরু৪ তাহাদের থাকে । চীন দেশে এক একজন সাধক গুহাতে আপনাকে ১৫২৪৩৪ বৎসরের জন্ত বদ্ধ করিয়া জপ-সাধনায় আপনাকে উৎসর্গ করেন। পাংগী লাহৌল প্রভৃতি প্রদেশে এইরূপ সাধকের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটিয়াছে। চীন দেশেও জপমালার গুটি ১০৮টি, তবে মালাটির তিন ভাগ। প্রতি ভাগেই ৩৬টি গুটি । ১৮ গুটির ছোট জপমালাও কেহ কেহ ব্যবহার করেন । চীন দেশে কাইফেং নগরের একটি বৃদ্ধ সাধু স্নেহভরে তাহার জপমালা আমাকে দেন, তাহাতে ১৮টি গুটি । এই গুটিগুলি অষ্টাদশ অৰ্হতের প্রতীক । গুটিগুলি চন্দনকাঠের । ভারত হইতেই এক সময় চীনে গিাছিল। চীনে নানাবিধ মণিরত্ন ও বহুমূল্য পাথরের জপমালা প্রস্তুত হয়। জেড (Jade)মণির মালাই অত্যন্ত সমাদৃত। ব্রহ্মদেশেও জেডের জপমালার প্রচলন আছে। এই জেড প্রস্তর অতিশয় ঠাণ্ড । ইহার ধে সব নকল ইউরোপ হইতে আসে তাহাতে এই অপূৰ্ব্ব শীতলতাগুণ নাই । চীনে লোয়াং প্রদেশে এমন সব জপপরায়ণ সাধক দেখিয়াছি যাহা না দেখিলে প্রত্যয় হয় না। যে কোনো দেশে তেমন জপৰোগী ফুল্লভ। নিরস্তর জপে তাহারা ভারতীয় সাধকদেরও হারাইয়াছেন । কোরিয়াতেও জপমালার গুটি ১০৮টি কিন্তু তাহাজের তাহারা বলেন “আমাদের সংখ্যা হইল ১০৮, মেরু দুইটি সংখ্যায় ধরি না ।” জাপানেও জপমালার খুব পসার। র্তাহাদের জপমালায় ১১২টি গুটি । গুটিগুলি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রতি ভাগে ৫৬টি গুটি থাকে। জাপানে জপসাধনার খুব প্রচলন। কোবে-নগরের নিকট একটি পল্লীতে ফুঞ্জী-নো-সান নামে এক গৃহস্থ ভক্তকে রাত্রি ২ট হইতে বেলা ৮টা পৰ্য্যস্ত জপসাধন করিতে দেখিয়াছি । সে দেশের জপের মৰ্ম্ম তাহার কাছে অনেক শুনিয়াছি । ব্রহ্মদেশের জপমালার গুটির সংখ্যা সাধারণতঃ ৭২টি ; ১•৮ গুটির জপমালাও প্রচলিত। এই সব বৌদ্ধ দেশে ভারতীয় বোধিবৃক্ষের কাষ্ঠই গুটির প্রশস্ত উপকরণ। চন্দনকাষ্ঠও ব্যবহৃত হয়। স্ফটিক, শিলা, প্রবাল, পদ্মবীজ এবং শঙ্খেরও প্রচলন কোথাও কোথাও আছে । ব্ৰহ্মদেশে ষে বেতেরও জপমালা হয় তাহ জানিতাম না । সম্প্রতি দেখিলাম বেতের চমৎকার জপমালা হয় } তাহাতে লাল রং দেওয়ায় মনে হয় রক্ত-প্রবালের মালা। সেমেটিক ধর্মের তিনটি প্রধান শাখা—ইহুদী, খ্ৰীষ্টান ও भूगणभान । डांशद्र भtश थांब्लीनउभ श्हेण हेइौ ५१ ।। ইহুদীদের মধ্যে জপমালার বেশী প্রচলন ছিল না। তবে পরে তাহারাও ইহা প্রবর্তন করিয়াছেন। ইহঁাদের জপগুটির সংখ্যা ৩২ বা ৯৯টি । খ্ৰীষ্টানদের মধ্যে প্রথম দিকে জপমালার প্রচলন ছিল না। এমন কি কিছু বিরুদ্ধতাও ছিল। কেহ কেহ বলেন ক্রুসেডের সময় তাহারা মুসলমান সাধুদের কাছে জপমালার পদ্ধতি গ্রহণ করেন। কিন্তু ক্রুসেডের পূর্বেও খ্ৰীষ্টীয় জগতে জপমালার প্রমাণ মেলে। খুব সম্ভব বৌদ্ধ ও ম্যানিকিয়নদের কাছে তাহার এই বস্তুটি পান। চতুর্থ শতাব্দীতে মিশরদেশীয় ভক্ত পল দৈনিক ৩০ • বার প্রার্থনা-মন্ত্র জপ করিতেন। তিনি কাকরের সাহায্যে জপসংখ্যা ঠিক করিতেন। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি সেই যুগে কোথাও কোথাও কাকর দিয়া সব গণনাই চলিত। মুসলমানদের মধ্যেও পূৰ্ব্বে জপমালা ছিল না, জপ যখন তাহাদের ধর্শ্বে প্রবেশ করিল তখন অঙ্গুলির দ্বারাই