পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্যক ঐবিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় to কিছুতেই কিন্তু এখানকার এই জীবনের সঙ্গে নিজের খাপ খাওয়াইতে পারিতেছি না । বাংলা দেশ হইতে সন্ত আসিয়াছি, চিরকাল কলিকাতায় কাটাইয়াছি, এই আরণ্যভূমির নির্জনতা যেন পাথরের মত বুকে চাপিয়া আছে বলিয়া মনে হয় । এক-একদিন বৈকালে বেড়াইতে বাহির হইয়া অনেক দূর পৰ্য্যস্ত যাই । কাছারির কাছে তবুও লোকজনের গলা শুনিতে পাওয়া যায়, রশি দুই-তিন গেলেই কাছারিঘরগুলা যেমন দীর্ঘ বনবাউ ও কাশ-জঙ্গলের আড়ালে পড়ে তখন মনে হয় সমস্ত পৃথিবীতে আমি একাকী। তার পর যত দূর ধাওয়া যায়, চওড়া মাঠের দু-ধারে ঘন বনের সারি বহুদূর পর্ষ্যস্ত চলিয়াছে, শুধু বন আর ঝোপ, গজারি গাছ, বাবলা বস্ত কাটা বঁাশ, বেত ঝোপ । গাছের ও ঝোপের মাথায় মাথায় অস্তোন্মুখ স্থধ্য সিদ্ধর ছড়াইয়া দিয়াছে— সন্ধ্যার বাতাসে বঙ্কপুপ ও তৃণগুন্মের স্বভ্রাণ, প্রতি ঝোপ পার্থীর কাকলীতে মুখর, তার মধ্যে হিমালয়ের বনটিয়াও আছে। মুক্ত, দূরপ্রসারী তৃণাবৃত প্রান্তর ও শুামল বনভূমির মেলা । এই সময় সম্মুখের ও পশ্চাতের নির্জনতার দিকে চাহিয়া যেমন মন হু হু করিত, সঙ্গে সঙ্গে ইহাও মাঝে মাঝে মনে হইত যে, এখানে প্রকৃতির যে-রূপ দেখিতেছি, এমনটি আর - কোথাও দেখি নাই। যত দূর চোখ যায়, এ সব যেন অামার, আমি এখানে একমাত্র মানুষ, আমার নির্জনতা ভঙ্গ করিতে আসিবে না কেউ—মুক্ত আকাশতলে নিস্তন্ধ সন্ধ্যায় র দিগন্তের সীমারেখা পৰ্যন্ত মনকে ও কল্পনাকে • প্রসারিত করিয়া দিই । * , কাছারি হইতে প্রায় এক ক্রোশ দূরে একটা নাবাল জায়গা আছে, সেখানে ক্ষুদ্র একটি পাহাড়ী ঝরণা বির বির कब्रिञ्च वश्ध्नि धांझेण्डरछ्, डांशंद्र फू-*ांदग्न छलख लिलिब्र दम, কলিকাতার বাগানে যাহাকে বলে স্পাইডার-লিলি। বগু ম্পাইডার-লিলি কখনো দেখি নাই, জানিতামও না ষে এমন নিতৃত ঝরণার উপল-বিছানো তীরে ফুটন্ত লিলি ফুলের এত শোভা হয় বা বাতাসে তাহার এত মৃদ্ধ কোমল স্ববাস বিস্তার করে। কত বার গিয়া এখানটিতে চুপ করিয়া বসিয়া আকাশ, সন্ধ্যা ও নিজনতা উপভোগ করিয়াছি। মাঝে মাঝে ঘোড়ায় চড়িয়া বেড়াই। প্রথম প্রথম ভাল চড়িতে পারিতাম না, ক্রমে ভালই শিখিলাম। শিখিয়াই বুঝিলাম জীবনে এত আনন্দ আর কিছুতেই পাই নাই। যে কখনো এমন নিজন আকাশতলে দিগম্বব্যাপী বনপ্রাস্তরে ইচ্ছামত ঘোড়া ছুটাইয়া না-বেড়াইয়াছে, তাহাকে বোঝানো যাইবে না সে কি আনন্দ ! কাছারি হইতে দশ-পনের মাইল দূরবর্তী স্থানে সার্তে পার্ট কাজ করিতেছে, প্রায়ই আজকাল সকালে এক পেয়ালা চা খাইয়া ঘোড়ার পিঠে জিন কসিয়া সেই ষে ঘোড়ায় উঠি, কোনো দিন ফিরি বৈকালে, কোনো দিন বা ফিরিবার পথে জঙ্গলের মাথার ওপর নক্ষত্র ওঠে, বৃহস্পতি জল জল করে, জ্যোৎস্নারাতে বনপুষ্পের স্ববাস জ্যোংস্কার সহিত মেশে, শৃগালের রব প্রহর ঘোষণা করে, জঙ্গলে ঝিকি-পোকা দল বাধিয়া ডাকিতে থাকে । & ষে কাজে এখানে আসা, তার জন্ত অনেক চেষ্টা করা যাইতেছে। এত হাজার বিঘা জমি, হঠাৎ বন্দোবস্ত হওয়াও সোজা কথা নয় অবশু। আর একটা ব্যাপার এখানে আসিয়া জানিয়াছি, এই জমি জাজ ত্রিশ বছর পূৰ্ব্বে নদীগর্তে সিকস্তি হইয়া গিয়াছিল—বিশ বছর হইল বাহির इद्देब्रांरक्ष-किरू बांशंब्रां श्रृिंख्ननिष्ठांभाझ्द्र छधि *ांबांद्र