পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহায়ণ জাপ ও জপমালণ ১৬৫ সংখ্যা ঠিক রাখা হইত। তাহাদের মধ্যে স্থঙ্কীরাই প্রথম জপমালা গ্রহণ করেন। বৌদ্ধদের মালাজপই নানা হাত ঘুরিয়া তাহাদের কাছে যায়। এখন মুসলমান সাধকদের মধ্যেও জপ-সাধনাটা এমন নিষ্ঠা ও ভক্তির দ্বারা পালিত হয় যে তাহা একেবারে অপরিহার্ষ্য। মিশরে তো উচ্চবংশীয় ও ধনীদের মধ্যে ভাল বেশভূষার মত জপমালাও একটা আভিজাত্যের চিহ্ন । কোরাপে জপমালার কথা নাই। কোরাণের পরে ষে-সব জিনিব তাহাদের মধ্যে আসিয়াছে তাহার নাম *বিদত” অর্থাৎ প্রাচীন বিধির “ব্যভিচার” । কিন্তু জপমালা “বিদত” হইলেও ক্রমে তাহা ভাল *বিদত বলিয়া পরিগণিত হয় । এখনও শুদ্ধ কোরাণাশ্রয়ী ও ওয়াহাবীগণ জপমালাকে পৌত্তলিকতার পর্যায়েই ফেলেন। কিন্তু ক্রমে র্তাহীদের মধ্যেও জপের প্রথা আসিয়া পড়িয়াছে। তবে আপত্তিকারীরা জপমালার বদলে অঙ্গুলির দ্বারাই জপ

  • ८द्रन् !

মুসলমানদের জপমালার গুটির সংখ্যা সাধারণতঃ ৯৯টি, কারণ আল্লার ৯৯টি নাম । কেহ কেহ রসূলের ১৭১টি নামের জঙ্ক ১০১ গুটির মালাও ব্যবহার করেন । মুসলমান সাধকরা জপমালাতে কাঠের গুটির ব্যবহার করেন । মক্কার মাটির গুটিও জপমালাতে প্রশস্ত । কারবালা হইল শিয়াদের পবিত্র তীর্থ, তাই শিয়াগণ কারবালার মাটির গুটির অভ্যস্ত সমাদর করেন । এই গুটিগুলি নাকি হুসেনের “কতল” রাত্রে লাল বর্ণ হইয়া উঠে। প্রতি বৎসর মহরম মাসের নবম রাটি "তল" রাত্রি। আরবদেশের খেজুরের বীজের মালাও কেহ কেহ ব্যবহার করেন । খেজুর সেই দেশের প্রধান ফল । উটের হাড়, স্ফটিক, অম্বরমণি বা কেহেরৱা ও নানাবিধ বীজেরও মালা ব্যবহৃত হয়। উত্তর-পশ্চিমে কাশী, বালিয়া প্রভৃতি জেলায় ভুট্ট বা মকাইর বীজে ও মালা হয় । মকাইর সঙ্গে মক্কার নাম-সাদৃপ্ত আছে বলিয়া কি তাহ আদৃত । মজোলিয়ায় মুসলমানদের পদ্মবীজ-মালা ব্যবহার করিতে দেখিয়াছি। সেই দেশে বৌদ্ধদের জপমালাও পদ্মবীজের। মিশর দেশে হাজার গুটির বিরাট এক রকম জপমালা আছে। কাহারও মৃত্যু হইলে সমাধি দিবার দিন, রাত্রে জন-পঞ্চাশেক ফকীর মিলিয়া সেই বিরাট মালায় জপ করিয়া থাকেন । o পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে মুসলমান ধৰ্ম্মে কোরাণের মধ্যে জপমালার কথা নাই, জপমালা তাই “বিদত" অর্থাৎ অভিনব “আমদানী” । তবে এই আমদানীকে র্তাহার “ভাল-আমদানী" অর্থাৎ “হসন-বিত নাম দিয়াছেন। হউক অভিনব, আজ ওয়াহবী ছাড়া সকল মুসলমান সাধকের হাতেই জপমালা । ভক্তিশ্রদ্ধার সহিত সৰ্ব্বত্র জাঙ্গা ও রস্থলের নাম-জপ এই জপমালায় চলিয়াছে। কাজেই নিঃসঙ্কোচে এই কথা বলা যায় যে জগতে নূতন বা পুরাতন এমন কোনো ধৰ্ম্ম নাই ধাহাতে নামজপ না আছে, এবং জপমালা যেখানে সাধনার সহায়ক রূপে ব্যবহৃত न1 श्व ।