পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سمولوي وج প্রবাসী 令\●88 আমি ত নিমন্ত্ৰণ করি মি এদের, তবে এরা আসছে কেন ? —হজুর, এরা বড় গরীব । ভাত জিনিসটা খেতে পায় না। কলাইয়ের ছাতু, মকাইয়ের ছাতু এই এর বারোমাস খায়। ভাত খেতে পাওয়াটা এরা ভোজের সমান বিবেচনা করে । আপনি আসছেন, ভাত খেতে পাবে এখানে, সেই লোতে সব এসেছে। দেখুন না আরও কত আসে । বাংলা দেশের লোকে বড় বেশী সভ্য হইয়া গিয়াছে ইহাদের তুলনায়, মনে হইল। কেন জানি না, এই অন্নভোজনলোলুপ সরল ব্যক্তিগুলিকে আমার সে রাত্রে এত ভাল লাগিল। আগুনের চারি ধারে বসিয়া তাহার নিজেদের মধ্যে গল্প •করিতেছিল, আমি গুনিতেছিলাম প্রথমে তাহারা আমার আগুনে বসিতে চাহে নাই আমার প্রতি সম্মানসূচক দূরত্ব বজায় রাখিবার জঙ্গ—আমিই তাহাদের ভাকিয়া আনিলাম। কন্ট, মিশ্র কাছে বসিয়াই জাসন কাঠের ভালপালা জালাইয়া মাছ রাধিতেছে— ধূনা পুড়াইবার মত স্বগন্ধ বাহির হইতেছে ধোয় হইতে— আগুনের কুণ্ডের বাহিরে গেলে মনে হয় যেন আকাশ হইতে বরফ পড়িতেছে—এত শীত । - খাওয়া-দাওয়া হইতে রাত হইয়া গেল অনেক। কাছারিতে যত লোক ছিল, সকলেই খাইল । তারপর আবার আগুনের ধারে গোল হইয়া বসা গেল । শীতে মনে হইতেছে শরীরের রক্ত পৰ্য্যস্ত জমিয়া যাইবে । ফাকা বলিয়াই শীত বোধ হয় এত বেশী, কিংবা বোধ হয় হিমালয় বেশী দূর নয় বলিয়া ? আগুনের ধারে আমরা সাত-আট জন লোক, সামনে ছোট ছোট ভূ-খানি খড়ের ঘর। একখানিতে থাকিব আমি, আর একখানিতে বাকী এতগুলি লোক। আমাদের চারি ধার দ্বিরিয়া অন্ধকার বন ও প্রাস্তর, মাচার উপরে নক্ষত্র-ছাড়ানো দূরপ্রসারী অন্ধকার আকাশ। আমার বড় অদ্ভূত লাগিল এ রাত্রিটি, এবং এই সব মানুষের সঙ্গ। যেন চিরপরিচিত পৃথিবী হইতে নিৰ্বাসিত হইবা মহাশূন্তে অঙ্ক এক গ্রহে অঙ্গ এক অজ্ঞাত রহস্যময় জীবনধারার जहिङ छक्लिष्ठ झहेब *क्लिड्रांछ् ि।।' এক জন ত্রিশ-বত্রিশ বছরের লোককে এ-দলের মধ্যে আমার মনোযোগ বিশেষভাবে আকৃষ্ট করিয়াছে। লোকটির নাম গনোরী তেওয়ারী, গুণমবর্ণ, দোহার চেহারা, মাথায় বড় বড় চুল, কপালে দুটি লম্বা ফোটা কাটা, এই শীতে গায়ে একখানা মোট চাদর ছাড়া আর কিছু নাই, এ-দেশের রীতি অনুযায়ী গায়ে একটা মেরজাই থাকা উচিত ছিল । তা পৰ্য্যস্ত নাই। অনেকক্ষণ হইতে আমি লক্ষ্য করিতে ছিলাম সে সকলের দিকে কেমন কুষ্ঠিত ভাবে চাহিতেছিল, কারও কথায় কোনো প্রতিবাদ করিতেছিল না, এখচ কথা ষে সে কম বলিতেছিল তা নয় । আমার প্রতি কথার উত্তরে কেবল সে বলে—হজুর। এদেশের লোকে যখন কোন মান্ত ও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির কথা মানিয়া লয়, তখন কেবল মাখা সামনের দিকে অল্প ঝু কাইয়া সসন্ত্রমে বলে—হজুর। - - গনোরীকে বলিলায়—তুমি থাকো কোথায়,তেওয়ারীজি ? অামি ষে তাহাকে সরাসরি প্রশ্ন করিব, এতটা সম্মান যেন তাহার পক্ষে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত, এভাবে সে অামার দিকে চাহিল । বলিল-ভীমদাসটোলা, হুজুর। তার পর সে তাহার জীবনের ইতিহাস বর্ণনা করিয়া গেল, একটানা নয়, জামার প্রশ্নের উত্তরে টুক্‌রা টুকরা ভাবে । গনোরী তেওয়ারীর বয়স যখন বারো বছর, তার বাপ তখন মারা যায়। এক বৃদ্ধ পিসিমা তাকে মানুষ করে, সে পিসিমাও বাপের মৃত্যুর বছর পাঁচ পরে যখন মারা গেলেন, গনোরী তখন জগতে ভাগ্য অন্বেষণে বাহির হইল। কিন্তু তাহার জগৎ পূৰ্ব্বে পূর্ণিয়া শহর, পশ্চিমে ভাগলপুর জেলার সীমানা, দক্ষিণে এই নির্জন অরণ্যময় ফুলকিয়া বইহার, উত্তরে কুশী নদী—ইহারই মধ্যে সীমাবদ্ধ । ইহারই মধ্যে গ্রামে গ্রামে গৃহস্থের দুধারে ফিরিয়া কখনও ঠাকুরপূজা করিয়া, কখনও গ্রাম্য পাঠশালার পণ্ডিতী করিয়া কায়ক্লেশে निरखब्र श्राशरब्रव्र छछ रूणाहेरइब्र झांडू e फ़ैौन घागत्र দানার রুটির সংস্থান করিয়া আসিয়াছে। সম্প্রতি মাস দুই চাকুরী নাই, পৰ্ব্বতা গ্রামের পাঠশাল উঠিয়া গিয়াছে, ফুলৰিয়া বইহারের দশ হাজার বিধ অরণ্যময় অঞ্চলে লোকের বস্তি নাই—এখানে ৰে মহিষ্ণ-পালকের দল মহিব