পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহণয়ণ অণরণ্যক כטאפ চরাইতে আনে জঙ্গলে, তাহাদের বাথানে বাখানে ঘুরিয়া খাদ্যভিক্ষা করিয়া বেড়াইতেছিল—আজ আমার আসিবার খবর পাইয়া অনেকের সঙ্গে এখানে আসিয়াছে। আসিয়াছে কেন, সে কথা আরও চমৎকার । —এখানে এত লোক এসেছে কেন তেওয়ারীজী ? —হুজুর, সবাই বললে ফুলকিয়ার কাছারিতে ম্যানেজার বাবু এসেছেন, সেখানে গেলে ভাত খেতে পাওয়া যাবে, তাই ওর এল, ওদের সঙ্গে আমিও এলাম । —ভাত এখানকার লোক কি খেতে পায় না ? —কোথায় পাবে হুজুর। নউগাছিয়ায় মাড়োয়ারীরা রোজ ভাত খায়, আমি নিজে অাজ ভাত খেলাম বোধ হয় তিন মাস পরে । গত ভাদ্র মাসের সংক্রাস্তিতে রাসবিহারী সিং রাজপুতের বাড়ী নেমতা ছিল, সে বড়লোক, ভাত খাইয়েছিল । তার পর আর খাই নি । যতগুলি লোক আসিয়াছে, এই ভয়ানক শীতে কাহারও গাত্রবক্স নাই, রাত্রে আগুন পোহাইয়া রাত কাটায়। শেষ রাত্রে শীত যখন বেশী পড়ে, আর ঘুম হয় না শঙের চোটে— আগুনের খুব কাছে ঘেঁসিয়া বসিয়া থাকে ভোর পর্য্যস্ত । কেন জানি না, ইহাদের হঠাৎ এত ভাল লাগিল, ইহাদের দারিদ্র্য, ইহাদের সারল্য, কঠোর জীবন-সংগ্রামে ইহাঙ্গের যুঝিবার ক্ষমতা—এই অন্ধকার আরণ্যভূমি ও হিমবধী মুক্ত আকাশ বিলাসিতার কোমল পুষ্পাস্তুত পথে ইহাদের যাইতে দেয় নাই, কিন্তু ইহাদিগকে সত্যকার পুরুষ মাতুব করিয়া গড়িয়াছে । দুটি ভাত খাইতে পাওয়ার আনন্দে ধারা ভীমদাসটোলা ও পৰ্ব্বত হইতে ন মাইল পথ স্থাটিয়া আসিয়াছে বিনা নিমন্ত্রণে—তাহদের, মনের আনন্দ গ্রহণ করিবার শক্তি এই বয়সেও কত সতেজ ভাবিয়া বিম্মিত হইলাম। কারণ গনোরী তেওয়ারীর বম্বসই ত ছাপ্লাল্পর বেশ । অনেক রাত্রে কিসের শৰে ঘুম ভাঙিয়া গেল—ণীতে মুখ বাহির করাও যেন কষ্টকর, এমন ৰে লীত এখানে তা নজানার দরুণ উপযুক্ত গরম কাপড় ও লেপ-তোষক আনি নাই। কলিকাতায় ষে-কম্বল গারে দিতাম, সেখানাই মানিয়াছিলাম—শেযরাত্রের শীতে সে যেন ঠাও জল হইয়া

  • * • هسسه ۹

যায় প্রতিদিন । যে-পাশে শুষ্টয়া থাকি, শরীরের গরমে সে-দিকটা তবুও থাকে এক রকম, অন্ত কাতে পাপ ফিরিতে গিয়া দেখি বিছানা কনকন করিতেছে সে-পাশে—মনে হয় যেন ঠাও পুকুরের জলে পৌষ মাসের রাত্রে ডুব দিলাম। পাশেই জঙ্গলের মধ্যে কিসের ষেন সম্মিলিত পদশব্দকাহারা যেন দৌড়িতেছে-গাছপালা, শুকনে বন-ঝাউয়ের গাছ মটু মট শব্দে ভাঙিয়া উৰ্দ্ধশ্বাসে দৌড়িতেছে । কি ব্যাপারখানা ! কিছু বুঝিতে না-পারিয়া সিপাহী বিষ্ণুরাম পাড়ে ও স্কুলমাষ্টার গনোরী তেওয়ারীকে ডাক দিলাম। তাহার, নিদ্রাজড়িত চোখে উঠিয়া বসিল— কাছারির মেঝেতে যে-আগুন জালা হইয়াছিল, তাহারই শেষ দীপ্তিটুকুতে ওদের মুখে আলঙ্গ, সন্ত্রম ও নিদ্রাসুতার ভাব ফুটিয়া উঠিল। গনোরী তেওয়ারী কান পাতিয়া একটু গুনিয়াই বলিল—কিছু না হুজুর, নীল গাইয়ের জেরা দৌড়চ্ছে জঙ্গলে— কথা শেষ করিয়াই সে নিশ্চিন্ত মনে পাশ ফিরিয়া শুইতে যাইতেছিল, জিজ্ঞাসা করিলাম-নীলগাইয়ের দল" হঠাৎ এত রাত্রে অমন দৌড়বার কারণ কি ? * বিষ্ণুরাম পাড়ে আশ্বাস দিবার স্বরে বলিল-হয়তে কোনো জানোয়ারে তাড়া করে থাকবে হুজুর—এ ছাড়া আর কি ? - —কি জানোয়ার । —কি আর জানোয়ার হুজুর, জঙ্গলের জানোয়ার । শের হতে পারে—নমতে ভালু— যে-ঘরে গুইয়া আছি, নিজের অজ্ঞাতসারে তাহার কাশডাটায় বাধা আগড়ের দিকে নজর পড়িল । সেআগড়ও এত হালকা যে বাহির হইতে একটি কুকুরে ঠেলা মারিলেও তাহা ঘরের মধ্যে উণ্টাইয় পড়ে—এমন অবস্থায় ঘরের সামনেই জঙ্গলে নিস্তব্ধ নিশীথ রাত্রে বাঘ বা ভালুকে বস্ত নীলগাইয়ের দল তাড়া করিয়া লইয়া চলিয়াছে—এ সংবাদটিতে যে বিশেষ আশ্বস্ত হইলাম না, • डाँझीं रुजांझे या श्ला । একটু পরেই ভোব হইয় গেল। मिन बङ बाहेरउ जॉर्गिन खणरलब्र cभांश् डड३ च्यांमांरक