পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖԵ*Տց আমার আদর্শকে মেনে চলি ? ভূমি কি বুঝতে পারছ না এখানে থাকতে গেলে এবং আমাদের পরিশ্রম সার্থক ক’রতে গেলে হয় বানরের উপদ্রব সহ করতে হবে নইলে ওদের ওপর অত্যাচার করতে হবে । তপতী আর দ্বিতীয় কথা না কহিয়া প্রস্থান করিল। ভূত্যের হাতে আহার্ধ্য আসিয়া উপস্থিত হইল। গ্রামের বাড়ীতে আসিয়া আজ এই নৃতন নিয়মের প্রবর্তনে স্থবিমল কম বিস্থিত হইল না । এবং ইহার সত্যকারে কারণ অনুসন্ধান করিতে গিয়া সে ভিতরে ভিতরে উষ্ণ হইয়া উঠিল। স্ববিমলের এই বিস্থিত ভাবটা তার ভূত্যের দৃষ্টিকেও ফাকি দিতে পারিল না, চট করিয়া তার মুখে একটা কৈফিয়ং জোগাইয়া গেল,—দিনকয়েক ধরে বৌদি-মণির শরীরটে তেমন ভাল ষাচ্ছে না । স্ববিমল ধমকাইয়া উঠিল—বেরিয়ে যা এখান থেকে— কিন্তু কথার সঙ্গে সঙ্গে সে নিজেই বাহির হইয় গেল । জাহাৰ্ষ্য স্পর্শও করিল না । ভৃত্যু তপতীকে সব কথা জানাইল, কিন্তু তাহার তরফ হইতে ভালমন কোন প্রত্যুত্তর মিলিল না। সে নিঃশৰে নিজের কাজ করিয়া চলিল । অধিক রাত্রে গৃহে ফিরিয়া স্ববিমল দেখিল, তপতী মেঝের উপর গুইয়া আছে। স্ববিমল পা টিপিয়া টিপিয়া ঘরে প্রবেশ করিল। আলনার উপর জামাটা রাখিতে গিয়া হয়ত সামান্ত একটু শব্দ হইয়া থাকিবে । তপতী উঠিয়া বসিয়া সহজ কণ্ঠে কহিল—বিকেল বেল ত রাগ ক'রে না-খেয়ে গেলে—আর ফিরলেও রাত বারটায়। এর ত কিছু দরকার ছিল না। বঁদেরটা ছেড়ে দিতে বললুম—তুমি শুনলে না, নিজের ইচ্ছাকেই প্রাধান্ত দিলে । এমনি ইচ্ছা-অনিচ্ছ ত্ত প্রত্যেক মামুষের থাকতে পারে। স্ববিমল ধীরে ধীরে কহিল—কিন্তু বাদর সম্বন্ধে তোমার এত উদ্বেগের আমি ত কোন কারণ খুজে পাচ্ছি না। . তপতী কহিল—না খেয়ে খেয়ে বঁাদরটা মরেও যেতে পারে ত ? f t স্থবিমল শাস্ত কণ্ঠে কহিল—চোখের সামনে মত খাবার মজুত থাকতে না খেয়ে কখনও ওটা মরবে না। আর ঘদি প্রবাসী SNరి$8 cठीभांब्र कथांझे नऊा श्द्र डांtउझे व भांभाद्रवद्र कि এসে যায় । তপতী কাতর কণ্ঠে কহিল—ঠানদি বলেন, বাদর মারলে বংশ থাকে না। তপতী অঙ্কমনস্ক হইয়া পড়িল । নিরস্তুর ঐ একই বিষয় লইয়া চিন্তা করিয়া করিয়া তাহার বিচারবুদ্ধিও জড় হইয়া পড়িয়াছে। স্ববিমল সহস্যে কহিল—ও এইজন্তে তোমার শরীর খারাপ ! ছিঃ তপতী, তোমার মত কলেজে-পড়া মেয়েরাও যদি এই সব তুচ্ছ কথা নিয়ে মাথা ঘামাতে স্বরু করে তা হলে সংসার দেখছি নিতান্তই মেছোহাটায় পরিণত হবে। কিন্তু স্থবিমল যত সহজে কথাটা হাসিয়া উড়াইয়া দিল তপতী এতটা অল্প সময়ের মধ্যে তাহ জুলিতে পারিল না। একটা বিভীষিকাময় দুশ্চিন্তা তার চেতনাকে আচ্ছন্ন করিয়া রাখিয়াছে। তার চলায়, ফেরায়, কথা বলায় সব কিছুতেই কেমন একটা অস্বস্তি অনুভব করিতে লাগিল। কিন্তু একথা সে বলিবে কাহাকে তপতীর সত্যই অসন্ধ হইয়া উঠিয়াছে। মুক্ত বানরটির আওঁ কান্না চারি দিকে ছড়াইয় পড়ে—সময় নাই, অসময় নাই, যখন তখন গুমরাইয়া কাদিয় ওঠে। তপতী অন্যমনস্ক ভাবে শূন্তে চাহিয়া থাকে, ঠানদির কথাগুলি যেন জীবন্ত হইয়া তাহার চোখের সম্মুখে ভাসিতে থাকে । তপতী শিহরিয়া ওঠে । তাহার অলস দিনগুলি দীর্ঘতর হইয়া উঠিয়াছে। দিনের আলো তাহার কাছে বিভীষিকা। রাত্রির অন্ধকার বরং কতকটা সন্থ হয়। অন্ততঃ একটা উপদ্রব হইতে নিষ্কৃতি *ोंeध्नीं भूॉग्न ! দিনের বেলা তপত জানালার পাশে বসিয়া থাকে ; নীরব দৃষ্টিতে চাহিয়া চাহিরা দেখে স্বামীর নিষ্ঠুরতার মৰ্ম্মস্পশী দৃপ্ত। বনের পশু, কিন্তু কি অচ্ছেদ্য সৌহার্দা, কি আবেগময় অকপট ভালবাসা। অথচ এই তপতাই একদিন বানরের উপদ্রবে বিরক্ত হইয়া স্বামীকে প্রতিবিধানের জন্য উৎসাহিত করিয়াছে। সে-কথা ষে তপতী একেবারে বিশ্বত হইয়াছে তাহা নয়। এবং বোধ করি বা সেই কারণেই স্বামীর বিরুদ্ধাচরণ করিতে তাহার মধ্যে একটা সঙ্কোচ আসিয়া দেখা দেয়।