পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sఏషి প্রবণসী ●N●●8 ফ্ৰণ্ট, রীতিমত ঈর্ষা করতে পারে, অথচ এই এলোমেলে৷ অগোছাল প্রদর্শনীটির যা সত্যিকারের আকর্ষণ তা কতকগুলি বিদেশীর ভিড়ের মধ্যে নয়, তা আসলে চিরন্তনী সেই ফরাসী শিল্প-প্রতিভার আলোতে। ঐ বিশৃঙ্খলার মধ্যেও ষে অশুনিহিত সামঞ্জস্ত ছিল, বিচিত্র আলোকমালার সমারোহের মধ্যে যে রঙের হোলিথেলা চলভ, এবং একটি আন্তজাতিক কোলাহলের মধ্যে ফরাসী অনুকরণের সামগান শুনতে পেতাম, তাতে মনে হ’ত যে এই প্রদর্শনটাও আসলে প্যারিসের একটা প্রতিবিম্বস্বরূপ। এই প্রদর্শনীই প্যারিসে না হয়ে যদি হ’ভ লওনে কিংবা বালিনে, ভিয়েনায় কিংবা বুডাপেষ্টে, তবে এর আরুতি এবং প্রাণ যে হ’ত কত বিভিন্ন তা বেশ কল্পনা করতে পারি। লণ্ডনে দর্শকের জনতার মধ্যে হাস্তরসের চেয়ে পানরসের চর্চাই হ’ত বেশী ; বার্লিনে চেষ্ট করেও কেউ হারিয়ে যেতে পারত না পথ ভুল করে ; ভিয়েনায় হয়ত দর্শকবৃন্দ মেলার জিনিষ ন-দেখে নিজেদের মধ্যেই চাওয়াচাওয়ি করত বেণী ; আর বুডাপেষ্টে তোকাইয়ের (হাঙ্গেরিয়ান স্বরা) অমৃতাস্বাদন এবং জিপসী সঙ্গীতের প্রলোভন সত্ত্বেও কোন দর্শক প্রদর্শনীতে এক বারের বেশী দু-বার যেত কি না সন্দেহ। এইখানেই হচ্ছে প্যারিসের বিশেষত্ব। এই জন্যেই প্যারিস ইউরোপ অঞ্চাগু সব কয়টা রাজধানীর থেকে এত বিভিন্ন। প্যারিসের রাস্তায়, ঘাটে, পার্কে, প্রাসাদে ষে একটা সামঞ্জস্তের বিকাশ, প্রকৃত ফরাসী শিল্প-প্রতিভার তাই মূলমন্ত্র । লওনে ওয়েষ্টমিনষ্টারের সৌন্দর্ধ্য এবং দম্ভ উইলেসডেনের নোংরামি আর বিনয়কে তিরস্কার করে ; কিন্তু প্যারিসের কোন একটা বিশিষ্ট পাড়া অস্ত একটা পাড়াকে হিংসা করে না। প্যারিসের যে-কোন অঞ্চলে আপনাকে ফেলে দিলে তখনি বলতে পারবেন যে এটা প্যারিস। আগাগোড়া সমস্ত শহরটার মধ্যে একটা শিল্পসামঞ্জস্তের বাধন রয়েছে যাতে স্কুল করবার উপায় নেই। আর প্লাস দ্য লা কনকর্ড-এর মত ওরকম উদার এবং মুক্তি-উদ্দীপক স্কোয়ার ইউরোপের জার কোথাও দেখি নি। শাজ, এলিজে (Champs Elys'ees )3 (5ty স্বন্দর রাস্ত লণ্ডনে কিংবা বালিনে सिथि नि। कानौव्रा आठौँ ठाणाद श्ड पूरु चनडक ভাবে কিন্তু ছৰ্ঘটনা ইংরেজদের চেয়ে করে কম। বালিন প্যারিসের চেয়ে অনেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হতে পারে, কিন্তু উন্টার ডেন লিণ্ডেনে কোন লোক তার বন্ধুকে নমস্কার করে দাড়াবে না, কিংবা বাড়ীম্বরের কুশলপ্রশ্ন করবে না, যেমন হয় প্যারিসের রাস্তায় । বার্লিনের ট্যাকসিওয়ালা তার প্যারিসের সতীর্থের চাইতে অনেক চরিত্রবান এবং সাধু হতে পারে, কিন্তু প্যারিসে একজন বিদেশী পথেঘাটে ষে সব ছোটখাট নির্দোবিতার আত্মপ্রভারণা দেখে মজা পায়, বালিনে তার কোন সম্ভাবন নেই। আর সারা ইউরোপে এমন যদি কোন শহর থেকে থাকে যেখানে সত্যিকারের আন্তজাতিকতা বৰ্ত্তমান, তবে সে প্যারিস। গত জানুয়ারির ধৰ্ম্মঘটের সময় প্যারিসের পথে ফরাসী উপনিবেশের আরব এবং কাফ্রি সৈন্যকে পুলিসের কাজ করতে দেখেছি, দরকার হ’লে মারধর পর্য্যস্ত করেছে। এ ব্যাপার লওনে কিংবা বার্লিনে কখনও সম্ভবপর হয় নি কিংবা হবে না, এরূপ জোর করে বলা যেতে পারে । প্যারিসের আস্তুজাতিক শিল্প-প্রদর্শনীর ভিতরেও চিরুস্তন প্যারিসের সেই একই চিত্র দেখতে পাওয়া যেত। সমস্ত দুনিয়ার সাদা, কালে, হলুদে ও লাল এমন ভাবে মিশে গিয়েছিল যে ফরাসী-বিপ্লবের মানব-ভ্রাতৃত্বের জাদর্শের একটা পরিণতি তার মধ্যে দেখতে পেতাম। প্রদর্শনীর জাতীয় প্রাসাদগুলির মধ্যে রাশিয়া, জাৰ্শ্বেনী এবং ইতালির বাড়ী কয়টাই ছিল সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক, সেকথা বলেছি। কিন্তু রাশিয়ান ও জৰ্ম্মন প্যাভিলিয়নের অবস্থিতির মধ্যে একটু হাস্তোদ্বীপক ব্যাপার ছিল। দুটি বাড়ীই মুখোমুখী এবং আশপাশের অন্যান্ত বাড়ীগুলির চেয়ে বেশ উচু। মনে হয় যেন এই দুটাে জাত পাল্লা দিয়েছিল কার জাতীয় গৰ্ব্বের স্তম্ভ আকাশে বেশী দূর তোলা যেতে পারে তাই নিয়ে। জাৰ্শ্বেনী উদ্ধযাত্রায় ঠকিয়েছে রাশিয়াকে কিন্তু কাস্তে- ও হাতুড়ি- ধরা যুবকযুবতী-যুগলের মূৰ্ত্তি জর্শন ঈগলের আস্ফালনকে তুচ্ছ করেছে, এবং সমস্ত প্রদর্শনীর উপরে তার প্রভাব বিস্তার করেছে । অঙ্ক সব দেশের প্রাসাদগুলির মধ্যে কোন-কোনটা বেশ কারুকার্যমণ্ডিত, বা হাজের এবং মিশরের বাড়ী; তবে রাশিয়ার মূৰ্ত্তিব সামনে একেবারে অকিঞ্চিংকর। প্রথম পরিচয়ে দর্শককে তারা তাক লাগাতে পারে না। স্থাপত্যশিল্পের