পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o g جذ প্রবাসী SN983 “কে, পরাণের মা ? ই-দিকে আৰু তাই। একটু ব্যস্ত আাছি।” শুনিলাম পরাণের মা বলিতেছে, “নে বাপু, পাতি নেবুর কি সামাপ্তি দর? যেন নারাঙ্গী বিকুচ্ছেন। দুপয়সায় তিনটের বেশী দিলে না। তা নেবু খুব সরেশ, রসে টুপুটুপু। আর এই একটা কমলা নেবু। তোর ভাই যত অনাছিটি। আবার কমলা নেৰু কিনে খাওয়াতে সাধ গিয়েছে। কত রঙ্গই দেখালি ভবি, অম্বলে দিলি আদা।” “ত একটা ভদর নোকের ছেলে, আথান্তর হয়ে এসে পড়েছে, তা কি করব । তা তোর এত হিংসে হয় ত নিয়ে যা না ।” বুঝিলাম এই হতভাগার কথাই হইতেছে। হা কপাল ! কোথায় আসিয়া আমার এ-কদর বাড়িল যে আমাকে লইয়াই এই রটেনের বলা । পরাণের মা বলিল, “আপনি শুতে ঠাই নেই, তার শঙ্করাকে ডাক। মিনসে চ্যাল কাঠ পেটা ক'রে আমায় মেরেই ফেলবে তা হ'লে। অমনিতেই রক্ষে নেই। হ্যা রা, পঞ্চা কোথায় গেল ?”

  • গেছে কোথায় মরতে। কাল থেকে আর ত দেখা নেই। কাল ঐ বাবুকে নিয়ে না-হক ষা-না তাই বলে মারতে এল। বলি, এক কড়ার মুরোদ নেই আবার আমার

উপর হস্থিতম্বি। আমার ঘরবাড়ী আমি যা খুনী করব। তা তোর বাবার কি ?” “ভাল করিস নি সন্ধু । সেই ভেtকে গা থেকে নে এল । গয়না-টাকা কেড়ে নে সরে পড়তে পারত ত ? এদিনকার আচ্ছয়।” “তা ভাই আমি কি তাকে তাড়িয়ে দিইছি ? মিছি মিছি রাগ করলে আমি কি করব । যাবে কোথায় ? পেট জলবে না ? তুই ভাই একটু উমুন কাদায় বসবি ? আমি চট করে হালদার-বাড়ীর মোড়টা থেকে দু-ঘড়া জল নে আসি। নইলে আবার সেই বিকেলের আগে জল পাব Fil 1" ঘরে আসিয়া কোণ হইতে মাটির কলসীটা কাথে লইয়া বলিল, “জলটুকু এনেই পালো দোব। একটু কমলা নেৰু খাৰে ?” বলিয়া কলসী নামাইয়া বাহিরে গিয়া একটা লেবু श्रांनेिग्नां प्रिल । সত্য কথা বলিব । এই দুৰ্গন্ধময় ঘরে এই কুৎসিত পরিবেষ্টনের মধ্যেও এই স্নেহটুকুতে আমার চক্ষে জল আসিল । বৈকালের দিকে ঘুমাইয়া উঠিয়া শরীরটা অনেকটা স্বস্থ বোধ করিতেছিলাম। জাশ্চৰ্য্য হইয়া দেখিলাম ষে দুৰ্গন্ধটাও নাকে আর তেমন তীব্র ঠেকিতেছে না। ইহারই মধ্যে কেমন করিয়া যেন কতকটা সহিয়া গিয়াছে । সন্ধু ওরফে সৌদামিনী এক বাটি চিড়ার সরবং, করিমু আনিয়াছিল। এমন অমৃত জীবনে খাই নাই। থাইতে দিয়া সৌদামিনী মাটিতে বসিয়া গল্প মুরু করিল। বলিল, “বাৰু, আপনার যুগ্য যঃ-মাত্তি করতে পারছি না। কিছু অপরাধ নিও না ।” তাহারই মুখে কথায় কথায় ব্যাপারটা জানিতে পাfরলাম, আমাকে রাস্তায় পড়িয়া মরিতে দেখিয়া তাহার কেমন মায়া হইয়াছিল। একাকী কিছু না করিতে পারিয়া তাহার সঙ্গী বা স্বামী বা মানুষ পঞ্চাকে ডাকিয়ু লইয়া গিয়া আমাকে বাড়ী লইয় আসে। পঞ্চ প্রথমটা ভাবিয়াছিল ধে সদ্ধ বুঝি একটা দাও পাইয়াছে। কিন্তু পরে যখন জানিল যে আমার পকেটে কানা কড়িও নাই তখন সে রাগিয়া আগুন হইয়া গেল। এবং আমাকে রাস্তায় ফেলিয়া দিবার জগু জেদাজেদি করিতে লাগিল । সব চেয়ে গোলমাল হইল আমার হাতের আংটিটা লইয়া। এত অভাবের মধ্যেও মায়ের দেওয়া আংটিটা বেচি নাই। সেই আংটিট ছিনাইয়া লইবার জন্ত পঞ্চ ছোকছোক করিয়া বেড়াইতেছিল। এই লইয়াই সৌদামিনীর সহিত তাহার কলহ ও বিচ্ছেদ হইয়া গিয়াছে। ব্যাপারটা এই। তাহারা সদেগাপ। পিতার মৃত্যুর পর গায়ে বিধবা সৌদামিনীর কোন রক্ষক ছিল না। যেदाबूएमब्र दाऊँौ उॉब्र दांत्र भारमब्र थाउि, उांशग्रहे ७द ভ্রাতার প্ররোচনায় পড়িয়া তার নিজস্ব টাকাকড়ি গহনাপত্র লইয়া সে ভাসিয়াছিল। সঙ্গে ছিল পঞ্চ, তাহাদেরই গায়ের এক মুচির ছেলে । বাবুই তাঁহাকে এই কুটারটি কিনিয়া দিয়া পঞ্চাকে পাহারায় রাখিয়াছিল । বছর দু-এক বাবু রীতিমত যাতায়াত করিত। তাহার পর ক্রমে ক্রমে উধাও হইল। শেষে ক্রমে ক্রমে জয়ের