পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহণয়ণ দায়ে তাহাকে ঝি-গিরিতে নামিতে হইয়াছে। প্রথম কয়েক মাস তাহার পঞ্চাকে লইয়া একটা সমস্তাই হইয়াছিল । কিন্তু ক্রমে পঞ্চাও তাহার সহিয়া গেল। দেখিলাম ঐ দুৰ্গন্ধটার মত আমাদের স্বায়ু সকল ব্যাপারকেই ক্রমে সহনযোগ্য করিয়া লয়। প্রভেম্বজিনিষটা আমাদের অভ্যাসের স্বষ্টি । পঞ্চা অবশু কোন রোজগার করিত না । কিন্তু ঘরদুয়ার সামলান, রান্ন-বাড়া, বাজার-হাট করিত। জল তুলিত, চাকরের মত খাটিত। শুধু রাতের বেলায় বাৰু হইয়া বসিত। এই দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় তাহাঙ্গের কোন বিকার ছিল না। পঞ্চাও মানিয়া লইয়াছিল ; সৌদামিনীও । এমন সময় আমাকে লইয়া এই কাও ৷ এতগুলি বীভৎস ব্যাপার শুনিতে আমার গ ঘিন ঘিন করিতেছিল । সৌদামিনীর কিন্তু বলিবার মধ্যে কোন সঙ্কোচ বা মানি কিছুই নাই। বলিল, “তা মিথ্যে বলব না বাবু। পঞ্চা বেইমানি করে নি কোন দিন । তা হ’লে কবে ঝ্যাটা মেরে বিদায় করে দিতুম।” কয়েক দিন সৌদামিনীর বাড়ীতে বাস করিয়াছিলাম । তোমরা শুনিয়া মনে মনে আমার গায়ে খুখু দিবে নিশ্চয়, সরকবাসের মানি আমার মনে হয় নাই। না না, ঠিক বলি পাই । কয়েক দিন থাকিয়া মনে হয় আমার নরকবাসের মানি সম্পূর্ণ কাটিয়া গিয়াছিল। কিন্তু বাহিরে সে কি নরক । মানুষের অধিকারে এমন সম্পূর্ণ বঞ্চিত করিয়া আর এক দল মানুষ কেমন করিয়া যে বিলাস সম্ভোগ করিতে পারে—চোখ চাহিয়া দেখি না ভাই ; নহিলে নিজেদের পাপে নিজের বিবর্ণ হইয়া যাইতাম । যে দিন প্রথম পাইখানায় যাইতে হইল সেদিন কাদিয়া ফেলিয়াছিলাম। *दिनत्र खांभूगोंe डॉझे । डांशंद्र ८कांन श्रांअ नांझे । নোংরামির নরক থৈ থৈ করিতেছে । মানুষ যে পশু অপেক্ষা কিছুমাত্র বিভিন্ন, ইহাদের মালিকদের বোধ হয় তাহার ধারণাই নাই, অথচ পশুদের নিকট হইতে কেহ খাজনা আদায় করে না। মরিয়া ঘদি পুনর্জন্ম থাকে তবে ইহার অস্থত পশুও হইতে চাহিবে। 創 ঘরের বাছির হইলেই একটা কাটা খেজুর গাছের সাকো পাকের ফুল সমস্ত বস্তিটায় পাইখানা মাত্র দুটি । ” ই e৫ টলিতে টলিতে পার হইতে হয়। প ফসকাইলেই একেবারে এক কোমর পাকে । গত বৎসর নাকি ইহারই মধ্যে দুইটি শিশু জড়াজড়ি করিয়া ডুবিয়া চিরদিনের পশুজীবন হইতে উদ্ধার পাইয়াছে। জ্ঞান হইবার পর তৃতীয় দিন সৌদামিনী আমায় স্নান করিতে বলিল । বলিল, “দাড়াও বাৰু, টাটকা জল এনে দি ” জল আনিতে গিয়া প্রায় এক ঘণ্টা পরে ফিরিল। বলিলাম, “এত দেরী ষে । বাড়ীতে বুঝি কল নেই ?” বলিল, “মা কৃপাল। কল কি পাড়াই আছে গা? ডেরেন নেই তার কল দেবে কেন । সেই বড় রাস্তায় কল । তা কি জল নিতে দেয় অাবাগীর বিটিরা—সব গে মরেছে এই সময়ে একত্তরে " | ভাবিলাম, কি সৰ্ব্বনাশ! কুলিকাতা শহরে বসিয়া কলের জলের এই দুর্ভিক্ষ । ভাবিতে ভাবিতে স্নান করিতে গেলাম। কোথা হইতে একটা দামী ব্যবহার-করা সাবান জুটাইয়া আনিয়াছিল। কৌতুহলাক্রাস্ত হইয় জিজ্ঞাসা করিলাম, “এই সাবান মাখ নাকি তোমরা ?” 鬱 নিঃসঙ্কোচে বলিল, “না বাবু, ও-সাবান পাব কোথায়, বাবুজের চানের ঘর থেকে নিয়ে এলুম গে। ওদের কত আছে। তোমার দেহটা ক’দিনে পচে রয়েছে। তা বলি এটুকু নিয়ে ধাই—একটুকু আরাম পাবে এখন।” নীতির বক্তৃতা দিতে প্রবৃত্তি হইল না। সেই সাবান দিয়াই গাত্র মার্জন করিলাম। আরাম জল্প লাগিল না। এমন সময় দাদার গল্পের মাথায় বাজ পড়ার মত শুনিলাম “বল হরি হরি বোল” বলিয়া একপাল লোক বেয়াড়া গলায় হাক দিয়া উঠিল। গল্পস্রোতে হঠাৎ বাধা পড়িল। খানিক উল্পনা হইয়া দাদা চুপ করিয়া বুহিলেন। তারপর ফিরিয়া বলিলেন, “গল্প প্রায় শেষ হইয়া আসিল ; আর একটা ঘটনা বলিলেই যবনিকা পড়ে।” আমরা উজগ্রীব হইয়া বসিলাম। দাদা বলিতে লাগিলেন —প্রথম দিন ঘরের বাহির হইয়াই ৰুঝিলাম, ব্যাধি আমার একলার হয় নাই। পাড়ায় ও-ব্যাধি বিশেষ জোর করিয়াছে । দু-একটা জোর ভেদ ও বমি তারপর ঘেটি ভাঙিয়া পড়া । কিন্তু মৃত্যুর সহিত যুকিয় বোধ হয় ইহারা পাথর হইয়া গিয়া থাকিবে । ইহাদের মুখে দুঃখ বা ভীতির সেরূপ সকরুণ