পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిఫిఆ প্রবাসী 令\°88 বস্তী কাপড় দোকান হইতে উঠাইয় আনেন, যে ধtহার পছন্দমত কাপড় বাছিয়া লয়। পোষ্ট আপিসের সেভিংস্ ব্যাঙ্কে তাহার কিছু টাকা জমা আছে, তাহা হইতে এই সময় কিছু উঠাইতে হয়। জাজ বিকালের দিকে, খাওয়ার পর একটু বিশ্রাম করিয়া মল্লিক-মহাশয় কাপড় আনিতে চলিয়াছেন । গৃহিণী বলিয়া দিলেন, “সেবারকার মত সব যেন রঙীন কাপড় নিয়ে এস না গে। বাড়ীতে বুড়ী একটা আছে তাও মনে রেখো।” ছেলেমেয়ের সব গৃহিণীকে ঘিরিয়া দাড়াইয়া আছে, মৃণালও তাহাদের মধ্যে, কাজেই কৰ্ত্ত সদুত্তর কিছু দিতে পারিলেন না, হাসিয়া বাহির হইয়া গেলেন । মৃণাল বলিল, "মামীম যেন কি ! বয়সত তোমার কতই। ঐ বয়সে দেথ ত কলকাতার মেয়েদের । তারা সব পরী সেঞ্জে ঘুরে বেড়ায় । বুড়ী বললে লাঠি নিয়ে তেড়ে আসবে। ওখানে ত দেখি যত বয়স বাড়ে, তত সাজের বহর বাড়ে। খুব কম বয়স যাদের, তারাঙ্গ যা একটু সাদাসিধে থাকে।” মামীম বলিলেন, “তোমার কলকাতার নিয়ম কলকাতাতেই থাক বাছা । আমাদের ওসব করবার অবসর কোথায় ? রাতদিন হাড়ি ঠেলব, না সেমিজ-সায়া প’রে, গালে রং মেথে বিবি সেজে ব’সে থাকব ?” মৃণাল বলিল, “আহ, গালে রং মাখতেই যেন আমি তোমাকে বলছি, তাই ব’লে একথানা রঙীন শাড়ী পরলে কিছু চণ্ডী অশুদ্ধ হয়ে যাবে না তোমার ।” মামীম হাসিয়া ভাড়ার-ঘরে ঢুকিয়া গেলেন। সমস্তটা দিন, এবং রাতেরও প্রথম কয়েকটা ঘণ্ট-ৰ্তাহার এই ভাড়ার ঘর আর রান্নাঘরেই কাটিয়া যাহত । গুইবার ঘরে ঘণ্টা কয়েক ঘুমাইতেন, এই ছিল তাহার সে ঘরখানার সঙ্গে সম্পর্ক । অবশু, বার-দুই সেগুলিতে ঝাট দিতে, নিকাইতে র্তাহাকে যাইতে হইত। টিনি জিজ্ঞাসা করিল, “দিদি, এবার কি শাড়ী নেবে ? রাঙা ?” মৃণাল বলিল, “দুর, বারেবারেই কি রাঙা নেয় নাকি ? আমি এবার নীলাম্বরী নেবু। তুই বুঝি রাঙা নিবি ?” টিনি সজোরে মাথা নাড়িয়া বলিল, “ন, ন, বুলু চাই।” মৃণাল বলিল, “ধা, তোর কেলে রঙে ব্লু মোটে মানাবে না।”. 導 চিনি বলিল, “আমি চাই ভূরে, ওবাড়ীর শোভাদিদির श्रृङ !' টিনিকে কালো বলায় সে চটিয়া গেল । “তুমি কেলে কুচকুচে * বলিয়া মৃণালকে এক চড় মারিয়া সে দৌড়াইয়। পলায়ন করিল। মৃণাল হাসিয়া বলিল, “শুনলে মামীম, তোমার মেয়েই কথা ?” মামীম বলিলেন, “যেমন তুষ্ট পাগল ক্ষেপাতে যাস ওটা কি আর মানুষ ? মানুষের কোনো লক্ষণই গুব মধ্যে নেই।” মল্পিক-মহাশয় কাপড়ের বস্তু লইয়া ফিরিয়া আসিলেন সন্ধ্যার কিছু আগে । এবার আবার দুইটি বস্তা, ছোটটি তিনি নিজেই বহন করিয়া আনিয়াছেন, বড়টি দোকানের এ* ছোকরা চাকর পেী৪tহয়া দিয়া গেল । বড় বারান্দাটার উপর দুইখানা মাদুর বিছাইয়া কাপড়গুলি তাহার উপর নামানে হইল। দিনের আলো স্না. হইয়া আসিতেছে, কাজেই মৃণাল তাড়াতাড়ি একটা হারিকেন লণ্ঠনও জালিয়ু আনিল । ছেলেমেয়ে :ে কোথায় ছিল তাহার ঠিক নাই, কিন্তু সকলেরই যেন মাথাৎ টনক নড়িয়া উঠিল । সবাই হুড়মুড় করিয়া উঠিতে পড়িতে ছুটিয়া আসিয়া জুটিল কাপড় বাছিতে মল্পিক-গৃহিণীও রান্নাঘর হইতে হাত ধুইধু বাহির হইয়া আসিলেন । কৰ্ত্তা বলিলেন, “নাও গো, কম হ’লেও বিশখানা সাদ' শাড়ী নিয়ে এসেছি। বুড়ো মানুষের উপযুক্ত শাড়ী বেছে বার কর ।” মৃণালের মামীম ছেলেমেয়ে, ভাগ্রী, প্রভৃতির সামনে যন্তই বৈরাগ্য দেখান না কেন, সখ তাহার কিছু কিছু ছিল। না থাকিলেই অন্যায় হঠত, কারণ বয়স তাহার ত্রিশের কোঠার মাঝামাঝির বেশী অগ্রসর হয় নাই । তিনি হাসিতে হাসিতে আসিয়া মাদুরের এক কোণে বসিয়া পড়িলেন । মৃণাল তাহার দিকে একরাশ কাপড় ঠেলিয়া দিয়া বলিল, “এই নাও মামীম, শান্তিপুরে তিন-চার খান শাড়ী রয়েছে, চমৎকার। ওরই মধ্যে থেকে একথান বাছ না ?” মামীম শাড়ীগুলি নাডিয়া গড়িয়া পরখ করিয়া দেখিতে লাগিলেন। একানি চওড়া লাল কাপড়ের শাড়ী ভাগ্য