পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহণয়ণ খুবই পছন্দ হইল, কিন্তু দাম সাড়ে পাঁচ টাকা। গৃহিণী তাত গুটাইয়া বলিলেন, “বডড যে দাম গো ! অত টাকা পরচ করতে চাই না। তার চেয়ে ঐ বোম্বাইয়ের দিকের মিলের শাড়ী একখানা নিই। ওর ৪ ত থোল বেশ পাতলা, পাড়ও নানারকম রয়েছে।” মুণাল বলিল, “ন, ঐ শান্তিপুরোটাই তোমাকে মিতে হবে। ভারি ত বছরে একখানা কাপড় কিনবে, তা ও আবার মিলের । এষ্ট শাড়ীট। রাথি মামীমার জন্যে, মামাবাৰু ?” মামাবাবু বলিলেন, “তা রাখ না, রাখবার জন্যেই ত আন ? মিলের কাপড় নেওয়ার কি দরকার ?” মামীম হাসিয়া শাড়ীখান হাতে করিয়া উঠিয়া গেলেন। বলিলেন, “ভাতটা দেখে আসি, না হলে ধ’রে উঠবে। তোরা ততক্ষণ কাপড় বাছ ।” চিনি আর টিনির কিছুতেই কাপড় বাছা শেষ হয় না। তাহারা যেন বঁাশবনে ডোম কাণ । বস্তামৃদ্ধ রাখিয়া দিলে তবে তাহাদের মনের মত হয় । টিনি যদিও নীল শাড়ী লৰ্ছবার সখ জানাইয়া ছিল, কার্য্যতঃ সে নিল একখানি বাসন্তী রঙের শাড়ী, পাড়টা তাহার জরির, এবং চিনিও ভূরে শাড়ীর মায়া ত্যাগ করিয়া একখানি ছোট বুটিদার ঢাকাই শাড়ীর মায়ায় মজিয়া গেল । কিন্তু অন্য কাপড়গুলি হাত-ছাড়া করিতেও তাহাদের কোনও প্রকারেই আর মন উঠে না । অবশেষে তাহাদের ম আসিয়া দুইজনের পিঠে দুই চড় মারিয়া টানিয়া লইয়া গেলেন, না হইলে চটকাতীয় তাহারা শীঘ্রই ছোট শাড়ীগুলিকে আমসত্ত্বে পরিণত করিত। বুকের উপর নিজের নিজের শাড়ী চাপিয়া ধরিয়া চীংকার করিতে করিতে তাহারা তখনকার মত রঙ্গমঞ্চ হইতে সরিয়া গেল । মামাবাবু বলিলেন, “না ৪ মিল্প, এবার তোমার পালা, তাহলেই বস্তাট। আবার বেঁধে ফেলতে পারি।” মৃণাল বলিল, “আমি এবার একটা সাদা শাড়ী নিই, মামাবাৰু ?” মামাবাবু হাসিয়া বলিলেন, “কেন, তুমিও কি বুড়ী হয়ে গিয়েছ ?” মৃণাল বলিল, “বুড়ী নাই বা হলাম, তাই ব’লে কি এত কি ধে রঙীন ছাড়া কিছুই পরতে পারব না ? আমি এই سيbسبضعسحbجد মাটির বাস। רמאס মুগার ডুরে শাড়ীখানা নিই। বেশ সোনার ডোরার মত ঝকৃ ঝকু করছে ।” মামীম কাছে আসিয়া বলিলেন, “একবার কাচতে দিলেই ত যাবে।” মৃণাল বলিল, “না, আমাদের বেডিঙে ঢাকাই ধোপা আছে, তাকে দিলে কিছু নষ্ট করবে না, ঠিক থাকবে ।” সে সেই শাড়ীখানাই বাছিয়া আলাদা করিয়া রাখিল । ছেলেদের কাপড় বাছার বিশেষ হাজাম নাই, একটু পাড়টা দেখিয় রাখিয়া দিলেই হয়। সে কাজ শীঘ্রই চুকিয়৷ গেল, তাহার পর আবার ভাল করিয়া পুটুলি বাধিয়া দোকানের চাকর কাপড় দোকানে ফিরাইয়া লইয়া গেল । শাড়ীখানি অতি যত্নে মৃণাল নিজের বাক্সে ঢুকাইয় রাখিয়া দিল । ভাল জিনিষ পায় সে অতি কম, কাজেই যাহা পায়, তাহা পাওয়ার রসটাকে সে অনেকক্ষণ ধরিয়া উপভোগ করে । সন্ধ্যা হইয়া গিয়াছে । কোনও ঘরে প্রদীপ কোনও ঘরে হারিকেন লণ্ঠন জলিতেছে । মুন্থ আলোকুপাতে আলোছায়ায় সারা বাড়ী চিত্রিত ছবির মত স্বন্দর। এমন সময় পড়ায় মন বসে না, দাওয়ার এক কোণে পা ঝুলাইয় বসিয়া মৃণাল একদৃষ্টে সম্মুখের দিকে চাহিয়া রহিল । মামীম ডাকিয় বলিলেন, “ও মিঠু, সন্ধ্যেটা দিয়ে দে মা । আমার হাত জোড়া ” মৃণাল তুলসীতলায় প্রদীপ রাখিয়া প্ৰণাম করিল। শাখের শব্দ একবার প্রাঙ্গণ মুখরিত করিয়া বাজিয়া উঠিল, পরক্ষণেই মিলাইয়া গেল । গোয়ালের গরু-বাছুর গুলি সদলে ফিরিয়া আসিতেছে, তাহাদের ডাক দূর হইতেই শুনা যায়। সন্ধ্যার ছায়া ধূসর অবগুণ্ঠনের মত নামিয়া আসিতেছে, পল্লীরাণীর মুথ আর স্পষ্ট দেখা যায় না, কেবল উজ্জল তারাগুলি যেন শুামাঙ্গিনীর ললাটের চন্দনতিলকের মত ক্রমেই বেশী পরিস্ফুট হইয়া উঠিতেছে । শীতের হাওয়া শরীরে শিহরণ জাগাইয়া . তুলিতেছে । মৃণালের চোখ সম্মুখের দৃগু হইতে ফিরিতে চায় না, সে গায়ের আঁচল গায়ে শক্ত করিয়া জড়াইয়া আরও খানিকক্ষণ সেইখানেই বসিয়া থাকে। श्रीफ़ाशैरिञ्च थांeब्र-नांसब्र नका श्रड-न-श्रडझे शुक्र