পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী SYogo কচুরি-পানী টানিয় কইমাছ ধর স্ব ভাবের জন্য দলে দলে ইহার মামুসের তাতে ধরা পড়িয়া থাকে । দেড় ইতি দু-হাত চওড়া সাধারণ এক প্রস্থ জল অল্প স্রোতের মধ্যে, আড়াআড়ি ভাবে পর্দার মত করিমু জলে পাতিয়া রাখা হয় । কষ্টমাছ উজান চলিবার মুখে জালের ছিদ দিয়া মুখ গলাইয়ু দেয় কিন্তু অপেক্ষাকৃত চওড়া শরীর আটকাইয়া যাইবামাত্রই কান্‌কে প্রসারিত করিয়া দেয় -তখন না পারে ঢুকিতে, না পারে বাতিরে আসিতে। জাল তুলিলেই দেখা যায় জলের ছিদ্রে সারি সারি কষ্টমাছ বন্দী হইয়ু রহিয়াছে । কচুরী-পানার আবির্ভবের পর পাড়াগায়ের লোকের জাল ব্যবহার না করিয়া অতি সহজ উপায়ে কইমাছ ধরিবার ব্যবস্থা করিয়াছে। পুকুর, খাল বিলে কচুরি-পামার লতাপাতার শিকড়ে পুরু আবৰ্জনার মধ্যে কষ্টমাছ পোকামাকড় প্রভৃতি শিকারের লোভে আত্মগোপন করিয়া থাকে। কচুরির দল ধরিয়া টানিয়া উপরে তুলিলেই দেখা যায় অনেক কইমাছ কচুরির শিকড়ে কানকে আটকাইয়া, কেত বা শিকড় কামড়াইয়ু বুলিয়া রহিয়াছে । ইহাদের আর একটা অদ্ভূত স্বভাব দেখা যায় । শত্রুর দ্বারা আক্রান্ত হইলে ইহার পিঠ, কান্‌কো ও পেটের কাটা ফুটাইয়ু৷ তাহাকে ত ঘায়েল করেই অধিকন্তু সুবিধা পাইলেই দাত দিয়া কামড়াইয়া ধরে। মুখের সম্মুখভাগে ইহাদের কতকগুলি সূক্ষ্ম ধারালো দাত আছে । কাপড় অথবা চটের মধ্যে কইমাছ রাখিযু ইহার প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যাইতে পারে। ইহার কাপড়ের মুতী কামড়াইয়া ধরিয়া বলিতে থাকে—কিছুতেই কামড় ছাড়ে না —টানিয়া খুলিতে হয়। কোন কোন বিষয়ে বুদ্ধির পরিচয় দিলেও ইহাদের একটা স্বভাৰ বড়ই হাসোদ্দীপক । মুখের কাছে হঠাৎ একটা আচমক আঘাত লাগিলেই ইহার যেন একেবারে দিশাহার হইয় পড়ে । ইহাদের বুদ্ধিশক্তি এমন কি নড়াচড়া করিবার ক্ষমতাও যেন লোপ পায়। দক্ষিণাঞ্চলের লোকের এই স্বভাবের সুযোগ লইয়া প্রচুর পরিমাণে কইমাছ শিকার করিয়া থাকে। খুব সরু পাতলা এক টুকর বশের টেচাড়ি ঘোড়ার ক্ষুরের মত ৰাকাইয়া ছোট ছোট কয়ার-ফড়িং বা অন্য কোন পোকার গায়ে দুই মুখ আলগাভাবে গাধিয়া রাখা হয়। এই চেচড়িটি ঠিক একটা প্রিঙের মত। ছাড়া পাইলেই সোজ৷ হইয়া যায়। ৰাশের এই ৰাকানো ফালিকে “বঢ়া-বড়শি" বলে । জলের উপর দুই পাশে দুইটি খুটি পুতিয়া একটি লম্বা দড়ি উভয় খুটির সঙ্গে ৰাধিয়া দেওয়া হয় । সেই লম্বা দড়ির সঙ্গে ছোট ছোট মু৩ায়ু “বঢ়া-বড়শি” ৰাধিয়। কয়ার-ফড়িঙের টোপ গাথিয়া জলের উপর ছাড়িয়া দেওয়া হয়। বড়শিগুলি জলের উপর ভাসিতে থাকে। ফড়িং শিকারের লোভে কই মাছ আসিয়া টোপ কামড়াইবামাত্রই ৰাণের ফালিটি খুলিয়া গিয়া প্লিঙের মত চাপে মাছের মুখটাকে গ করাইয় দেয় । আচমক। এইরূপ অস্বাভাবিক ধাক্কা খাইয়ু মুখ ১া হইয়ু যাওয়ায় কইমাছ একেবারে ভ্যাবাচাক খাইয়ু যায় এবং পলাইবার জন্য কোনরূপ চেষ্ট না করিয়া অবস্থাটা সম্যক্ উপলব্ধি করিবার জন্যই যেন নিশ্চেষ্ট ভাবে সুতার সঙ্গে আটকাইয়া ভাসিতে থাকে। পরে ছাকৃনি-জালের সাহায্যে ইহাদিগকে তুলিয় লওয়া १६ } এই প্রবন্ধের ছবিগুলি লেখক কর্তৃক গৃহীত ] i 醫 இ ilox{Yxo Nf \ \ $$షష.