পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহণয়ণ পঞ্চশস্য ২২১ কইমাছ, স্বাভালিক অবস্থায় ছড়িয়া দিতে বাধ্য হইল। এইরূপে পর পর কয়েকটা মাছই আপ্লক্ষ্মণের মধ্যে বোলতার হুলে ঘায়েল হইবার ফলে পুনরায়ু ই ১াকে আক্রমণ করিবার কোন লক্ষণই দেখা গেল না । ভবিলাম, যন্ত্রণার উপশম ইষ্টলেক্ট আবার আক্রমণ চলিবে । বলা বাহুল্য, জলের নীচে ডুবাইয়া রাখলেও বোলতা সহজে মরিয়া যায় না-কাজেই বোলতাট অনেকবার চুপুনি পাঠয়াও খন জল হইতে উঠিবার জন্ম প্রাণপণে চেষ্টা করিতেছিল । কিন্তু এত গুলি মাছের একটাও আর সারদিনেব মধ্যে তাতার কাছে ঘেfসল না । ইতাদের স্মৃতিশক্তির তীক্ষ্ণভ পৰীক্ষা করিবার জন্যই এই ঘটনার পর ক্রমাগত কয়েক দিন জীবস্তু বোলত জলে ফেলিয়া দিয়া দেখিয়াছি—স্কুধার মালায় অস্থির লেওঁ কেহ আর বোলতার কাছে ঘেসে নাই। অথচ মশ-মাছি ফলিযু দিলেই টপটপ গিলিয়। খাইয়াছে । শিকাব পরিবার উল্লিখিত অস্তৃত স্বভাবের জন্য কষ্টমাছ সহজে মামুষের হাতে ধরা পড়িযু থাকে। বিভিন্ন জাতের মাছ ধরিবার জন্স আমাদের দেশে বিভিন্ন রকমের জাল ব্যবহৃত হয় । মাছ স্বাক্ষাতে আটকাইয়। থাকিতে পারে এই জন্য জালের প্রস্তদেশ একটা থলির মত দুই ফেব্ৰুত করিয় ভাজ করা থাকে। যাহার ফেক অথবা ঝাকি-জালে মাছ ধরা দেখিয়ছেন তাহারা অবশ্যই লক্ষ্য করিয়! থাকিবেন–রুই কাংল৷ হইতে চুনোপুটি পর্য্যস্ত সকল রকমের মাছই জাল চাপ পড়িবামাত্র উপর দিকে সাতরাইয়। পলাইবার চেষ্টা করে কিন্তু জালে বাধা পাইয়ু সামনের দিকে ছুটিতে থাকে। অবশেষে জালের প্রাস্তদেশের থলির মধ্যে আসিয়া আটকা পড়িয়া যায়। কিন্তু কইমাছের স্বভাব সম্পূর্ণ অন্তরূপ। ইহারা জাল-চাপ পড়িলে উপরের দিকে উঠিবার চেষ্টা না করিয়া সোজা নীচের দিকে গিয়া কাদার মধ্যে চুকিয় পড়ে ; কাজেই সহজে জালে কইমাছ ধরা পড়ে না । দৈবাৎ বেঘোরে পড়িয়া দুই-একটা জালের ফাকে বা থলিতে আটক পড়িয়া যায়। এই জন্যই কইমাছ ধরিতে খুব সাধারণ এক প্রস্থ থলিশুষ্ক জাল ব্যবহৃত হয় । এই জালের ফীকগুলি হয় বেশ মোটা—একটা কষ্টমাছ কোনক্রমে . গলিয়া যাইতে পারে এই ভাবে নিৰ্ম্মিত। কইমাছ ধরিবার জঙ্গ এই জাল নানা ভাবে ব্যবহৃত হয়। জলজ ঘাসপাল্লার উপর এই জলি আলগা ভাবে বিছাইয়। রাখা হয় । পোকামাকড় ঘাসপাতা উপর বসিবামাত্রই কইমাছের জালের নীচে হইতে শিকার লক্ষ্য কইমাছ কানকে প্রসারিত করিয়া কাৎভাবে ডাঙায় হঁটিতেছে করিয়া লাফাইয়া উঠিলেই জালের ফীকে আটক পড়ে । ইঃাদের আর একটি আশ্চৰ্য্য স্ব ভাব এই যে কোন কিছুতে বাধা পাইলে অথবা আক্ৰ স্ত হইলেক্ট মাথার দুই দিকের কঁাটাওয়াল কান্‌কে ও পিঠের কাঁটাগুলি ছড়াষ্টয়া দেয়। স্বাভাবিক অবস্থায় না পড়িলে কিছুতেই কান্‌কে। বন্ধ করে না । কাজেই লাফাই য়ু উঠিবার সময় জালের ছিদ্র দিয়া সরু মুখ গলিয়। যাইবামাত্রই কনকে। প্রসাধিত করিয়া দেয় এবং আঁকশির মত জালে আটকাইয়া যায় । সাধারণত: মাছ মাত্রেরই স্রোতের বিপরীত দিকে উজান বাৰ্চিয়। চলিবার একটা স্বাভাবিক প্রবৃত্তি দেখা যায় । কষ্টমাছের এই উজান বাহিয়৷ চলিবার প্রবৃত্তি যেন অতিমাত্রায় আত্মপ্রকাশ করিয়াছে । ইহাদের স্রোতের উজান বাহিয়া চলিবার প্রবৃত্তি এরূপ অদ্ভুত যে বৃষ্টির সময় জল গড়াইয় পুকুরে নামিলেই ই তারা সেই সামান্য জলস্রোতের উজান চলিতে চলিতে থাড়া পাড় বাঠিয়া ডাঙ্গায় উঠিয় আসে এবং কাকোর সাহায্যে কাংরাষ্টতে কাংরাষ্টতে অনেক দূরে চলিয়া যায়। এরূপ অবস্থায় সময়ে সময়ে ইঙ্গার বড় বড় চেলান গাছের গুড়ি বাতিয়া অনেক উপরে উঠিয়া যায়— এরূপ ঘটনা নাকি অনেকে প্রত্যক্ষ করিয়াছেন জল ছাড়িযুt ইতারা অনেক সময় পৰ্য্যস্ত ৰাচিয়া থাকিতে পারে, কোন অসুবিধা বোধ করে বলিয়। মনে হয় না । তবে শুষ্ক ডাঙায় কিছু সময় চলাফের করিবার পর ক্রমশঃ শরীরের জল শুকাইতে থাকে তখন পিচ্ছিল এক রকম রস নির্গত হইয়। শরীরটাকে ভিজা রাখে । দেহনিঃস্থত এই পিচ্ছিল বুসের জন্য ইঙ্গাদিগকে ধরিয়া তোলা দুষ্কর। কোন সুদূর অতীতে জলাভাব বশতঃই ইহার এই উভচরবৃত্তি আয়ত্ত করিতে পারিয়াছিল—বর্তমান অবস্থা দেখিয়া ইহ। সহজেই অনুমিত হয় । কিন্তু সাময়িক ভাবে ডাঙায় চলাফের। করিলেও ইতাদিগকে প্রকৃত প্রস্তাবে উভচর প্রাণী বলা যায় না। কারণ ডাঙায় উঠিয়া ইহার কেবল ইতস্তত: চলাফেরা করা ব্যতীত কাকড়া, কচ্ছপ প্রভৃতি উভচর প্রাণীদের স্কায় কোন নির্দিষ্ট দিকে চলিতে পারে না । দৃষ্টিশক্তির সাহায্যে কাকড় ধেমন জলের নীচে ও ডাঙায় তাহার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করিতে পারে ইঙ্গাদের সে ক্ষমতা নাই । . o পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি ইহার স্রোতের উজান বাগিয়া চলে এবং কোন কিছুতে বাধা পাইলেই কানকে প্রসারিত করিয়া রাখে।. এই ৷