পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহণয়ণ কহিলাম, “যাও, এক টাকা দিয়ে আবার কিছু নতুন রোগ চাপাও আমার ঘাড়ে।” শিহরিয়া শৈলজা চোখ বুজিল। তার পর দুই হাত একত্র করিয়া কপালে ছোয়াইয়া মনে মনে কি কহিল তা সে-ই জানে। ভূত্যকে ডাকিয়া দৃঢ়স্বরে কহিল, “ব’লে দাও, মরে গেলেও আর যাব না আমি ঠাকুরের কাছে । ব’লে দাও, কিছু বিশ্বেস করি না আমি, কিছু না ।” পরের দিন। ঘরে বসিয়া আপিসের কাজ করিতে করিতে শৈলজাকে ডাকিয়া কহিলাম, "একবার পঞ্জিকাটা দাও ত ।” কক্ষাস্তর হইতে শৈলজা কহিল, “পাজি আবার তোমার কি কাজে লাগবে গো । ওসব আবার বিশ্বেস কর নাকি তুমি ?” কহিলাম, “বিশ্বাস না করলেও কাজে লাগে অনেক সময় । চৈত্রের প্রথমে আমার সেই রেজুনের বন্ধুর আসবার কথা, সে ত ভাল দিন ন-দেখে আসবে না।” কিছুক্ষণ পরে শৈলজা জাসিয়া কহিল, “পাজি ত পেলুম না। সেদিন পাশের বাড়ীতে নিয়েছিল, বোধ হয় আর ফিরিয়ে দেয় নি।” বলিয়া সে চলিয়া গেল । এমন সময় ভূত্যের প্রবেশ । আমার স্বানের জল দিলে কি না জিজ্ঞাসা করিয়া সে চলিয়া যাইতেছিল। তাহাকে ডাকিয়া, মনে করিয়া পাশের বাড়ী হইতে পঞ্জিকাটা আনিয়া রাথিতে বলিলাম। মিনিট পাচ-ছয় পরে ভূত্য পঞ্জিকাহন্তে উপস্থিত । কহিলাম, “এখনই দৌড়োদৌড়ি ক’রে কে আনতে বলেছিল তোকে, যেমন বুদ্ধি তোর ” অতি বিনয়ের সহিত ভূত্য জানাইল, এইমাত্র মাইজী র্তাহার বাক্সের আবরণের নীচে পাজি রাখিয়া আসিয়াছিলেন। সে দেখিতে পাইয়া লইয়া আসিয়াছে। কথাটা মনে লাগিল। নিজে রাখিয়া অস্বীকার করিল শৈলজা ? কিন্তু কেন ? পঞ্জিকা খুলিবামাত্র সমস্তার সমাধান হইল। খুলিতেই চোখে পড়িল, বিভিন্ন রাশির বিভিন্ন মাসের ফলাফল নির্ণয়ের পৃষ্ঠার এক স্থানে কালো কালি দিয়া মোটা করিয়া দাগ দেওয়া রহিয়াছে। আমার রাশির ভাগ্যে ফাগুন মাসে রহিয়াছে—“মৃত্যুভয়”। • কেন ه لایسسیده ع স্রোতের ফুল SNరిNరి সেইদিন মধ্যাহ্নে ভূত্য পূজার কথা উল্লেখ করিয়াছিল, এবং আজই বা কেন শৈলজা আমার সহিত এই মিখ্যা আচরণ করিল, চোখের সন্মুখে এই সমস্ত প্রশ্নের সহজতম উত্তরটা ভাসিয়া উঠিল। বুঝিলাম, জন্ম হইতে যে-সংস্কারের ভিতর শৈলজা এই দীর্ঘ দিন কাটাইয়াছে, সে-সংস্কার শৈলজার দেহের প্রতি অণুপরমাণুতে মিশিয়া গিয়াছে। কেবল কয়েক দিনের অক্ষুরোধ কিংবা ভীতিপ্রদর্শন সাময়িক ফল দিতে পারে বটে, কিন্তু সেই সংস্কারের আমূল উৎপাটন অসম্ভব। মনে মনে কামনা করিলাম, এইখানেই যেন ব্যাপারটার সমাপ্তি ঘটে, জার বেশী দূর অগ্রসর হইতে না পারে। এ-বিশ্বের যিনি স্থষ্টিকৰ্ত্ত, শুনিয়াছি তিনি বিশেষ রসিক পুরুষ। পরিহাস করিয়া তিনি চাদের মুখে কলঙ্ক আঁকিয়াছেন এবং গোলাপ-বৃস্তে কণ্টক রাথিয়াছেন। অতএব বসন্ত-ঋতুর সৌন্দৰ্য্যসম্ভারের সহিত বসন্ত-রোগের সংযোগ সাধন করিয়াও হয়ত তিনি আর একবার পরিহাস করিয়া মুখ টিপিয়া হাসিয়াছিলেন, কিন্তু স্বল্পবুদ্ধি, মানুষ আমরা সে-রহস্য না বুঝিয়া হাসিবার পরিবর্তে কাদিয়া মরি। দুই দিন পূৰ্ব্বে কয়লাওয়ালার ছেলেটার বসন্ত-রোগে মৃত্যু হইয়াছে। ছেলেটার মা আসিয়া শৈলজার পা স্থখানি জড়াইম্বা কাদিয়া আকুল । সুযোগ বুঝিয়া সৰ্ব্বাঙ্গে সিন্মুর লেপিয়া ভক্তবৃন্দের হাতে হাতে মা-শীতলা স্বারে দ্বারে পয়সার বিনিময়ে সিদূর দান করিতেছেন । সেদিনও রবিবার ; মধ্যাহের আহার সমাপন করিয়া সবে একটা ইংরেজী নভেলের পাতা উটাইয়াছি, এমন সময় দেখিলাম ভিখারীর আহবানে শৈলজা ভিক্ষা লইয়া আঙিনা পার হইয়া বাহির হইতে ভিতরে যাইবার স্বারের দিকে চলিয়া গেল । মিনিট সাত-আট পরে সহসা ক্ষিপ্রগতিতে শৈলজা আসিয়া উপস্থিত । ছুই চোখে অপরিসীম ভয় এবং উদ্বেগ যেন ফাটিয়া বাহির হইতেছে । অধীর কণ্ঠে ব্যগ্রভাবে সে জামাকে প্রশ্ন করিল, ভূত্য কোথায় গিয়াছে আমি জানি কি না। । वैिंक ७हे नभरग्न ड्रडाब्र न*र्मणांछ घछिन । चांमाग्नहे একটা কাজে সে একটু বাহিরে গিয়াছিল। স্তৃত্যকে ভাকিয়া লইয়া শৈলজা চলিয়া গেল।