পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*N?組。 প্রবণসী $Neg8 গল্পটায় বিশেষ মন বসিয়াছিল । তাই আর কোন প্রশ্ন না করিয়া পুনরায় পাঠে মনোনিবেশ করিলাম। সেই দিন রাত্রে গুইতে আসিতে শৈলজার অনেক বিলম্ব হইল । আমিও অধিক রাত্রি জাগিয়া পড়াশুনা করিয়াছিলাম বলিয়া সহজে ঘুম আসিতেছিল না। শৈলজা গুইতে আসিলে কহিলাম, “বড় দেরি হ’ল না তোমার গুতে ?” “হ্য কাজ ছিল” বলিয়া শৈলজা পাশ ফিরিয়া গুইল । সে ঘুমাইয়াছে ভাবিয়া আমিও ঘুমের উদ্যোগ করিতেছি এমন সময় সহসা সে উঠিয়া বসিল । তাহার পর উত্তেজিত স্বরে জামার পানে ঝুঁকিয়া সে কহিল, "নাস্তিক হ’লেই কি আর শাস্তি মেলে ? আমার মা-ঠাকুরমা যে এই সব বিশ্বেস করতেন, অশাস্তি এনেছিলেন নাকি তারা ? সিখিতে সিন্ধুর নিয়ে দেখি দিব্যি হাসতে হাসতে স্বর্গে চলে গেলেন। কই, আগের মত শান্তি দেখাও ত কোন পরিবারে আছে,— হঁ্যা, দেখাও ত ?” বিস্থিত হইলাম, কহিলাম, “দেখ, ছোটবেলায় ঠাকুমার কাছে রাত্রে যত গল্প শুনেছি, তার প্রথম ছিল এক রাজার দুই রাণী মুয়ো আর দুয়ো—আর শেষ ছিল রাজপুত্রের সঙ্গে রাজকন্যার বিয়ে হয়ে গেল। এই দুটো কথা না যোগ করলে আমি গল্প বুঝতে পারতুম না । সেই থেকে কেমন একটা বদ-অভ্যেস হয়ে গেছে শৈল ; প্রথম আর শেষ না বলে দিলে কোন গল্পই জার বুঝতে পারি নে। কাজেই তুমি যদি রাজার দুই রাণী থেকে আরম্ভ করতে, তাহলে বুঝে উত্তর দিতে আর দেরি হ’ত না ख्षांभांद्र ! শৈলজা কহিল, “ঐ তোমার কথা স্বরূ হ’ল। তোমার মত আমন করে কথা বলতে পারি নে ব’লে তুমি সব সময় আমায় চুপ করিয়ে দাও। কিন্তু আজ আর আমি কোন কথা শুনছি নে। শুধু তুমি বল, আমি সত্যি বললুম না মিথ্যে বললুম।" - কহিলাম, “সেইটে বললে এখন তুমি নিশ্চিন্তু মনে স্কুমোতে পার, তাই।” অীর কণ্ঠে শৈলজা কহল, “ন গে না। আমি ধে কিছুতেই শান্তি পাচ্ছি না, তাও কি বোঝ না তুমি ?” তাহার কণ্ঠস্বর শুনিয়া চমৰিত হইলাম। গভীর কণ্ঠে কহিলাম, “তুমিই ত কিছু বলতে চাও না আমায় শৈল । আমি ত জানি স্বামী-স্ত্রীর ভিতর কোন আন্তরাল থাকতে নেই। জগতে আমার চেয়ে আপন তোমার আর কে আছে বল ? সেই আমার কাছ থেকে কোন কথা লুকিয়ে তুমি যদি নিজের মনে অশাস্তির স্বষ্টি কর, তবে কি করতে পারি चांधि, दल ?* বুঝিলাম, অশ্রুতে শৈলজার কণ্ঠ রুদ্ধ হইয়া গিয়াছে। ক্ষণকাল পরে অশ্রুরুদ্ধ কণ্ঠে সে কহিতে লাগিল, “তুমি যা বললে, তাই ঠিক। আমার মনে অনেক ধোয়ার স্বাক্ট হয়েছে, কিছুতেই তা থেকে মুক্ত হতে পাচ্ছি নে। তুমি পাজি বিশ্বেস কর না, কোষ্ঠী বিশ্বেস কর না, কিন্তু আমি না-ক'রে পারি নে। পাজিতে আর কোষ্ঠীতে তোমার কথা ভাল লেখে নি এবার। তা ছাড়া সেদিন ভিক্ষে নিয়ে যখন গেলুম, শীতল-ঠাকুরকে হাতে নিয়ে ভিখারী বললে, ‘ম, তোমার আমন স্বন্দর কপালে সিদুর নেই কেন ? কোন দিন স্নান ক’রে সিন্ধুর পরতে ভুল হয় না আমার ; কিন্তু সেদিন কপালে হাত দিয়ে দেখি, সত্যি সিঁদুর নেই। পাথরের মত দাড়িয়ে রইলুম, কখন ভিক্ষে নিয়ে, সিছুর না দিয়েই ভিখারী চলে গেছে, সেদিকে খেয়ালই নেই। তার পর ছুটে গিয়ে চাকরটাকে পাঠিয়ে বলে দিলুম, ধেমন ক’রেই হোক ভিখারীকে ফিরিয়ে নিয়ে আয়, ব’লে আয় আমি শীতলাঠাকুরের পূজো দেব।" বলিয়া শৈলজা চুপ করিল। ষে-বৃক্ষের মূলে শক্তি নাই, বাছিয়া বাছিয়া কাঠুরিয়া তাহারই উপর কুঠারাঘাত করে। কহিলাম, "কিন্তু তোমার ম-ঠাকুমার কথা কি বলছিলে যেন ।” শৈলজা কহিল, “হ্যা, সেই কথাই বলি। আমার ঠাকুম স্বপ্নে পেয়েছিলেন চোতপূর্ণিমার ব্রতের আদেশ । এ-ব্রত যে করবে তার কামনা পূর্ণ হবে, তার বৈধব্য কখনও ঘটবে না। সারা জীবন ঠাকুমা এই ব্রত করেছিলেন, ফলও পেয়েছিলেন।” পরে মিনতিপূর্ণ স্বরে শৈলজা কহিল, “আমাধও তুমি সেই ব্রত করবার আদেশ দাও । তোমার কথা শুনে, তুমি ধাতে বিরক্ত না হও, এই মনে ক'রে সব জিনিষই ত