পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SNరిs আঘাত পাওয়ার কথা শুনলে ভয়ে ৰাঠ হয়ে যেতেন, কোন মৃত্যুসংবাদ শুনলে জ্ঞান হারাঙেন। “একবার সেই ঠাকুরদার হ’ল কঠিন অস্থখ। মস্ত জ্ঞানী এক জ্যোতিৰীকে জানা হ’ল। ঘরে ঢুকে রুগ্ন ঠাকুরদার মুখের দিকে চেয়ে তিনি বললেন, ‘এ’ ত দেবকুমার বাৰু নয়, এ ষে তার মৃতদেহ । কোষ্ঠী দেখান হ’ল –খুব খারাপ সময়। ঠাকুম গিয়েছিলেন মেয়ের বাড়ী। খবর দিয়ে জানান হ’ল। লালপাড় শাড়ী প'রে, কপালে একটা জলজলে সিদুরের টিপ দিয়ে তিনি এলেন। সবাই বললে, ‘ওরে অভাগী, জন্মের মত স্বামীর পানে চেয়ে নে ' ঠাকুমা কিন্তু এতটুকু ভয় পেলেন না। বললেন, ‘ওঁর ত মৃত্যু হতে পারে না। উনি যে কথা দিয়েছিলেন–জামায় বৈধব্যযন্ত্রণা সহ করতে হবে না । জীবনে কখনও কোন মিথ্যে আচরণ যিনি করেন নি, তার কথা কি মিথ্যে হতে পারে ? সত্যি ঠাকুরদা সেরে উঠলেন। সবাই বললে, ‘ধন্তি সুন্দরবউয়ের মনের বিশ্বাস, এই বিশ্বাসের জোরেই ওর স্বামীকে ও ধমের ঘর থেকে ফিরিয়ে এনেছে।’ তার পর শোনা ८*ण, ७कवॉब्र ?iङ्कब्रन चांद्र ?ांकूम| ११न शब्रिषांtब्र তীর্থ করতে গিয়েছিলেন, তখন এক দিন সেই হরিদ্ধারে গঙ্গার জলের দিকে চেয়ে ঠাকুরদা বলেছিলেন—‘এই যে গঙ্গার জল দেখছ স্কনার-বউ, এরই মত পুণ্য স্বামী-স্ত্রীর ভালবাস । সেই ভালবাসাকে স্পর্শ ক’রে আমি বললাম, তোমাকে আমি বৈধব্যযন্ত্রণ দেব না। তোমার মরণের সময় আমি নিজের হাতে তোমার লিখিতে সিন্ধুর পরিয়ে দেব।' সেই কথা মনে গেঁথে রাখলেন ঠাকুমা চিরদিন। একদিনের জন্তেও এতটুকু সন্দেহ মনে ঢুকতে দিতেন না। বলঙেন, তিনি সত্যি করেছেন, এ কি কখনও মিথ্যে হতে পারে । ভগবান আছেন না । श्(* " গল্প যখন শেষ হইল, বাহিরের বৃষ্টিপাত তখনও সমান ভাবে চলিয়াছে। স্বর্ধ্য এইবার অস্ত গিয়াছে। বাহিরে প্রবাসী । $N988 বেশী দূর আর দৃষ্টি যায় না। আকাশের একটা দিক একেবারে নিশ্চিহ্ন হইয়া গিয়াছে। ভাল করিয়া ঘুম ভাঙে নাই তখনও, শৈলজার ডাকে চাহিয়া দেখি এই ভোরে সে স্নান করিয়া আসিয়াছে। ভিজা চুল পিছনে ছড়াইয়ু, কপালে একটা সিদ্বরের টপ ট্রাকিয়া জাসিয়া সে আমার ঘুম ভাঙাইতেছে। বাছির পানে চাহিয়৷ দেখি, বৃষ্টি খামিয়া গিাছে অনেকক্ষণ। পূবের আকাশে কালো মেঘের চূড়ায় একটুখানি রাঙা আলো। ধীরস্বরে শৈলজা কহিল, "একটু উঠে এস গে। তোমায় একটা কাজ করতে হবে।” নিক্সার ঘোর কাটিয়া যাইতেই বুঝিলাম, কেন এ আহবান। তাহার সহিত ঠাকুরঘরে আসিয়া প্রবেশ করিলাম। চন্দন ধূপ এবং পুষ্পের স্লিং গদ্ধে কক্ষ স্বগন্ধ। এক দিকে দেয়ালের গায়ে আলোছায়ার রহস্য স্থষ্টি করিন্থ একটা প্রদীপ জলিতেছে। প্রদীপের ক্ষীণ আলো প্রস্তুরনির্মিত বিষ্ণুমূর্তির কালো দুটি পায়ের উপর পড়িয়া মৃদ্ধ যুদ্ধ কঁাপিতেছে । 唤 সেই দিকে চাহিয়া শৈলজা কহিল, “কাল সারারাত আমি স্বন্দর-ঠাকুমাকে স্বপ্নে দেখেছি। এই ঠাকুরের কাছে তুমি আমায় ছয়ে বল, আমায় যেন বৈধব্য সইতে না হয় ।” বলিতে বলিতে তাহার কণ্ঠ রুদ্ধ হইয়া আসিল । সেই স্বল্প আলো এবং অন্ধকারে বসিয়া শৈলজাকে স্পর্শ করিয়া ঈষৎ জোরে তাহার কথাগুলির পুনরাবৃত্তি করিলাম। প্রদীপের ক্ষীণ আলোয় দেখিলাম তাহার দু-চোখ হইতে জল পড়িতেছে,—বুঝিলাম এ দুঃখের নয়, আনন্দের। মূখে যেকথা কহিলাম সে-কথা শুনিল শৈলজ, কিন্তু মনে মনে কহিলাম “হে দেবতা! আমার এ মিথ্যা আচরণ তুমি ক্ষমা করিও । পঙ্কজের জন্মের জন্য পঙ্কের প্রয়োজন, শৈলজার জীবনে একটা অতিবড় সত্যের প্রতিষ্ঠার জন্ত আমার এ মিথ্যার অবতারণা। তুমি আমায় ক্ষমা কর প্রভু!” &