পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミへごb〜 প্রবাসী SN9g8 দিলেন, সবাই কাড়াকড়ি করে দেখতে লাগল। এত বয়সেও যা আমাদের কাছে মানচিত্রের ছবিমাত্র ছিল সমুদ্রের কোলে সেই কুমারিকার বিরাট বাক আর তীরে অস্পষ্ট পাহাড়ের রেখা দেখে মনে পড়ল বাড়ী ছেড়ে কতদূর চলে এসেছি । ভারত-মাতার পায়ের তলা দিয়ে আজ ঘুরে যাব, দু’মাস আগে কোন দিন ভাবি নি । তিন-চার দিন সমুদ্র বেশ শাস্ত ছিল, এইবার তার দুয়স্তপন একটু একটু স্বরু হল । জলের নাচ বেড়েছে, জাহাজের গায়ের আর ঢেউয়ের মাথার ফেনা জলের ধাক্কায় অনেক দূর পর্য্যস্ত দৌড়ে চলে যাচ্ছে । ঢেউয়ের চুড়া ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চারিদিকে রামধন্থর মত একটা রং ছড়িয়ে পড়ছে, জলকণা সারাদিন ছিটুকে ছিটকে এসে মুথে লাগছে। অনেক লালচে চাবড় চাবড়া এবং কিছু কিছু সবুজ সামুদ্রিক শেওলা জলে ভেসে আসছে। সেই জলের কত রকম যে রং তার ঠিক নেই, কখনও নীলকাস্তমণির মত নীল, কখনও মরকতের মত সবুজ, কখনও নীলাম্বরীর মত কালো। যখন যেমনই রং হোক সৰ্ব্বদাই মণির মত জল, জল, করছে। সবচেয়ে সুন্দর দেথায় যখন গলিত নীলার মত ঢেউয়ের মাথায় মাথায় সাদা ফেনাগুলি হীরার টুকরার মত রোদে ঝলমল করে ভেসে উঠছে। দূরে মাটির রং লাল মনে হয়। বোম্বাই আলেকজান্দ্রা ডকে ষে ভারতীয় স্ত্রীলোকের ভিড় দেখেছিলাম, তারা সবাই ওড়ন। ঘাঘরা পরে দল বেঁধে জাহাজে উঠল, কিন্তু শেষকালে দেখা গেল কাচ্চাবাচ্চ নিয়ে পাঁচটি মেয়ে মাত্র জাহাজে রইল আর বাকি সব নেমে cोफू। भूमणभोन cयत्त्व श्रण कि श्य ? छोशरछ फेरी আত্মীয়-বন্ধুকে বিদায় দিতে বেশ সপ্রতিভ ভাবে এসেছে। এদের বিশেষ পর্দাও নেই। প্রথম দিন জাহাজে ওঠবার পর এই যান্ত্ৰিণীদের দিনদুই আর কোন চিহ্নই দেখতে পাই নি, কোথায় যেন সব তলিয়ে গেল। এক দিন ডেকে মিশনারী মহিলাদের সঙ্গে গল্প করতে করতে দেখলাম পাচটি মেয়ে একটি পুরুষকে সঙ্গে নিয়ে জাহাজ দেখতে বেরিয়েছে। ভদ্রমহিলা বললেন, “ওদের সঙ্গে হিন্দীতে কথা বলুন, দে উইল বি ভেরি হাপি ।” তাদের সঙ্গে হিন্দীতে কথা বলতে গেলাম, তারা বললে हिमौ छांtन मां । *tब्र ८मशीं ८अंज कूरप्लेों कांब्रtाँ श्मिौ कथा জানে । জিজ্ঞেস করলাম, “তোমরা কোথায় যাচ্ছ ?” তারা বললে, “আফ্রিকা ।” অামি বললাম, “এই জাহাজে চড়ে আফ্রিকা কি করে যাবে ?” তখন একজন বলল, “ম্যাডাগাস্কার যাব।” সঙ্গের পুরুষটি দুই-একটা ইংরিজী কথা বলতে পারত। তার সাহায্যে সব চেয়ে সপ্রতিভ মেয়েটি বললে যে তারা কলম্বোতে নেমে আন্ত জাহাজ ধরবে। তাদের মধ্যে একজন ছিল ভেঙে মুয়ে-পড়া খুখ ড়ে বুড়ী। সে নাকি কুড়ি বৎসর আফ্রিকায় থেকেছে, কিন্তু নিজের ভাষা ছাড়া আর কোন ভাষা বোঝে না ! কি করে যে তারা বিদেশে কাটায় বোঝা শক্ত । এরা সব নিজেদের আলু পেয়াজ বোঝাই করে এনেছে, জাহাজে লোহার উকুন পেতে রোজ *তিন দফে পাকাতা ।” আমাকে একজন বললে, “আও না, জাহাজ দেখো।” আমি জাহাজের অনেকটাই ইতিপূৰ্ব্বে দেখেছিলাম, ওরা সেইগুলোই দেখছিল, কাজেই অামি সঙ্গে গেলাম না । দুপুরে খাবার পরে তারা তাদের দিকের ডেকে বসে বিশ্রাম করছিল, একজন মেমসাহেব বললেন, “চল ওরা কোথায় ঘুমোয় দেখে আসি।” তারা “চল দেখাচ্ছি” বলে আমাদের নীচে নিয়ে গেল। এটা হ’ল থার্ড ক্লাসের যাত্রীদের ঘর। ছোট ছোট আলাদা কেবিন নেই, মস্ত একটা ঘরেই উপরে নীচে বাথ। আমাদের বার্থের চেয়ে অনেক চওড়', পাশাপাশি দুজন শোবার মত। ঘরের ভিতর অনেকগুলি পুরুষমানুষ বসে আছে। বোধ হ’ল স্ত্রী-পুরুষ সবই এক ঘরে শোয় । যদিও আলাদা কেবিন নেই, তবু একটুখানি আব্রুর উপায় আছে। প্রত্যেকটা বিছানাই পর্দা দিয়ে ঘেরা। যে ছেলেমেয়েগুলো খুব ছোট ছোট তারা মাবাবাদের সঙ্গে এই ঘরেই শোয় । পাশে আর একটা ঘর দেখলাম । সেখানে নাকি ওদের দশ-বার-তের বছরের বড় বড় ছেলেমেয়েরা শোয় । স্নানের ঘর ইত্যাদি অাছে ভালই, তাতে আয়না-টায়ুনাও দেওয়া। মাঝখানে একটা মস্ত ঘর মাল বোঝাই করে রাখবার জন্ত । তাতে ওদের এত বেশী মাল যে ব্যবসায়সংক্রাস্ত বলেই মনে श्नः । - এর সবাই কলম্বোতে নেমে গেল। কলম্বোতে জাহাজ घांtां जांtणं नि, औध जtर्ष क'tग्न नदाहे छांeांग्न ८*ाज !