পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহায়ণ - জাপান ভ্ৰম ఫిలిఫె মেয়ের দুই-একজন বোরক পরল বটে, কিন্তু মুখগুলো হয়ে ডেকে পাইচারি করছে। মাঝি-মাল্লা চাকর-বাকর খুলেই রাখল। অফিসার সবাই নিজের নিজের মার্কামার টুপি পরে তৈরী। থার্ড ক্লাসেরও নীচে ধারা তারাই হ’ল ডেক-প্যাসেঞ্জার । তারা ডেকে পাল খাটিয়ে তারই তলায় বিছানা পেতে গুয়ে বসে আসে। কারুর কারুর সঙ্গে খাটিয়া কি ক্যাম্প খাটও দেখা যায়। বোম্বাই থেকে কলম্বো পৰ্যন্ত ছিল শুধু পুরুষ ডেকধাত্রী । কলম্বোতে আবার ছেলেপিলে নিয়ে কতকগুলি মেয়েও উঠেছে। এদের গায়ে গা-ভৰ্ত্তি সোনার গহন, কিন্তু খোলা ডেকে এক পাল অচেনা পুরুষের সঙ্গে চলেছে । একটি তামিল মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে গেলাম ; কিন্তু সে তামিল ভাষা ছাড়া আর কিছু বোঝে না। "সিঙ্গাপুর" “কলম্বে।” ও “তামিল" এই ক'টা কথায় কেবল সে একটু হেসে মাখা নাড়ল । বাকি বাংলা হিন্দী ও ইংরেজী কোন কথাই তার বোধগম্য হল না । আমাদের সহযাত্ৰিণী ভেন-মহিলা তার সঙ্গে তামিল ভাষায় কথা বলতে স্বরু করায় সে খুব খুশী হয়ে গেল। জামার সব কথাও তিনি তাকে মুখে মুখে অনুবাদ করে দিলেন। তার ছোট্ট একটি পাঁচ বছরের মেয়ে বড় বড় কালো চোখ তুলে সবাইকে অবাক হয়ে দেখছিল । আমার মেয়ে তাকে হাতছানি দিয়ে অনেক ডাকাতেও খুকীটি এল না। ডেনমহিলা বললেন, “বা, ব,” অর্থাৎ “এস, এস।” শুনে সে খুব হাসতে লাগল। ১৩ই জানুয়ারী ভোর পাচটায় জাহাজ কলম্বোতে পেীছল। তখনও আলো হয় নি। পোর্টহোল দিয়ে উকি C*८ई cमर्थळांभ स्थानक छांश्ॉख ८१थं पृोद्दष्ऋ । cअनि ভোরে আরাম করে পাখার তলায় গুয়ে থাকা অার হ’ল না। তাড়াহুড়ো করে মুখটুখ ধুয়ে তৈরী হয়ে নিতে হবে, কারণ সাড়ে ছয়টায় আমাদের চা-রুটি খাইয়ে সাতটায় ষ্টিম লঞ্চে করে ভাঙায় পৌছে দেবে বলেছে । জাহাজের চাকর-বাকররা খুব ঘড়ির কাটার মত নিয়মে চলে, খাবার `ರ್ತ সেকেণ্ডও এদিকওদিক হয় না। চা খাবার পর উপরে উঠে দেখলাম মস্ত একটা সিড়ি জাহাজের গা থেকে জল পৰ্য্যন্ত নামিয়ে দিয়েছে। এতদিন যে-সব চাকরের শাহাজের জমাদারের কাজ করত তার ফিটফাট ইউনিফৰ্ম্ম *** “watch steward” crist ntn artą orą wsi tửa সিড়ির নীচে ষ্টিম লঞ্চ দাড়িয়ে । নামতে গিয়ে দেখি আমার কঙ্ক আমাদের আগেই তার বন্ধুর সঙ্গে নেমে সেখানে গিয়ে বসে আছে । এদিকে আমাদের পাসপোর্টে ছাপ দেওয়া হয় নি, তার জন্তে ক্রমাগতই দেরী হচ্ছে । আমাদের জঞ্চে আর অপেক্ষ না করে নৌকার দড়ি দিল খুলে । আমি জাহাজের সিড়ির মুখে দাড়িয়ে আছি দেখে আমার কন্যা রীতিমত কান্না জুড়ে দিলেন। মহা মুস্থিল। এমন সর্ম শেষ মুহূৰ্ত্তে পারের কড়ি মিলল। আমরা কোন রকমে লাফিয়ে ঝাপিয়ে লঞ্চে নেমে পড়লাম । - কলম্বোর ঘাটে আমাদের পূর্বপরিচিত বোন্ধবদ্ধ শিরিবর্ধন মহাশয় আমাদের অভ্যর্থনা করবার জন্তে দাড়িয়ে ছিলেন। তিনি আমাদের নিয়ে বেড়াতে চললেন। জাহাজে কলম্বোর আরও কয়েকজন ভদ্রলোক এসেছিলেন আমার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে। حمي : আমরা ঘাট থেকে হেঁটেই টমাস কুকের আপিসে গেলাম, কারণ সেটা ঘাটের খুব কাছে। পাশেই হোৱাইটওয়ের দোকান, দেখলেই মনে হয় আবার বুঝি কলকাতায় ফিরে এলাম। অবশু, দেখতে সেগুলো ষে কলকাতার বাড়ীর মত নয় তা বলাই বাহুল্য । তাছাড়া পথেঘাটে মানুষ সবই অন্য রকম। ষে এক দল পুরুষ এইখানে ঘোরাক্ষের করছিল তারা কি অদ্ভূত লম্বা ! গলিভারের গল্পের ব্রবডিনাগের কাছাকাছি। একজন বললেন, "লম্বা মানুষগুলি তামিল আর বেঁটেগুলি আদত সিংহলী - ঠিক এই রকম লম্ব একটি তামিল আমাদের জাহাজে কলম্বে থেকেই উঠল। সে যখন ইটে তার মাথার চুল ডেকের ছাদে প্রায় ছুয়ে যায়। কিন্তুষারা নিজেরা তামিল এমন মেয়েদের কাছে শুনেছি তাদের জাতের লোকেরা নাকি বিশেষ কিছু লম্বা নয়। আজকাল ভারতবর্ষের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের সব মেয়েদের পোষাকই অনেকটা এক রকম হয়ে এসেছে। তৰু বাঙালী মেয়েকে সিংহলে বিদেশী বলে চেনা খুবই সহজ। তামিল বলে ভুল করা যে একেৰারে বায় না তা নয়, তবে যারা