পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেতকী শ্ৰীসুধীরচন্দ্র কর একটি কেতকী কেন ওরে চায় মন, রহস্ত এত কি ওর মাঝে । এত কি ঐশ্বধ্য সংগোপন ? রূপ রস কি এমন r অঙ্গ-আভরণ ঐ তো বিষাক্ত শত স্বতীব্র কণ্টক, স্পর্শমাত্র যন্ত্রণাতে মৰ্ম্মবিদারক । তীব্র মদগন্ধমোহে মুখ আশীবিষ ওরি ঝোপমূল বেড়ি থাকে অহনিশ পড়ে । পরিবেশ ওর জীবন-সংশয়,তবু কেন উহারেই ন পাইলে নয় ? এত শাস্ত, এত স্নিগ্ধ, এত স্বকোমল এত ষে স্বতন্ত্র । থাকে ফুটিয়া কেবল বুক্ষের সমুচ্চ শিরে পত্র-আচ্ছাদনে যেন সে দিবে না ধরা স্বল্প আয়োজনে,— তবু তার কি নিগুঢ় মিলন-আকুতি, রদ্ধে, রন্ধে, ব্যাপ্ত হয়ে সারা অস্থভূতি প্রচণ্ড দুৰ্ব্বার টানে টেনে লয় কাছে ; ভাবিতে ভুলায় ওতে কি আছে না-আছে । রেণুটুকু পাপড়িটি,--কিছু না-ও রন্থ একটু স্ববাসরেশ, তাই কি বিস্ময় জাগায় কি ব্যাকুলত একাস্তে বিপুল 1 । পথপ্ৰাণে শক্তি দিয়া অতি দৃঢ় স্থল সংসারের বিধিবদ্ধ অন্ধ-কার’ হতে মুহুর্জেকে নিয়ে চলে কল্পনার রথে স্থরাশ উল্লাসে দোলা কোন অলকার কুহক সঞ্চারি বক্ষে । প্রত্যক্ষের ভার সাধ্য কি ক্ষধিয়া রাখে স্বপ্নের ছয়ার । স্বনিশ্চিত ৰাঞ্চবের রীতি-ব্যতিক্রমী অদৃশু গন্ধের গতি কি বা সে ছৰ্দ্দমই ! —এই যে সকলছাড়া সকলের বাড়া বসে আছে অভিমানে রচি” নিজ কারা,— भूखि नेिब्रा छज्ज विरच फूलटर्डब्र थाप्न মিল আছে স্বভাবের এই অভিজ্ঞানে অারেক মানিনী সাথে । সে এক মানবী, বাহিরেতে সেও এক সাদাসিধে ছবি । এরি মত স্থঙ্কুমার সরস কৈশোর, অধরে প্রস্ফুট হাসি নয়নেতে-ঘোর, লাজদীপ্ত তচু ধেরি বসন-বিন্যাস, সঘন কুটিল কৃষ্ণ চিকুরের রাশ স্তরে স্তরে পৃষ্ঠ বাহি পড়েছে ছড়ায়ে, মেঘ নাfমস্থাছে ধেন দিগন্তের গায়ে । বর্ণের প্লাবনে ছেয়ে গেছে ঘাটপাট, এই যেন মুরু হবে বাদলের নাট, —সেজেগুজে আছে ধরা তারি প্রতীক্ষণতে তৃণপুঞ্জ রোমাঞ্চিত পূৰ্ব্ব-শীতবাতে । ক্ষণে ক্ষণে দেখা দেয় বিদ্যুৎ-মাধুরী নদীনদে খেলে ছটা, কুপেতে দাদুরী তোলে ধ্বনি । কৃষকেরা ধরে সারি-গান । মাঠে-বাঁধা গাভীগুলি তুলিয়া নয়াম ডাকে হাম্বারবে, বক ওড়ে ঝণকে ঝণকে, সফরী উচ্ছলি ওঠে স্বল্পঞ্জল বঁাকে । গামোছাটি কাধে লয়ে, কক্ষে লয়ে ঘড়া আসন্ন বর্ধার চিত্রে উৎফুল্ল-অস্তর বধুরা চলেছে স্বানে পল্পীবালা সাথে ; সংহত জলদমান শ্রাবণের প্রাতে ॥--- —এমনি সমগ্র এক পটভূমি পরে একটি নিটোল রূপ টলমল করে । স্বভাবে এত সে চাপা, শ্রাবণেরই মেঘ, যা আছে মনেই, কিন্তু রুদ্ধ অস্তর্বেগ এখনি ঝরিবে যেন, শুধু অমুকুল ঈষৎ ভাবের-বায়ু-প্রতীক্ষা-আকুল । মানেতে জর্জর তারো পীন বক্ষোভূমি মুখখানি তারি মাঝে উঠছে কুৰুমি’ ; দেখিতে আদল আসে কেতকীরই প্রায় ;সাধে কেউ বাসে ভাল —ভাল যে বাসায় !