পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহণয়ণ উপনয়ন—স্ত্রীলোকের একটি লুপ্তপ্রায় অধিকার ২৬৩ জপকরণ ও নিত্য যাগযজ্ঞক্রিয়াদি সমাপন ও প্রাতে উঠিয়াই গাহপত্য অগ্নিকে প্রজ্জ্বলিত করা এবং দিনে তিন বার সেই অগ্নিতে হবিঃ প্রদান ইত্যাদি ইত্যাদি। সুতরাং ব্রাহ্মণগণের জীবনের চরম লক্ষ্য হইল আধ্যাত্মিক এবং সেই ক্ষেত্রে অপরাপর শ্রেণীর জীবনের লক্ষ্য হইল জাগতিক । এই জাগতিক ও আধ্যাত্মিক কৰ্ম্মবিভিন্নত সদাসৰ্ব্বদা মনে ও সমাজে জগন্ধক রাখিবার নিমিত্তই উপনয়নসংস্কারের প্রবর্তন হয় । তখনকার সমাজে স্ত্রীপুরুষের সম-অধিকার প্রতিক্ষেত্রেই দৃষ্ট হয়। ঋক্বেদপ্রভৃতি প্রাচীন গ্রন্থাদি অভিনিবেশ সহকারে পাঠ করিলে স্বতঃই উপলব্ধি হয় ষে পুরাকালে ধৰ্ম্মে, কৰ্ম্মে, যাগযজ্ঞে, মন্ত্রদর্শনে, রচনায়—সৰ্ব্বপ্রকার জাগতিক ও আধ্যাত্মিক কর্শ্বে স্ত্রীলোকদিগের স্থান পুরুষের সমকক্ষ ছিল এবং তজগু তাহীদের সম-অধিকার শ্রদ্ধার সহিত স্বীকৃতও হইত। যে সকল স্ত্রীলোক আধ্যাত্মিক, পারমার্থিক উন্নতির পরিকল্পনায় জীবনধাত্রা পরিচালনা করিতে ইচ্ছুক হইতেন তাহারাও পুরুষের স্থায় ব্রাহ্মণশ্রেণীভুক্ত হইতে পারিতেন ও যথারীতি উপবীত ধারণ করিয়া বৈদিক কৰ্ম্মে অধিকার লাভ করিতেন। মাধবাচাৰ্য্যের “শুমিলবিস্তারে” দেখা যায় ৰে দ্বিজাতির কস্তাগণের পুত্রসস্তানের স্থায় অষ্টম বর্ষেই উপবীত হইবার অধিকার আছে। “জন্তৈৰাধিকরণস্যানুসারেণ অষ্টধৰ্বং ব্রাহ্মণমুপনীয়ত ভমধ্যাপল্লীত ইত্যত্ৰাপি খ্রিস্নাইপ্যধিকার ।” - —স্বামলৰিস্তার স্বমোল্লিখিত শ্লোকে স্ত্রীলোকগণ যে “মৌঞ্জিবন্ধন” করিতেন ইহার স্পষ্ট প্রমাণ দৃষ্ট হয়। "द्वाकोटल कूयात्रैोोर cबोक्किनक्रियाप्छ अषणां★न६ छ ¢कलांनांइ णांकि बौवछम६ एछष ॥ --यय স্বতরাং শ্রুতিতে স্ত্রীলোকের উপনয়ন পুরুষের স্থায় স্বীকৃত হইত, কিন্তু দুঃখের বিষয় রাষ্ট্ৰীৱ পরিবর্তন হেতু বভিশাস্ত্রাদিতে ক্ৰমে ক্রমে স্ত্রীসমাজে সামাজিক অধিকারগুলি স্বপ্ন হটতে থাকে। মনুসংহিতাতে দেখা যায় যে, উন্ন ৰ মেৰিবন্ধন-সংস্কার যদিও একোরে লুপ্ত হয় পাই তথাপি পূর্ণমাত্রায় স্বীকৃতও হয় নাই । মন্ত্র বরেন, "বিবাহ সংস্কারই স্ত্রীলোকের উপনয়ন নামে “বৈদিক সজোৱ" এবং স্বামীসেবাই “গুরুকুলে বাস" স্বরূপ ও গৃহকৰ্ম্মই প্রাতসন্ধ্যাদি হোমরূপী “অগ্নিসেৰ৷”— বৈৰাছিকে বিধিঃ ক্ৰীণাং সংস্কারো বৈদিক স্বতঃ পত্তিসেৰ গুরেী ৰাসে গৃহার্থোইগ্নি পরিক্রিয়াঃ । --ાફ, શા૭૧-કાજ মকুর সময় স্ত্রীলোকের স্থান দ্রুততরভাবে নিম্নগামী হয়। এমন কি তিনি এক স্থানে স্পষ্ট নির্দেশ করেন যে, ষে-ষজ্ঞে স্ত্রীলোক হোতা প্রকৃত ব্ৰাহ্মণ কখনও তখার ভোজন করিবেন না । শকযবনপারদাদিজারা দেশ মেচ্ছাধিকৃত হওয়াতেই বোধ হয় স্ত্রীলোকদিগকে বিশেষরূপে রক্ষার নিমিত্ত অবরোধপ্রথা প্রবর্তিত হয় ও দেশে পূৰ্ব্বোন্নত অবস্থা অপেক্ষাকৃত অমুল্পত অবস্থার সংস্পর্শে আসিয়া সমাজে, রাষ্ট্রে, ধৰ্ম্মে, কৰ্ম্মে আঘাত করে এবং সেই আঘাতের ফলেই সৰ্ব্বত্র পরিবর্তন দৃষ্ট হয়। মামুষের মনে বেশী মাত্রায় সংকীর্ণত প্রবেশ করে এবং সমাজ-রক্ষণার্থে এক প্রকার নব শ্রেণীর শাস্ত্রকারও দেশে উদ্ভূত হন, যাহারা তদনুযায়ী শাস্ত্রাদি রচনা করেন। ঐমদ্ভাগবতপুরাণে এরূপ বৰ্ণিত হইয়াছে ষে স্ত্রী ও শূন্দ্রের বেদ-শ্রবণ পৰ্য্যস্ত নিষিদ্ধ— "ীশূদ্ৰজিবন্ধুনা ত্রয়ী ন প্রতিগোচর।” সুতরাং ষে সংস্কারের বৈশিষ্ট্য ছিল—বোপঠন, বৈদিক স্বাগষজ্ঞকরণ, সাবিত্ৰী-মন্ত্ৰোচ্চারণ, অগ্নি-রক্ষণ—সেই উপনয়ন প্রথাও ক্রমে ক্রমে স্ত্রীজাতির নিকট লুপ্ত হইতে লাগিল, এবং বর্তমানে স্ত্রীলোকের উপবীতধারণ একটা অত্যাশ্চর্ষ্য বিধিরূপে জ্ঞাত হয় । কালের ধৰ্ম্ম এমনিই চমৎকার । বৰ্ত্তমানে নারীজাতি আপনাদের সামাজিক, রাষ্ট্রীয় দাবিগুলি অধিকার করিতে ব্যগ্র হইয়াছেন। কিন্তু তৎপূৰ্ব্বে তাহাদের ভালরূপে জানা উচিত ষে, কি কি অধিকার भूरी उाशरबद्र श्णि दाश आज ठाशब्रा शब्राडेदारघ्न। ‘প্রাচীন ভারতের সংস্কৃতির সহিতু সমক পরিচয় থাকিলে র্তাহাদের পূর্বের সুহিত ভালরূপ সম্বন্ধ থাকিবে এবং এই জাগরণ ভারতের বিশিষ্টতার সহিত সামঞ্জস্ত রাখিয়া চলিবে, সন্দেহ নাই ।