পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহণয়ণ তরাইয়ের তরুণী פרס তরুণী উত্তর দিতে দেরি করিতেছে। অবশেষে উত্তর আসিল, “পোর-মোরটেনসনের বাড়ীতে "-কথাটা বলিতে তাহার স্থর এত নামিয়া গিয়াছে—যেন সে ইচ্ছা করে গুড়মুও তাহার উত্তর শুনিতে না পায়। কিন্তু গুণ্ডমূও উত্তরটা স্পষ্টই শুনিতে পাইয়াছে।–“য়্য, তাহলে তুমি সেই—* বলিতে বলিতে সে থামিয়া গেল । সে পূৰ্ব্বের ন্যায়ু পাশ ফিরিয়া চুপ করিয়া বসিল এবং আর কোন প্রশ্ন করিল না। গুডমুণ্ড ঘোড়ার পিঠে চাবুকের পর চাৰুক মারে ও কর্দমাক্ত রাস্তার জন্য বারবার গলা উচু করিয়া অভিশাপ দেয় । তাহাকে আর শাস্ত দেখাইতেছিল না । তরুণী চুপ করিয়া বসিয়া আছে, কিন্তু কিছুক্ষণ পর গুডমুও টের পাইল ষে তরুণী তাহার বাহুর উপর হাত দিয়াছে। সে পাশ না ফিরিয়াই প্রশ্ন করিল, “তোমার কি চাই ?” উত্তরে সে জানিল যে, তরুণী নামিয়া ধাইতে চায় এবং সেজন্য তাহাকে গাড়ী থামাইতে হইবে । সে খানিকট তাচ্ছিল্যের স্বরে বলিল, “য়া, কেন ?—গাড়ীতে করিয়া যাইতে কি তোমার ভাল লাগিতেছে না ?” —*ই্যা, ধন্যবাদ, আমি কিন্তু হাটিয়া যাইতে চাই ।” গুণ্ডমূণ্ডের মাথায় তোলপাড়। দুঃখের বিষয়, ঠিক আজ এই দিনে সে হেলগার মত মেয়েকে নিজের গাড়ীতে ডাকিয়া তুলিয়াছে। কিন্তু জাবার এই কথাও তাহার মনে হইল যে, একবার ডাকিয়া আনিয়া গাড়ীতে বসাইয়া পরে নামাইয়া দেওয়াটা ভাল দেখায় না। তরুণী আবার “থামুন, অনুগ্রহ করিয়া খামুন" বলিয়া উঠিল এবং সেই সঙ্গে গুডমুণ্ডও লাগাম টানিয়া ধরিল। সে মনে মনে ভাবিল, “তার মত মেয়ে নামিয়া যাইতে চায়—ষাক, তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গাড়ীতে कब्रिञ्च जश्ब्र बाहेवाब्र कि धtब्राखन ?”-शोफ़ेौ ग-शून থামিবার পূর্বেই তরুণী নামিয়া গিয়াছে। তার পর সে বলিল—“আপনি যখন আমাকে আপনার গাড়ীতে উঠিয়া যাইবার প্রস্তাব করিয়াছিলেন, তখন আমার ধারণ ছিল যে, আপনি আমাকে চেনেন , তা না হইলে আমি কখনও আপনার গাড়ীতে চড়িতাম না।” গুচ্ছও সক্ষেপে নমস্কার বলিয়া' আবার গাড়ী **ारेण । उख्यू७ cष oहे उक्नेहरू dरन, cन बिषैश्च সন্দেহ নাই। বাল্যাবস্থায় অনেকবারই গুডমুণ্ড তাহাকে চোরা-বালির কাছে খেলা করিতে দেখিয়াছে, কিন্তু ইতিমধ্যে সে অনেক বদলাইয়া গিয়াছে। এখন সে বড় হইয়াছে, এখন সে তরুণী। সঙ্গিনীকে নামাইয়া দিয়া প্রথমটায় গুডমুণ্ড খানিকটা অসোয়াস্তি বোধ করিতে লাগিল এবং ক্রমে সে নিজের উপরই বিরক্ত হইয়া উঠিল। তরুণীর প্রতি অন্ত প্রকার ব্যবহার করিবার কোন পথ যে তাহার জানা ছিল না ! কাহারও প্রতি কর্কশ ব্যবহার করা গুণ্ডমুণ্ডের স্বভাবে ছিল না। হেলগাকে নাৰ্মাই দেওয়ার কিছুক্ষণ পর শুভমুও বড় রাস্ত ছাড়িয়া এক ছোট পথে নামিয়া চলিয়াছে এবং অতি শীঘ্রই সে অতি বৃহৎ এক কৃষিক্ষেত্রের মাঝ দিয়া গিয়া একটি বাড়ীর সম্মুখে উপস্থিত হইল। সে সদর দরজার কাছে গাড়ী थाभाङ्ग्रेवाभांज खिउद्र श्श्रङ ८क ७क्वन नग्नछ। पूणिझ्। णि এবং পরক্ষণেই গৃহকৰ্ত্তার মেয়ে তাহার গাড়ীর কাছে আসিয়া হাজির হইল। গুড়মুও মাথার টুপি খুলিল নমস্কার জানাইবার জন্ত এবং সেই সঙ্গে তাহার মুখখানাও আরক্তিম হইয়া উঠিল। —“গৃহকর্ভা বাড়ীতে আছেন কি না জানিতে আসিয়াছিলাম,” বলিয়া সে কথা আরম্ভ করিল। মেয়ে উত্তর দিল, “ন, বাবা বেশ খানিকক্ষণ হইল আদালতে গিয়াছেন।” গুডমুণ্ড আবার বলিল, “সত্যি ! তিনি তাহা হইলে চলিয়া গিয়াছেন ? আমি জানিতে আসিন্ধাছিলাম, মহাশয় আমার গাড়ীতে করিয়া যাইতে রাজী আছেন কি না।” –অভিধোগের মুরে মেয়ে বলিল, “বাবার সব কাজেই কেবল তাড়াহুড়া।” তার উত্তরে গুণ্ডমূও কি বলিবে ভাবিয়া না পাইয়া শুধু বলিল, “তাহাতে কিছু আসে যায় না।” –মেয়েটি মৃদুহাস্যে নূতন কথা পাড়িল— “তোমার গাড়ীর মত এমন চমৎকার গাড়ী করিয়া যাইতে বাবা নিশ্চয়ই খুব পছন্দ করিতেন।” নিজের গাড়ীর প্রশংসা শুনিয়া গুডমুণ্ডের মুখখান বেশ উজ্জল হইয়া উঠিল। সে খানিকক্ষণ ইতস্ততঃ করিয়া পরে বলিল, “এখন তবে . আসি, এখন আমাকে ধাইতে হইবে।” –আবার উত্তর আসিল, “গুডমুও, ঘরে একটু বসিয়া যাও না।”—“ধগুবাদ হিলছর। কিন্তু জামাকে আদালতে যাইতে হইবে। দেরি করাটা ভাল দেখায় না।” [ ক্রমশ: ]