পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭০ প্রবাসী SN?88 মোটেই বিশ্বাস করিতে পারে নাই যে, গুডমুণ্ড তাহার সঙ্গে ভাব করিতে চায় । তরুণীর মাথা রুমালে আবৃত—কপালের দিকে তাহ ঘামে ভিজিয়া উঠিয়াছে। সে কোন দিকে দৃকপাত না করিয়া গুডমুণ্ডের পাশ কাটিয়া বরাবর সোজা চলিয়াছে । গুডমুণ্ড তখন আবার ডাক দিল—“ও হেলগা, তুমি কি কানে কম শোন । তুমি যে আমার গাড়ীতে যাইতে পাের।” গুণ্ডমুণ্ডের গলার স্বর সত্যই বন্ধুভাবাপন্ন ছিল ; কিন্তু সে যে তাহার প্রতি সদ্ভাবাপন্ন হইতে পারে, সে কথা তাহার মাথায় কোন মতেই স্থান পায় নাই। তাহার বরং বিশ্বাস হইয়াছে যে, গুডমুণ্ড কোন-ন-কোন প্রকারে তাহাকে বিদ্রপ করিতে চায়। পাশের লোকেরা—কেহ গল চাপিয়া, কেহ বা অট্টহাসি হাসিয়া, তাহাকে বিদ্রুপ করিবে, শুধু এইরূপ ধারণাই তাহার মনে ছিল। নিতান্ত সঙ্কোচ ও বিতৃষ্ণার সঙ্গে সে শুধু নিজের পথের দিকে চায় এবং আদালত হইতে বাহির হওয়ার পর সে এখন প্রায় দৌড়াইয়া চলিড়েছে—কি জানি পাছে লোকজনের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ তাহার কানে পৌছায়। গুড়মুগু অবিবাহিত যুবক এবং পিতৃগৃহেই সে বাস করে । তাহার বাবার বেশ জমিজমা আছে । তাহীদের খামার भूव दफ़ नञ्च ५ीवर उांशंब्रा शनैौe नरह, किरू श्छ्रम বসবাস করিবার মত সম্পত্তি তাহাজের আছে। ক্রমান গুণ্ডমূও আইনসম্পৰ্কীয় কোন জরুরী কাগজ আদালতে তাহার বাবার নিকট পৌছাইয়া দিবার জন্ত সকাল বেলা নিজের গাড়ী করিয়া বাড়ীর বাহির হইয়াছিল । তাহার মনে অঙ্ক মতলবও ছিল এবং সে জঙ্ক সে অতি যত্ন করিয়া ঘোড়া ও গাড়ীকে সাজাইয়া বাহির হইয়াছিল। গাড়ীটা ছিল নূতন এবং ঘোড়াগুলিকে এমন ভারে বুরুশ করা হইয়াছিল যে, তাহাজের গায়ের চিকণ লোম উজ্জল রেশমের মত ঝকৃঝক্ করিতেছিল । ঘোড়ার মুখে নূতন লাগাষ লাগানো ছিল এবং গাড়ীর গদির উপর লাল রঙের হার একখানা চার বিছানো ছিল। তাহার পরনে ছিল শিকারের পোষাক, গায়ে অপেক্ষাকৃত ছোট কোট, মাখার উপর ক্যাপ এবং পায়ে বুট জুতা, ও তাহার মধ্যে প্যান্টালুনের শেষ দিকটা ঢুকান। ইহা উৎসবের পোষাক ছিল না, কিন্তু সে ভাল করিয়াই জানিত যে, এই পোষাকে তাহাকে বীর পুরুষের মত দেখায়। সকাল বেলা গাড়ীতে করিয়া সে বাহির হইয়াছিল একাই, কিন্তু মনে তাহার অনেক রঙীন কল্পনা থেলিতেছিল বলিয়া পথ চলার সময়টা একঘেয়ে বলিয়া মনে হয় নাই। প্রায় অর্ধেক পথ চলার পর তাহার চোখে পড়িল এক তরুণী—একই পথ ধরিয়া অতি-ধীরে হাটিয়৷ চলিয়াছে। এত ক্লাস্ত যে, মনে হইতেছিল তাহার হাটিয়া যাইবার শক্তি নাই। তখন বর্ষাকাল। বৃষ্টির জলে পথের ধুলা কাদায় পরিণত হইয়াছে। প্রতি পদবিক্ষেপে তরুণীর জুতা যে কাদায় ভারী হইয়া উঠিতেছে, ইহাও গুডমূও লক্ষ্য করিয়াছে। সে গাড়ী থামাইয়া তরুণীকে তাহার গন্তব্য স্থান সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করিল। উত্তরে যখন জানিল যে, সেও আদালতে যাইবে, তখন গুডমুও তাঁহাকে গাড়ীতে উঠিয়া যাইবার জন্ত আমন্ত্ৰণ করিল। তরুণী ধগুবাদ জানাইয়া গাড়ীতে উঠিয়া গদির বিপরীত পার্থের কাঠের বেঞ্চের উপর বসিল—বেন গুড়মুণ্ডের পাশে লাল চাদরে ঢাকা গদির উপর বসিতে তাহার সাহস হয় না। গুণ্ডমূও তরুণীকে নিজের পাশে বসাইবার কথা মোটেই ভাবে নাই । এই তরুণীর সঙ্গে 'পূৰ্ব্বে কোন পরিচয় ছিল না, কিন্তু অল্পমানে মনে হয় যে সে কোন গ্রাম্য গৃহস্থ ঘরের মেয়ে। শুভমুও মনে ভাবিল যে গাড়ীর উণ্ট দিকের কাঠের বেঞ্চে বসিয়া যাইতে তরুণীর হয়ত ভালই লাগিতেছে । * গাড়ী উচু চালু রাস্তায় পড়ার পর ঘোড়ার বেগ কমিক্স আসিল । গুণ্ডমূও তখন তরুণীর নাম ধাম জানিবার ইচ্ছায় কথা বলিতে স্বরু করিল। তাহার নাম হেলগা, সে চোর-বালি পাহাড়ের উপর গৃহস্থ-ঘরে থাকে ; কথাটা শুনিয়াই গুণ্ডমূও জসোয়ন্তি বোধ করিতে লাগিল। সে প্রশ্ন করিল, “তুমি কি সেখানে বাবা মা'র কাছে থাক, না, অঙ্ক কোথাও চাকরানীর কাজ কর ?--উত্তরে তরুণী জানাইল যে, সে গেল বংসর হইতে বাড়ীতেই আছে, পূৰ্ব্বে কাজ করিত। গুডমুণ্ড আবার অসহিষ্ণুভাবে জিজ্ঞাসা করিল, “কাদের বাড়ীতে কাজ করিতে " তাহার মনে হইল যে,