আগ্রহণয়ণ ৰিবিধ প্রসঙ্গ-গৌহাটী দর্শন ミb〜? প্রভেদ এই, যে, কংগ্রেসী মন্ত্রীদের নিজ নিজ কাজের ফলাফলের দায়িত্ব লইবার সাহস আছে, পুলিসের উপর প্রভুত্ব করিবার সাহস এবং শক্তি-সামর্থ্যও তাহাদের আছে ; বঙ্গের মন্ত্রীদের হয়ত তাহা নাই। এই প্রভেদের কারণ সম্ভবতঃ এই ধে, কংগ্রেসী মন্ত্রীরা আপনাদিগকে জনসাধারণের প্রতিনিধি ও বিশ্বাসভাজন বলিয়া জানেন ; এবং তাহারা নিজের সামর্থ্যবলে মন্ত্রী । বঙ্গের মন্ত্রীদের অবস্থা অন্য রূপ। তবে, শ্রীযুক্ত নলিনীরঞ্জন সরকারের ও অক্ষ কোন কোন মন্ত্রীর বন্দীদিগকে মুক্তি দিবার ইচ্ছা আছে, এইরূপ অনুমান করা যাইতে পারে। প্রাদেশিক প্রভেদ সম্বন্ধে লর্ড ব্র্যাবোর্ণ লড ও লেডী ব্র্যাবোর্ণকে তাহাদের ভারতযাত্রার পূৰ্ব্বে যে ভোজ দেওয়া হয়, তাহাতে অন্যান্য কথার মধ্যে তিনি কংগ্রেস নেতাদিগকে এই অমুরোধ করেন, যে, তাহার সমস্ত ভারতবর্ষকে একটা প্রদেশ মনে করিয়া শাসন করিবার চেষ্টা করিয়া যেন কাজটাকে কঠিনতর করিয়া না তুলেন । প্রত্যেক প্রদেশের বিশেষ বিশেষ সমস্যা আছে। সব প্রদেশকে একই রকমে শাসনের চেষ্টা করিলে কাজটা যত কঠিন তাঙ্গ অপেক্ষা কঠিনতর করাই হইবে । তিনি মাদকদ্রব্য ব্যবহার-নিষেধ ও শ্রমিকসমস্যাঘটিত আইন প্রণয়ন, এই দুইটি দৃষ্টাস্তু লইয়া বলেন, ধে, এগুলি যদি ভারতবর্ষকে একই প্রদেশ মনে করিয়t চালাইবার চেষ্টা করা হয় তাহ হইলে সম্মুখে বড় বিপদ ও বাধাবিঘ্ন রহিয়াছে । ভারতবর্ষ যে একটা দেশ নয়, তাহা দেখাইবার জন্য ইংরেজদের এমন একটা ঝোক অাছে, যে, তাহ তাহাদের অজ্ঞাতসারে বাহির হইয় পড়ে। “প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্ব” (“Provincial autonomy") atas ataf; cs fäfü-t সাম্রাজ্যোপীসকদের পক্ষে , সুবিধাজনক, তাহা আমরা মডার্ণ রিভিয়ুতে দেখাইয়াছি। প্রত্যেকটি প্রদেশকে আলাদা আলাদা দেশের মত করিয়া শাসন করিতে হইবে, এই উপদেশ আমাদের মস্তব্যের একটা প্রমাণ। পার্থক্য প্রদেশে প্রদেশে অবশুই আছে, কিন্তু সাদৃশুও ত আছে। লড়া ব্র্যাবোর্ণ পার্থক্যটার উপরেই কেন এত জোর দিলেন ? পার্থক্যগুলা না তুলিয়া আমরা চাই সাদৃশুগুলার উপর জোর দিতে এবং সমগ্র ভারতবর্ষ যথাসম্ভব একই নীতিতে একই ভাবে শাসিত হইতে দেখিতে। তাহ হইলে ভারতবর্ষের অখণ্ডত্ব রক্ষিত ও বঞ্চিত হইবে। পক্ষাস্তরে, প্রদেশগুলিকে আলাদা আলাদা দেশ মনে করিয়া পৃথক পৃথক ভাবে শাসন कब्रिट्ण आधारनग्न छाउँौम्न जैका कधित्व । उाश अवश ব্রিটিশ সাম্রাজ্যোপাসকদিগের পক্ষে সুবিধাজনক । মাদক ব্যবহার নিবারণ ও শ্রমিক সমস্তাসমূহের সমাধান ভিন ভিন্ন প্রদেশে একই নীতি অনুসারে"কিন্তু প্রয়োজন মত به او سیاسی কিছু ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে কেন যে নিষ্পন্ন হইতে পারে না, বুঝিতে পারিলাম না । হিন্দুদের কংগ্রেসে যোগ দেওয়া কেন উচিত বৰ্ত্তমান নবেম্বর মাসের গোড়ার দিকে খবরের কাগজে একটি ংবাদ পড়ি, যে, ডাক্তার মুঞ্জে ভাই পরমানন্দ প্রমুখ কতিপয় হিন্দু নেতাকে ও প্রবাসীর সম্পাদককে চিঠি লিখিয়াছেন, যে, বিজনোরে কংগ্রেসপক্ষের মুসলমানপ্রার্থী যদি নির্বাচিত হন, তাহা হইলে হিন্দুসভার লোকদের কংগ্রেসে যোগ দেওয়া উচিত হইবে। এই রূপ পরামর্শ দিবার কারণও ডাঃ মুঞ্জে যাহা দেখাইয়াছেন, তাহা ঐ টেলিগ্রামে লিখিত ছিল। আমরা ডাঃ মুঞ্জের ঐরুপ কোন পত্র পাই নাই। পাইবার কোন প্রয়োজনও ছিল না । হিন্দুমহাসভার সহিত সম্বন্ধ আমাদের অনেক বৎসর নাই । তাহার বিরোধীও আমরা নহি । আমরা দীর্ঘকাল কংগ্রেসের বাহিরে আছি বটে, কিন্তু আমরা কংগ্রেসের বিরুদ্ধাচারী নহি । হিন্দুদের যে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া উচিত, তাহা আমরা আগে আগেও বলিয়া থাকিব, গত ১লা অক্টোবর প্রকাশিত কাৰ্ত্তিক সংখ্যাতেও তাহা লিথিয়াছি। যথা :– 龛 “হিন্দুর যত কংগ্রেস ত্যাগ করিবে, হিন্দুর যত কংগ্রেসে যোগ দিতে নিবৃত্ত থাকিবে, রাষ্ট্রনীতিক্ষেত্রে তাহারা ততই দুৰ্ব্বল হইবে । দেশ স্বাধীন ন হইলে বড় বা ছোট কোন সম্প্রদায়ই যথেষ্ট উন্নতি ও শক্তিলাভ করিতে পাব্লিবে লা—ইংরেজ গবন্মেণ্টের অমুগ্রহ লাভ করিলেও পাব্লিবে না । স্বাধীনত চাই-ই চাই । কিন্তু কংগ্রেস ভিন্ন আর কোন প্রতিষ্ঠান নাই, সমিতি নাই, যাক দেশকে স্বাধীন করিতে সচেষ্ট ও সমর্থ। অতএব, কংগ্রেসের দোযক্রটি যাহাই থাকুক, উঠাতে যোগ দেওয়া, উঠার সভ্য না-হুইলেও অস্তুত: উহার মুখ্য উদ্দেস্ত সাধনের সহায় হওয়া, সকল হিন্দুর কৰ্ত্তব্য । কংগ্রেসের ভিতরে থাকিয়া সদলবলে উহার দোযঞটি সংশোধনের চেষ্টা করাই সুপরামর্শ।’ ( ১৪৭ পৃষ্ঠা । )
গৌহাটী দর্শন গত অকৃটোবর মাসের গোড়ার দিকে কয়েক দিনের জগু গৌহাটী গিয়াছিলাম। তথাকার প্রবাসী বাঙালী ছাত্র-সম্মিলনীর বাধিক অধিবেশন উপলক্ষ্যে যাইতে হইয়াছিল। আমার যে গৌহাট দেখা হইল, তাহার জন্য তাহারাই ধন্যবাদার্হ। ছাত্রেরা বিশেষ উৎসাহ সহকারে অধিবেশনের কার্ধ্য নিৰ্ব্বাহ করিয়াছিলেন। র্তাহাদের উৎসাহে ও আয়োজনে ঘটনাটি একটি উৎসবের আকার ধারণ করিয়াছিল। মাসিকপত্রে বিস্তারিত বৃত্তান্ত দিবার স্থান নাই। তাহা হইলেও অধিবেশনে সৰ্ব্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
